রবীন্দ্র রচনায় ‘নাগরিক’ শব্দের নানা-ব্যবহার চোখে পড়ে। তাঁর ‘মুক্তধারা’ ও ‘রথের রশি’ নাটকে ‘নাগরিক’ বলতে নগরবাসীকে বোঝান হয়েছিল। এই নগরবাসীরা নগর অর্থাৎ বিশেষ পৌরসীমার অধিকারী। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য ‘নাগরিক’ শব্দটিকে সেখানেই আটকে রাখলেন না। পাশ্চাত্যে রাষ্ট্র ও সংবিধান যে-অর্থে ‘সিটিজেন’ ও ‘পাব্লিক’ এই শব্দ ও ভাব সুনির্দিষ্ট করে তুলছিল রবীন্দ্রনাথ খেয়াল করছিলেন ভারতীয় ভদ্রলোকেরা সেই ভাব আর অর্থের অনুবর্তী হয়ে উঠছেন।
৩০.
‘নাগরিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ নগরস্থিত। ‘নাগর’ শব্দটিও সমার্থে ব্যবহৃত । নাগর বা নাগরিক-এর কতগুলি গুণ ভারতীয় কামশাস্ত্রী ও অর্থশাস্ত্রীরা উল্লেখ করেছিলেন। বাৎস্যায়নের ‘কামশাস্ত্র’ ও কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ অনুসারে নাগর বা নাগরিক বিদগ্ধ হবেন। শূদ্রক রচিত ‘মৃচ্ছকটিক’ নাটকের বণিক চারুদত্ত বিদগ্ধ নাগরিক । ইংরেজ আগমনের পর পাশ্চাত্য রাষ্ট্রনৈতিক সভ্যতার সংস্পর্শে ‘নাগরিক’ শব্দটির অর্থ আমাদের কাছে বদলে গিয়েছিল। নাগরিকের অধিকার, নাগরিকের কর্তব্য, নাগরিকের পরিচয় এ-বিষয়গুলি সম্বন্ধে ভারতবর্ষীয় ভদ্রলোকেরা নতুন করে ভাবতে বসলেন। রবীন্দ্র রচনায় ‘নাগরিক’ শব্দের নানা-ব্যবহার চোখে পড়ে। তাঁর ‘মুক্তধারা’ ও ‘রথের রশি’ নাটকে ‘নাগরিক’ বলতে নগরবাসীকে বোঝান হয়েছিল। এই নগরবাসীরা নগর অর্থাৎ বিশেষ পৌরসীমার অধিকারী। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য ‘নাগরিক’ শব্দটিকে সেখানেই আটকে রাখলেন না। পাশ্চাত্যে রাষ্ট্র ও সংবিধান যে-অর্থে ‘সিটিজেন’ ও ‘পাবলিক’ এই শব্দ ও ভাব সুনির্দিষ্ট করে তুলছিল রবীন্দ্রনাথ খেয়াল করছিলেন ভারতীয় ভদ্রলোকেরা সেই ভাব আর অর্থের অনুবর্তী হয়ে উঠছেন। তবে রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের কোনও যোগই তৈরি হচ্ছে না।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
সন্দেহ নেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অতিক্রান্ত ভারত ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষের থেকে অনেক আলাদা। তবে রবীন্দ্রনাথ মূল যে প্রশ্নটি তুলেছিলেন, তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। হতে পারে ইংরেজির বদলে নেতারা এখন হিন্দি বলেন কিন্তু সেই হিন্দি অনেক ক্ষেত্রেই অযোগের ও অসংযোগের পরিস্থিতি তৈরি করছে। ‘হাতে কলমে’ নিবন্ধে রবীন্দ্রনাথের জিজ্ঞাসা ‘স্বদেশপ্রেম’ শব্দটি আমরা কোথা থেকে শিখব? নিজেই উত্তর দিয়েছেন, ‘কাজ দেখিয়া শিখিবে, কথা শুনিয়া শিখিবে না! তখন আমাদের দেশের সম্ভ্রম রক্ষা হইবে, আমাদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পাইবে; তখন আমরা স্বদেশে বাস করিব স্বজাতিকে ভাই বলিব।’
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
ভদ্রলোকদের কথা ও দাবির সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষ সম্বন্ধহীন। এই সম্বন্ধহীনতার কারণ দ্বিবিধ। প্রথমত, ভদ্রলোকেরা নিজের দেশের বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয়হীন দূরত্বে অবস্থান করেন। ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তাঁরা নাগরিকের অধিকার, নাগরিকের কর্তব্য এসব নিয়ে রাজনৈতিক শর্তে ইংরেজ কর্তৃপক্ষের কাছে গলা-ফাটান। এতে তাঁদের আত্মতৃপ্তি হয়। তাঁরা মুষ্টিমেয় মানুষ যে ‘সচেতন নাগরিক’ এই তথ্য প্রমাণ করা যায়। এ-পর্যন্তই। দ্বিতীয়ত, সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা যে ভাষায় ‘নাগরিকের দাবি’ ‘অধিকার’ ‘কর্তব্য’ ইত্যাদি বিষয়ে কথা পাড়েন সেই কথার ভাষা ও ভাষ্য সাধারণের অগম্য। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘হাতে কলমে’ নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘কৃষক, নাগরিক মহাশয়ের উদ্দীপক বক্তৃতা ও জাতীয় সংগীত শুনিয়া প্রথমে হাঁ করিয়াছিল, তাহার পর হাই তুলিয়াছিল, তাহার পরে চোখ বুজিয়া ঢুলিয়াছিল ও অবশেষে বাড়ি ফিরিয়া গিয়া স্ত্রীকে সংবাদ দিয়াছিল যে কলিকাতার বাবু সত্যপীরের গান করিতে আসিয়াছেন; … ’ এই যে মর্মান্তিক কৌতুক রবীন্দ্রনাথ এখানে করেছেন সেই মর্মান্তিক কৌতুকের হাত থেকে স্বাধীন ভারত কি খুব রেহাই লাভ করেছে?
সন্দেহ নেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অতিক্রান্ত ভারত ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষের থেকে অনেক আলাদা। তবে রবীন্দ্রনাথ মূল যে প্রশ্নটি তুলেছিলেন, তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। হতে পারে ইংরেজির বদলে নেতারা এখন হিন্দি বলেন কিন্তু সেই হিন্দি অনেক ক্ষেত্রেই অযোগের ও অসংযোগের পরিস্থিতি তৈরি করছে। ‘হাতে কলমে’ নিবন্ধে রবীন্দ্রনাথের জিজ্ঞাসা ‘স্বদেশপ্রেম’ শব্দটি আমরা কোথা থেকে শিখব? নিজেই উত্তর দিয়েছেন, ‘কাজ দেখিয়া শিখিবে, কথা শুনিয়া শিখিবে না! তখন আমাদের দেশের সম্ভ্রম রক্ষা হইবে, আমাদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পাইবে; তখন আমরা স্বদেশে বাস করিব স্বজাতিকে ভাই বলিব।’ অর্থাৎ ইংরেজদের কাছ থেকে শেখা নাগরিক, প্যাট্রিয়টিজম জাতীয় ভাবনাগুলি ভদ্রলোকেরা ওপর থেকে চাপিয়ে দিচ্ছেন তা দেশের মানুষের মধ্য থেকে পারস্পরিক কাজের সহযোগিতার সূত্রে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জেগে উঠছে না। ফলে অযোগ বজায় থাকছে। একালেও দেখা যাচ্ছে, প্রতি মুহূর্তে ‘দেশ’ নামক পদার্থটিকে প্রশাসনিকতার সূত্রে নানা ভাবে ভারতীয়দের কাছে প্রত্যক্ষ করে তোলা হচ্ছে। সেই প্রত্যক্ষ করে তোলার ভাষা সংস্কৃতায়িত হিন্দি, কখনও সংস্কৃতায়িত হিন্দির অক্ষম অনুবাদ। শুধু তাই নয় এই দেশের আদর্শ অধিবাসী হতে গেলে কতগুলি চিহ্ন ও পরিচয়কে ধারণ করা আবশ্যিক বলে জানান দেওয়া চলছে। প্রশ্ন হল এই চিহ্নগুলির মধ্যেই কি তাহলে দেশ ও নাগরিকত্ব সীমিত হবে? দেশ ও নাগরিকত্ব বলতে কি তাহলে কেবল কতগুলি যান্ত্রিক লক্ষণকে বোঝায়?
প্রতিটি সমাজ-সংস্কৃতির নিজস্বতা থাকে। ভারতবর্ষের ইতিহাসের মধ্যেও নিজস্বতা আছে। সেই নিজস্বতা পাশ্চাত্যের সমাজ-সংস্কৃতির থেকে আলাদা। পাশ্চাত্যের কোনও দেশই ভারতবর্ষের মতো এতগুলি ভাষা ও ধর্মের সমবায়ে গঠিত নয়। এমনকী, ভারতবর্ষে এমন অনেক প্রদেশ আছে যা আকার-আয়তন-জনসংখ্যার নিরিখে পাশ্চাত্যের অর্থে দেশ হতে পারত। হয়নি। ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতির বিমিশ্রতায় তা নিজস্বতা নিয়েই ভারতবর্ষীয় হয়ে থেকেছে। ইংরেজরা এদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় যে ভাঙা স্বাধীনতা আমাদের কপালে জুটেছিল সেই ভাঙা-স্বাধীনতার রূপ রবীন্দ্রনাথ প্রত্যক্ষ করেননি– তাঁর বছর ছয়েক আগেই তাঁর প্রয়াণ হয়েছিল। তবে ভাঙা-স্বাধীনতার চেহারা না দেখলেও ভাঙনের স্বরূপ তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের অযোগ কেবল ভদ্রলোকের সঙ্গে সাধারণের নয়, আমাদের অযোগ হিন্দুর সঙ্গে মুসলমানেরও। এই অযোগ নির্মাণে ইংরেজদের প্রত্যক্ষ মদত ছিল। সেই ঔপনিবেশিক পলিটিক্যাল মতলবের দায় আমরা বহন করেছি। সেই দায় থেকে মুক্তির পথ অতীব কঠিন। তবে রবীন্দ্রনাথ তার একটা উপায় নির্দেশ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, হিন্দু-মুসলমান যদি তাঁদের প্রত্যেকদিনের যাপনের নৈকট্যে পরস্পরকে জানেন তাহলে অবস্থার উন্নতি হবে। সেই জানার চেষ্টা অবশ্য আমরা করিনি। আমাদের সমাজের মধ্যে সেই অজানা একরকম জানার দিকে কখনও কখনও অগ্রসর হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র ও নাগরিকত্বের চিহ্নের যথাযথ সীমার বাইরে সেই জানার বিশেষ সামাজিকতার খোঁজ রাষ্ট্র ও প্রশাসন রাখেনি। তবে যখন রাষ্ট্র ও প্রশাসন বিশেষ মতলবে দেশকে চিহ্নিত করার মহোৎসবে উপর থেকে পরিচয়পত্রের তথ্যে নাগরিকত্বকে নির্দিষ্ট করতে তৎপর তখন সেই সামাজিক জানা সংকটের মুখে পড়বে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আমাদের দেশের অবস্থা কী, তাহাই প্রথমে দেখা আবশ্যক।’ এই অবস্থা না দেখে বিশেষ স্বার্থগোষ্ঠীর ভোটের দিকে তাকিয়ে নাগরিক পরিচয়ের নতুন মহোৎসবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি না তো!
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি
পাশাপাশি এ-ও বলতে হবে, রবীন্দ্রনাথের আঁকা নারীমুখে যেমন অনেকে নতুন বউঠানের মিল খুঁজে পান, তেমনই কারও চোখে সেখানে উদ্ভাসিত ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আদল। এই দ্বিতীয় মতে, চিত্রী রবি ঠাকুরের চোখে ওকাম্পোর ছায়া নিঃসন্দেহে আরও প্রবলতর, কারণ নতুন বউঠান সেখানে দূর গ্রহান্তরের বাসিন্দা।