‘ভারতী’ পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথ মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। মধুসূদনের কবিতায় ভাষার উচ্চনাদী, ‘গিলটি করা’ ভঙ্গি তাঁর বিরক্তির কারণ ছিল। বিবেকানন্দ অবশ্য পছন্দই করতেন মধুসূদনের উচ্চনাদী ভাষা। বিবেকানন্দ নিজে বাংলা ভাষার মধ্যে যে উদ্দীপন, ওজস্বিতা সঞ্চার করতে চান, তারই অনুরণন খুঁজে পেয়েছিলেন মাইকেলের কবিতায়।
মধুসূদনের কবিতা বঙ্কিমচন্দ্র আর বিবেকানন্দ পছন্দ করতেন। মধুসূদন ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষার কাছে ফিরলেও কখনও হিন্দুধর্মের কাছে ফেরার কথা ভাবেননি। বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির সম্পদ অবশ্য গ্রহণ করেছিলেন নির্দ্বিধায়। আশার ছলনে ভুলে বাংলা ভাষাকে পরিহার করে পরধনলোভে মত্ত হয়েছিলেন, সে-কথা কবুল করতেও ‘ভুল’ করেননি। বিশেষ করে প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যের কবিদের প্রতি, কবিতার প্রতি তাঁর গভীর মায়া-মমত্ব প্রকাশ পেয়েছিল চতুর্দশপদী কবিতার পঙ্ক্তিতে। লিখেছিলেন ‘বঙ্গ-হৃদ-হ্রদে চণ্ডী কমলে কামিনী।।’ ‘কাশীরাম দাস’ নামের কবিতায় লিখেছিলেন, ‘মহাভারতের কথা অমৃতসমান।/ হে কাশি, কবীশদলে তুমি পুণ্যবান।।’ পাঠক হিসেবে একটু চমকই লাগে! ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রচনার সময় যে মধুসূদন পুরনো বাংলা কবিতার স্বাভাবিক চলনকে ভেঙে, পঙ্ক্তি শেষে বিরাম নেওয়ার রীতিকে অস্বীকার করে, অর্থকে সম্প্রসারিত করে দিতেন, সেই মধুসূদন তাঁর চতুর্দশপদীতে কাশীরাম দাসের মহাভারতের ‘অমৃতসমান’ পঙ্ক্তিকে উদ্ধার করে ‘ট্রিবিউট’ দিচ্ছেন। কেন?
এই কেনর উত্তর কি একরকম করে খুঁজে পাওয়া সম্ভব রবীন্দ্রনাথের মধুসূদন বিচারে? রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্র ও বিবেকানন্দের মতো মধুসূদন মুগ্ধ ছিলেন না। ‘ভারতী’ পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথ মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। মধুসূদনের কবিতায় ভাষার উচ্চনাদী, ‘গিলটি করা’ ভঙ্গি তাঁর বিরক্তির কারণ ছিল। বিবেকানন্দ অবশ্য পছন্দই করতেন মধুসূদনের উচ্চনাদী ভাষা। বিবেকানন্দ নিজে বাংলা ভাষার মধ্যে যে উদ্দীপন, ওজস্বিতা সঞ্চার করতে চান, তারই অনুরণন খুঁজে পেয়েছিলেন মাইকেলের কবিতায়। শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে কথায় কথায় জানিয়েছিলেন তা, মাইকেলের কাব্যের প্যারোডি রচয়িতার বিরোধিতা করেছিলেন সন্ন্যাসী-পাঠক। বঙ্কিমচন্দ্র ঈশ্বর গুপ্তের প্রয়াণের পর লিখেছিলেন, ঈশ্বর গুপ্তের মতো ‘খাঁটি বাঙালি’ কবি আর হয় না, ঈশ্বর গুপ্তের মতো খাঁটি বাঙালি কবি আর ‘চাই না’। পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক সহযোগে বাংলা কবিতার ভাষা অনিবার্য ভাবেই তার খাঁটিত্ব হারায়। মধুসূদনের কবিতা বাংলা ভাষার ইংরেজ আগমনপূর্ব খাঁটিত্বকে অস্বীকার করে অমিত্রাক্ষরের মধ্যে নবরূপ লাভ করেছিল। বঙ্কিমচন্দ্র মাইকেলের প্রয়াণের পর ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রে লিখলেন, ‘কাল প্রসন্ন– ইউরোপ সহায়’। এই নতুন সময়ের কবি ‘শ্রীমধুসূদন’। তরুণ রবীন্দ্রনাথ কিন্তু ভাবছিলেন পাশ্চাত্যের উপাদান মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এ স্বাভাবিক ভাবে অঙ্গীকৃত হয়নি। পরবর্তীকালে নিজের তরুণ বয়সের এই সমালোচনা নিবন্ধের জন্য লজ্জিতই হয়েছিলেন তিনি। ‘জীবনস্মৃতি’তে লিখেছিলেন, ‘কাঁচা আমের রসটা অম্লরস– কাঁচা সমালোচনাও গালিগালাজ। অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোঁচা দিবার ক্ষমতাটা খুব তীক্ষ্ম হইয়া উঠে। আমিও এই অমর কাব্যের উপর নখরাঘাত করিয়া নিজেকে অমর করিয়া তুলিবার সর্বাপেক্ষা সুলভ উপায় অন্বেষণ করিতেছিলাম। এই দাম্ভিক সমালোচনাটা দিয়া আমি ভারতীতে প্রথম লেখা আরম্ভ করিলাম।’
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
রবীন্দ্রনাথ মাইকেলের ভাষার মধুসূদনী-নিজত্বকে বজায় রেখে, সে-ভাষার মধ্যে পাশ্চাত্য ছন্দের থেকে নেওয়া অমিত্রাক্ষরের চালকে মেনে নিয়ে, বাংলা ভাষার স্বভাবে ফিরতে চাইছেন। স্বভাবে ফেরার অর্থ তৎসম-বাহুল্য বর্জন করা। স্বভাবে ফেরার অর্থ বাংলা ভাষার ক্রিয়াপদের চরিত্রকে মেনে নেওয়া। মাইকেল নিজেও কি ভাবছিলেন সে-কথা? চতুর্দশপদী কবিতাবলী-তে তাই কি কাশীরাম দাসের প্রতি ‘ট্রিবিউট’?
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
লজ্জা প্রকাশ করলেও মধুসূদনের কাব্যভাষা সম্পর্কে প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথের মনে থেকেই গিয়েছিল। কেন মধুসূদন তাঁর কাব্যভাষার দোহার পেলেন না? ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তো এক অর্থে একক? ‘বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশ’ নামের রচনায় রবীন্দ্রনাথ মধুসূদনের অমিত্রাক্ষরকে ঝড়ের সঙ্গে, বন্যার সঙ্গে তুলনা করলেন। প্রাচীন সিংহদ্বারের আগল আঘাতে ভেঙে গেল। এ সবই সত্য। অবশ্য ‘কিন্তু’ একটা থেকেই যাচ্ছে। ‘সাহিত্য রূপ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, মধুসূদন ‘বাংলা ভাষার স্বভাবকে মেনে চলেননি। তাই তিনি যে-ফল ফলালেন তাতে বীজ ধরল না, তাঁর লেখা সন্ততিহীন হল, উপযুক্ত বংশাবলী সৃষ্টি করল না।’ ভাবার মতো কথা। ভাষার স্বভাব, ভাষার স্বাভাবিকত্ব খুবই জরুরি প্রসঙ্গ। মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর অংশ-বিশেষ অন্যভাবে লিখলেন রবীন্দ্রনাথ, ‘যুদ্ধ তখন সাঙ্গ হল বীরবাহু বীর যবে/ বিপুল বীর্য দেখিয়ে হঠাৎ গেলেন মৃত্যুপুরে/ যৌবনকাল পার না হতেই।’ রবীন্দ্রনাথ যেন মধুসূদনের কাব্যের ভাষাকে বাংলা ভাষার প্রচলিত স্বভাবে ফেরাতে চাইছেন। অমিত্রাক্ষর বজায় রাখছেন কিন্তু তৎসমবাহুল্য বর্জন করছেন। সন্দেহ নেই, রবীন্দ্রনাথের এই রূপান্তর পড়লে খুবই বিরক্ত হতেন বিবেকানন্দ। মধুসূদনের ভাষার তৎসমপ্রাধান্য যে সংহত ধ্বনিস্পন্দ তৈরি করছে তাতেই তো মজেছিলেন বিবেকানন্দ। বাংলা ভাষার স্বাভাবিকত্ব তাঁর বিচার্য নয় সেক্ষেত্রে– প্রয়োজনে সেই স্বাভাবিকত্ব ভুলে যেতে হবে। রবীন্দ্রনাথের রূপান্তরে বিবেকানন্দ সেই মাইকেলি সংহতি ও ধ্বনিঝংকার খুঁজে পাবেন না। মাইকেলের কাব্যের অংশবিশেষের ইংরেজি অনুবাদের সময় রবীন্দ্রনাথ নির্বাচন করেছিলেন সেই অংশ, যেখানে বাংলা ভাষার চরিত্র একেবারে অন্যরকম নয়। সীতা বলছেন সরমাকে, ‘ছিনু মোরা, সুলচনে, গোদাবরী-তীরে,/ কপোত-কপোতী যথা উচ্চ বৃক্ষ-চূড়ে/ বাঁধি নীড়, থাকে সুখে; ছিনু ঘোর বনে,/ নাম–পঞ্চবটী, মর্ত্যে সুর-বন-সম।’ ইংরেজি অনুবাদের সময় রবীন্দ্রনাথ গদ্যভাষাকেই অবলম্বন করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ মাইকেলের ভাষার মধুসূদনী-নিজত্বকে বজায় রেখে, সে-ভাষার মধ্যে পাশ্চাত্য ছন্দের থেকে নেওয়া অমিত্রাক্ষরের চালকে মেনে নিয়ে, বাংলা ভাষার স্বভাবে ফিরতে চাইছেন। স্বভাবে ফেরার অর্থ তৎসম-বাহুল্য বর্জন করা। স্বভাবে ফেরার অর্থ বাংলা ভাষার ক্রিয়াপদের চরিত্রকে মেনে নেওয়া। মাইকেল নিজেও কি ভাবছিলেন সে-কথা? চতুর্দশপদী কবিতাবলী-তে তাই কি কাশীরাম দাসের প্রতি ‘ট্রিবিউট’? কৃত্তিবাসকে কীর্তিবাস বলে মেনে নিচ্ছেন মাইকেল। তাঁর পূর্ববর্তী কবি ঈশ্বর গুপ্তকেও কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
আর রবীন্দ্রনাথ? যিনি ভাষার স্বাভাবিকত্ব নিয়ে এমন আকুল সেই রবীন্দ্রনাথকেও কি সইতে হল না মাইকেলের মতো একই অভিযোগ? মাইকেল মঙ্গলকাব্যের, পাঁচালী আর অনুবাদের প্রাগাধুনিক জগৎকে বঙ্গের হৃদাসনে রাখলেন তাঁর জীবনের মেঘনাদবধ-পরবর্তী পর্বে। রবীন্দ্রনাথ রাধাকমল মুখোপাধ্যায়ের কাছে সমালোচিত হলেন পাশ্চাত্য উপাদানের কৃত্রিম ব্যবহারের জন্য। রাধাকমলের মতো সমালোচকের অভিমত মঙ্গলকাব্যে, রামপ্রসাদের পদে বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির মধ্যে জাতীয়জীবনের স্বাভাবিক বাস্তবতা ধরা পড়েছে। ‘সবুজ পত্র’ পর্বে রবীন্দ্ররচনার ভাব-ভাষা কৃত্রিম, তাতে জাতীয়-জীবনের ছাপ নেই।
কী বলা যাবে একে? সময়ের পরিহাস? ইতিহাসের কৌতুক? মধুসূদন আর রবীন্দ্রনাথ দু’জনেই প্রতিভাবান কবি। প্রতিভা সংকীর্ণ খাঁটিত্বে আটকে থাকে না। প্রতিভার মনের ভাব প্রচলিত ভাষার জগৎকে ভাঙে, ভাষার বিধিকে ভেঙে যে সিদ্ধি সে অর্জন করে, তাকে একসময় স্থিতি-দেওয়ার ফলবতী করার বাসনাতেই ভাষাস্বভাবের জল পুনরায় পান করতে চাওয়া। এই ভাঙা আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও। তবে মধুসূদনের স্বল্পস্থায়ী কবিজীবনে ভাঙার ছবিই প্রকট – স্বভাবে ফিরতে চাওয়ার বাসনাটুকু অনেক সময় চোখে পড়ে না। রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘজীবনে কতবার কতভাবে যে ভাষাকে ভাঙলেন ও ভাষার স্বভাবে ফিরলেন!
…………………ছাতিমতলা অন্যান্য পর্ব…………………
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি