‘বালক’ পত্রের ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা মিলিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের নিবন্ধ ‘বাংলা উচ্চারণ’। এ-লেখায় রবীন্দ্রনাথ নিদারুণ গম্ভীর ভাষা-শিক্ষকদের মতো ব্যাকরণ বইয়ের নিয়ম-কানুনের থেকে ভাষার দিকে এগিয়ে যাননি, বরং ভাষার থেকে ব্যাকরণের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। একজন ভাষা-শিক্ষকের কাজই তো তাই। সচল উদাহরণ ব্যবহার করে ভাষা শেখাবেন তিনি।
বাংলা ভাষা যদি রবীন্দ্রনাথের কাছে শেখা যেত? প্রশ্নটা শুনেই অনেকে বলবেন, বাংলা ভাষা তো আমরা অনেকেই ছোটবেলায় রবীন্দ্রনাথের কাছেই শিখেছি। ছেলেবেলার ভাষা-শিক্ষার বই ‘সহজ পাঠ’ আমাদের বাংলা ভাষার কান তৈরি করে দিয়েছে। কথাটা একশোভাগ সত্য। রবীন্দ্রনাথ ভাষার মাস্টারমশাই হিসেবে একটা কথা বিশ্বাস করতেন– ভাষা আমরা কান আর চোখ দিয়ে শিখি। ভাষা শিখতে গেলে কান চাই-ই চাই, ভাষার কান তৈরি করে দেওয়াই ভাষা শিক্ষকের প্রথম কাজ। ভাষা-শিক্ষায় কানের গুরুত্ব নিজের ছেলেবেলার অভিজ্ঞতা থেকেই সঞ্চয় করেছিলেন তিনি। নিজের জীবনে আদিকবির প্রথম কবিতা হিসেবে ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’-কে মনে রেখেছিলেন– বুঝতে অসুবিধে হয় না বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’-এর ‘জল পড়ে’ (প্রথম ভাগ, তৃতীয় পাঠ), আর ‘জল পড়িতেছে। পাতা নড়িতেছে।’ (প্রথম ভাগ, অষ্টম পাঠ) রবীন্দ্রস্মৃতিতে অন্য চেহারা নিয়েছে। যে চেহারাই নিক, পড়ুয়া শব্দের কান দিয়ে জল পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।
‘জীবনস্মৃতি’-তে অন্যত্র ছেলেবেলার কবিতা লেখার যে বিবরণ দিয়েছিলেন, তিনি তাতেও বালক-কবির ধ্বনি চেনার কানটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। বালক রবির কবিতায়, আমসত্ত্ব দুধে ফেলে তাতে কলা চটকে যখন মানুষটি খেতে শুরু করলেন তারপর কী হল? সে কবিতার লাইনগুলি তো সবারই চেনা। ‘হাপুস হুপুস শব্দ/ চারিদিক নিস্তব্ধ/ পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।’ খাদ্যরসিকের খাওয়ার ‘হাপুস-হুপুস’ শব্দে অন্য সমস্ত আওয়াজ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। এই শব্দই চেটেপুটে নিঃশেষে খাওয়ার ছবিটি প্রত্যক্ষ করে তুলছে। আর তাঁর খাওয়া শেষ হলে জেগে উঠছে আরেকটি শব্দ– সে শব্দ পিঁপড়ের কান্নার। পিঁপড়ের কান্নার শব্দ যেমন-তেমন কবি হলে শুনতে পেতেন না। এখানেই, পিঁপড়ের কান্নার শব্দের উল্লেখে, এই লাইনগুলি যথার্থ কবিতা হয়ে উঠেছে। সে শব্দ শোনার জন্য চাই মনের কান। ভালো করে ভাষা শেখার জন্য দু’টি কানই কিন্তু লাগবে– বাইরের কান, আর মনের কান।
‘ধ্বন্যাত্মক শব্দ’ নামের রচনাংশে পরিণত রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘বাংলাভাষায় বর্ণনাসূচক বিশেষ একশ্রেণীর শব্দ বিশেষণ ও ক্রিয়ার বিশেষণ রূপে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হইয়া থাকে, তাহারা অভিধানের মধ্যে স্থান পায় নাই। অথচ সে-সকল শব্দ ভাষা হইতে বাদ দিলে বঙ্গভাষার বর্ণনাশক্তি নিতান্তই পঙ্গু হইয়া পড়ে।’ হক কথা। কটমট করে তাকানো এই উদাহরণ দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তাকানোর তো শব্দ নেই, কিন্তু কেউ যদি রাগ করে তাকায় তাহলে শব্দ শোনা যায়। মনে হয় কটমট করে মানুষটি যাঁকে দেখছেন, তাঁকে চোখ দিয়েই কট-মট শব্দে প্রহার করছেন। রবীন্দ্রনাথ বিশ্লেষণ করে লিখেছিলেন, ‘বাংলাভাষায় সকলপ্রকার ইন্দ্রিয়বোধই অধিকাংশস্থলে শ্রুতিগম্য ধ্বনির আকারে ব্যক্ত হইয়া থাকে। গতির দ্রুততা প্রধানত চক্ষুরিন্দ্রিয়ের বিষয়; কিন্তু আমরা বলি ধাঁ করিয়া, সাঁ করিয়া, বোঁ করিয়া অথবা ভোঁ করিয়া চলিয়া গেল।’
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
‘জীবনস্মৃতি’-তে অন্যত্র ছেলেবেলার কবিতা লেখার যে বিবরণ দিয়েছিলেন তিনি তাতেও বালক-কবির ধ্বনি চেনার কানটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। বালক রবির কবিতায়, আমসত্ত্ব দুধে ফেলে তাতে কলা চটকে যখন মানুষটি খেতে শুরু করলেন তারপর কী হল? সে কবিতার লাইনগুলি তো সবারই চেনা। ‘হাপুস হুপুস শব্দ/ চারিদিক নিস্তব্ধ/ পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।’ খাদ্যরসিকের খাওয়ার ‘হাপুস-হুপুস’ শব্দে অন্য সমস্ত আওয়াজ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। এই শব্দই চেটেপুটে নিঃশেষে খাওয়ার ছবিটি প্রত্যক্ষ করে তুলছে। আর তাঁর খাওয়া শেষ হলে জেগে উঠছে আরেকটি শব্দ– সে শব্দ পিঁপড়ের কান্নার। পিঁপড়ের কান্নার শব্দ যেমন-তেমন কবি হলে শুনতে পেতেন না। এখানেই, পিঁপড়ের কান্নার শব্দের উল্লেখে, এই লাইনগুলি যথার্থ কবিতা হয়ে উঠেছে।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
এই যে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে কানের গুরুত্ব অপরিসীম, অন্য ভাষার থেকে শ্রুতিগম্যতার সূত্রে যে বাংলা আলাদা, তা কম বয়সের পড়ুয়াদের শেখানো-বোঝানো যায় কী ভাবে? ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ বাংলার ১২৯২ সাল। বৈশাখ মাস। ঠাকুরবাড়ির বালকদের জন্য একটি সচিত্র কাগজ প্রকাশিত হল জ্ঞানদানন্দিনীর উদ্যোগে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল সুধীন্দ্র, বলেন্দ্র এদের লেখাতেই ভরে যাবে সেই ‘বালক’ নামের পত্র। পরে বোঝা গেল অন্যদেরও হাত লাগাতে হবে কলমে। ‘বালক’-এর জন্য সচল-কলম হলেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা ভাষা শেখানোর নানা আয়োজন এই পত্রে চোখে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথঠাকুর লিখলেন ‘রেখাক্ষর বর্ণমালা’ নামের পদ্য। উদ্দেশ্য, বাংলা বর্ণমালার সঙ্গে একটু অন্যরকম উপায়ে ভাব জমানো। রবীন্দ্রনাথ বর্ণমালার দিকে নয়, ‘বালক’ পত্রের পাতায় মন দিলেন ধ্বনিমালার দিকে– বাংলা ভাষার মুখের কথা তাঁর আগ্রহের বিষয়। বাঙালি সংস্কৃত লেখে না– বাংলা বলে ও লেখে। সেই বাংলা ‘বলার’ সূত্রে লেখা চাই। তৈরি করতে হবে বাংলা ভাষার নিজস্ব ব্যাকরণ। ‘বালক’ পত্রের ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা মিলিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের নিবন্ধ ‘বাংলা উচ্চারণ’। এ-লেখায় রবীন্দ্রনাথ নিদারুণ গম্ভীর ভাষা-শিক্ষকদের মতো ব্যাকরণ বইয়ের নিয়ম-কানুনের থেকে ভাষার দিকে এগিয়ে যাননি, বরং ভাষার থেকে ব্যাকরণের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। একজন ভাষা-শিক্ষকের কাজই তো তাই। সচল উদাহরণ ব্যবহার করে ভাষা শেখাবেন তিনি। ভাষা তো বয়ে বয়ে যায়। লোকের মুখে-মুখে কানে-কানে তার যাত্রা। ভাষা শেখাতে চাইলে ভাষীদের কান আর মুখের উপর ভর করা তাই জরুরি। পাকামাথা বুড়োটে পণ্ডিতেরা অবশ্য তা করেন না। ব্যাকরণ আর অভিধানের অপরিবর্তনীয় শাসনে তাঁরা কান-মুখের ভাষাকে আটকাতে চান। রবীন্দ্রনাথ সেই পণ্ডিতদের দলের লোক নন, তাঁর ভাষা-ভাবনায় কান-মুখের সাহচর্য থাকা চাই।
শুধু বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখানোর ক্ষেত্রেও কান-মুখের শরণ নিতেন তিনি। ‘ইংরেজি শ্রুতিশিক্ষা’ বইয়ের শুরুতে শিক্ষকদের প্রতি তাঁর নিবেদন, ‘ইংরেজি-শিক্ষার্থী বালকেরা যখন অক্ষর-পরিচয়ে প্রবৃত্ত আছে সেই সময়ে কেবল কানে শুনাইয়া ও মুখে বলাইয়া তাহাদিগকে ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত করিয়া লইবার জন্য এই গ্রন্থ রচিত হইয়াছে।… এই গ্রন্থর এক একটি অংশ ছাত্রেরা যখন কানে শুনিয়া সম্পূর্ণ বুঝিতে পারিবে তখনই সেই অংশ তাহাদিগকে মুখে বলাইবার সময় আসিবে। সেই সময়েই, শিক্ষক যখন ছাত্রকে Come! বলিবেন, তখন ছাত্র I Come বলিয়া তাঁহার নিকটে আসিবে। যখন তিনি বলিবেন, Go! সে I go বলিয়া চলিয়া যাইবে। প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত এইরূপ ভাবেই শিখাইতে হইবে, শিক্ষকগণ ইহা মনে রাখিবেন।’ এভাবে শুনে শুনে যে ইংরেজি শেখা উচিত সেকথা তো হাল আমলে প্রায় সকলেই বলেন। এখন ইংরেজি শোনার কতরকম উপায়।
রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা তাঁদেরই আছে যাঁরা মনের আদি-শিশুটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ভাষা শেখা ও শেখানোর মধ্যে এই আদি-শিশুর বিস্ময় না-থাকলে কি চলে? রবীন্দ্রনাথের ছিল। প্রশ্ন হল আমাদের কি আছে ? আমরা কি মুখের ভাষার কাছে, কানে শোনা ভাষার জগতের কাছে উদাহরণের জন্য হাত পাততে প্রস্তুত? নাকি শিশুর বিস্ময় ভুলে কান-মুখের ভাষাকে পড়াতে চাই কেবলই নির্ভুল ব্যাকরণের শুচি-শুভ্র শিকল? ব্যাকরণের শিকলে ভাষা বাঁচে না– ভাষার বদলকে মেনে ব্যাকরণের নিয়মের বদল করতে হয়। ভাষার চালু উদাহরণ থেকে বের করে আনতে হয় ব্যাকরণের নিয়ম-নীতি। ছোটো পড়ুয়াদের ভাষা শেখানোর জন্য এটাই ছিল রবীন্দ্রনাথের নীতি।
…………………ছাতিমতলা অন্যান্য পর্ব…………………
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি