মধ্যযুগে খ্রিস্টধর্মের প্রভাবে শুরু হয় ঝাঁটা-সংক্রান্ত কুসংস্কারের আসল পোয়াবারো। অ্যাংলো-স্যাকসনদের প্রাচীন চিকিৎসা-গ্রন্থ ‘ল্যাকনুংগা’-তে ঝাঁটা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে দুষ্ট আত্মা দূর করার ফিকির বলা আছে। কিন্তু রাতে ঝাঁটা দেওয়া মানে আবার দেবদূতের সুরক্ষাও ঝেড়ে ফেলা। তাই সীমিত আলোয় জিনিসপত্র হারানোর বাস্তব সমস্যাকে ঈশ্বরের শাস্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করার এই অভিনব ভীতিকে, পাদ্রিরা রক মিউজিকের স্পিডে ছড়িয়ে দেয় সারা বিশ্বে।
১৯.
সূর্য ডুবে গেলে ঝাড়ু দেওয়া বা ঝাঁট দেওয়া নিয়ে ‘গেল গেল’ রব আজকের নয়। এমনকী সেই আদ্যিকাল থেকে টিকে যাওয়া এই কুসংস্কার সাফ করতে পারেনি খোদ ঝাঁটাও। একটা সাধারণ গৃহস্থালির কাজ হলেও, রাতের বেলায় ঝাঁটা হাতে নিলে অনেকরই ভুরু যায় কুঁচকে আর বুকের ভেতরটা ধরাস ধরাস করে আতঙ্কে। আশঙ্কা হয়– ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে সৌভাগ্য, সম্পদ, এমনকী নিদেনপক্ষে রক্ষাকবচটাও ঝেঁটিয়ে বিদায় হল বুঝি। তাই ঠা-ঠা রোদে যে ঝাঁটা পরিচ্ছন্নতার নিশান, রাতের আঁধারে সেটিই বিপদের দূত বা প্যাকাঠি ভুত।
এই কুসংস্কারের শুরু সম্ভবত দুটো ব্যাখ্যাকে কেন্দ্র করে। প্রথমটা বাস্তব সমস্যা, আলোর অভাবে রাতের অন্ধকারে ঝাঁট দিতে গিয়ে সোনার গয়না, রূপোর মুদ্রা বা অন্য দামি জিনিস অজান্তেই ময়লার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয়টা ছিল প্রতীকী। প্রাচীন যুগ থেকেই ঝাঁটা শুধু ঘর পরিষ্কারের উপকরণ ছিল না, ছিল অশুভ শক্তি তাড়ানোর প্রতীকও। ভূত ছাড়ানোর সময় ওঝাদের ঝাঁটাপেটা বিখ্যাত হয়েছিল সেই কারণেই। তাই অন্ধকারে সেসব বিদেহী শক্তিদের খুঁচিয়ে না জাগানোর জন্য ‘রাতে, ঝাঁটা নিয়ো না হাতে’ গোছের একটা অলিখিত মন্ত্র পপুলার হয়ে উঠেছিল ঘরে ঘরে।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে, প্রায় ১০,০০০ বছর আগে টুকরো টুকরো ডাল, পাতা বা খড় বেঁধে আদিম মানুষেরা ঝাঁটা বানাত। আগুনের চুল্লি বা থাকার জায়গা পরিষ্কার করতে মূলত ব্যবহৃত হত তা। তখন কিন্তু ঝাড়ু দেওয়াকে শুধু সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে দেখা হত না, বরং তার একটা মনস্তাত্ত্বিক দিকও ছিল। শুদ্ধ বাংলায় বলতে হলে বলা যেতে পারে চিত্তশুদ্ধি। মানুষ বিশ্বাস করত যখন কেউ বাতাসে ধুলো উড়িয়ে চারদিক পরিষ্কার করে, তখন তার মনেও পরিবর্তন আসে। নাগাড়ে ঝাঁট দিতে দিতে সে বিশ্বাস করতে শুরু করে, শুধু মাটির আবর্জনা নয়, মনের ময়লাও ঝাঁটার আঘাতে বুঝি দূর হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এই ভাবনার ওপর ভর করেই অশুভ আত্মা বা অপবিত্র শক্তিকেও দূর করার অস্ত্র হিসেবে ক্রমেই কদর বাড়ে ঝাঁটার।
প্রাচীন রোমান সমাজে, খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে খ্রিস্টীয় ৫০০ অব্দ পর্যন্ত ঝাঁটা একটি বিশেষ আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হত। সন্তান জন্মের পর মা ও নবজাতককে দুষ্ট আত্মার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে ঝাঁটার রক্ষাকবচে আবাহন করা হত। বিশ্বাস ছিল, ঝাঁটার দোলায় দুষ্টু শক্তি দূরে সরে যাবে। তবে রাত্রি যেহেতু ছিল ভূতপ্রেত আর অশরীরীদের রাজত্বকাল, তাই রাতের বেলায় এই ধরনের ঝাঁটা নাড়া উল্টে ইঙ্গিত দিত বিপদের। প্লিনি দ্য এল্ডার তাঁর ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ গ্রন্থে রাতের যে ভয়াল শক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, তার থেকেই বোঝা যায় রাত্রিবেলা ঝাঁটার ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল কেন?
কেল্টিক আর জার্মান লোকসংস্কৃতিতে ঝাঁটা আবার উর্বরতার প্রতীক। ফলনের পর, উৎসবের সময় নারী পুরুষের ঝাঁটার উপর দিয়ে লাফানোর চল ছিল। লৌকিক বিশ্বাস মতে এর কারণে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে আর বন্ধ্যাত্ব দূর হয়। ঝাঁটাগাছের ডালপালা ঘরে ঝুলিয়ে রাখার চলও অবশ্য বহু পুরোনো। অপদেবতা বা দুষ্ট পরী যতই খতরনাক হোক না কেন, সে যুগের বিশ্বাস ছিল ঝাঁটাগাছের ডাল দেখলে বাড়ির ভেতরে আসতে তারা সাহস পায় না। কিন্তু রাতে ঝাঁটা দেওয়া মানে আবার পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ বা অনুগ্রহ ঝেড়ে ফেলা। আজকের ‘হ্যালোউইন’ বিখ্যাত হওয়ার অনেক আগেই কেল্টিকরা বিশ্বাস করত ‘সামহেন’ উৎসবের সময় মৃত আত্মারা নেমে আসে, পুরোনো আর নতুন বছরের সন্ধিকালে। জীবিত আর মৃতের দুনিয়ার মাঝের ফারাকটা তখন এতটাই পাতলা হয়ে যায় যে রাতের অন্ধকারে সেসময় ঝাঁটা দিলে সে ফারাকটি দৈবাৎ মিটে যাওয়ারও চান্স থাকে। তাই রাতের বন-ফায়ারে ঝাঁটার প্যাকাঠি ছুঁড়ে দেওয়া গেলেও ঝাঁট দেওয়া ছিল নৈব নৈব চ।
ভারতবর্ষে গৃহ হল ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক। লক্ষ্মী দেবী সেখানে বাস করেন। ঝাঁটা হল তাঁর আগমন-অবস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যম। তাই সূর্যাস্তের পর ঝাঁট দেওয়া মানে মা লক্ষ্মীকে তাড়িয়ে দেওয়ার সংকেত। আমাদের দেশে মা লক্ষ্মী যেহেতু প্রাচুর্যেরও প্রতীক তাই অন্ধকারে দামি জিনিস হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত এই রূপকের জন্ম। প্রাচীন চিনে ঝাঁটা ‘ইয়িন’ শক্তি– অর্থাৎ নারীত্ব, অন্ধকার ও শান্তির সঙ্গে যুক্ত। তাই বিশ্বাস ছিল রাতের বেলায় ঝাঁট দিলে এই ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ভূতেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যা যথেষ্ট।
আফ্রিকান লোককথায় আবার রাতকে পূর্বপুরুষদের সময় বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। নাইজেরিয়ার ইয়োরুবা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস, রাতে ঝাঁটা দিয়ে ধুলো উড়লে পূর্বপুরুষদের আত্মারা অশান্ত হয়ে ওঠে। সম্ভবত ধুলোবালি নাকে-মুখে ঢুকে গেলে আমাদের মতো আত্মাদেরও সাফোকেশন হয়। সে জন্যে রেগে মেগে তাঁরা হয়তো দারিদ্র আর অসুখ ডেকে আনে জীবিতদের জীবনে। মিশরীয় সভ্যতায় কিন্তু ঝাঁটা প্রধানত ব্যবহার হত মন্দির পরিষ্কারে। রাতে দেবতাদের শয়নকালে সাধারণ মানুষের ঝাঁটা ব্যবহার করা মানে তাই দেবতাদের প্রতি অবমাননা। আফ্রিকার মালি সাম্রাজ্যের গায়ক-গল্পকারদের জবানিতে, রাতের ঝাঁটায় বিরক্তির উদ্রেক হতে পারে জ্বিন বা পূর্বপুরুষদের। যাঁরা ইচ্ছে করলেই নামাতে পারেন খরা।
মধ্যযুগে খ্রিস্টধর্মের প্রভাবে শুরু হয় ঝাঁটা-সংক্রান্ত কুসংস্কারের আসল পোয়াবারো। অ্যাংলো-স্যাকসনদের প্রাচীন চিকিৎসা-গ্রন্থ ‘ল্যাকনুংগা’-তে ঝাঁটা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে দুষ্ট আত্মা দূর করার ফিকির বলা আছে। কিন্তু রাতে ঝাঁটা দেওয়া মানে আবার দেবদূতের সুরক্ষাও ঝেড়ে ফেলা। তাই সীমিত আলোয় জিনিসপত্র হারানোর বাস্তব সমস্যাকে ঈশ্বরের শাস্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করার এই অভিনব ভীতিকে, পাদ্রিরা রক মিউজিকের স্পিডে ছড়িয়ে দেয় সারা বিশ্বে।
মধ্যযুগেই ইউরোপে যখন ডাইনিবিদ্যার উত্থান ঘটল, তখন, ১৩২৪ খ্রিস্টাব্দে অ্যালিস কাইটেলার নামের এক আইরিশ সুন্দরী উইচ-ক্রাফ্টিং-এর জন্য অভিযুক্ত হন। ওঁর প্রতি করা সাতটা অভিযোগের মধ্যে একটি হল– তাঁর কাছ থেকে উড়ন্ত ঝাঁটার বিশেষ রসায়ন পাওয়া যায়। ‘হ্যারি পটার’ বা ‘কিকিজ ডেলিভারি সার্ভিস’ আসার অনেক আগেই, ১৪৫১ সালে মার্টিন লে ফ্রঁর-এর ‘Le Champion des Dames’ কাব্যগ্রন্থে মহিলাদের ঝাঁটার উপর চড়ে উড়ে বেড়ানোর ছবি প্রথম প্রকাশিত হয়। ডাইনিবিদ্যার বিচরণকাল যেহেতু মধ্যরাত, তাই এই ছবি রাতে ঝাঁট দেওয়ার ট্যাবুকে ডাইনিবিদ্যার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল আরও বেশি করে। এর কারণ অবশ্য ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত অ্যালকেমি আর অকাল্ট বিদ্যা নিয়ে লেখা জোহানেস হার্টলিইবের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Book on All Forbidden Arts’। এই বই থেকেই এই ধারণা প্রথম ছড়িয়ে পড়ে যে ডাইনিরা ঝাঁটার দণ্ডে ওষুধ মাখিয়ে উড়ে যায়। লক্ষণীয়, এটা সেই যুগ যখন প্লেগ আর যুদ্ধ মানুষের মধ্যে ভয় এতটাই বাড়িয়ে তুলেছিল যে, অন্য অনেক কুসংস্কারের মতোই রাতে ঝাঁট দেওয়ার কুসংস্কারও হয়ে ওঠে সর্বজনবিদিত।
রেনেসাঁর যুগে ঝাঁটা আর ডাইনিবিদ্যার সংযোগ আরেকটু জোরদার হয়। আলব্রেখ্ট ড্যুরারের বিখ্যাত পেন্টিং-এ দেখা যায় নগ্ন ডাইনিরা ঝাঁটায় চেপে উড়ছে। যদিও শেক্সপিয়ারের ‘ম্যাকবেথ’-এ ডাইনি থাকলেও সেখানে তাদের ঝাঁটা আবার খুব একটা আমল পায়নি। কিন্তু ঔপনিবেশিকদের সুবাদে এই কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ইউরোপীয়রা আমেরিকায় গেলে তারা সঙ্গে করে এই অন্ধবিশ্বাসও নিয়ে যায়। ১৬৯২ সালে ম্যাসাচুসেটস-এর সেলেম গ্রামে ডাইনিবিদ্যার যে মামলায় ২০০ জন অভিযুক্ত হন– তার মধ্যেও ডাইনির উড়ন্ত বাহন হিসেবে ঝাঁটার উল্লেখ করা হয়। এরপর আফ্রিকান দাসরা নিয়ে আসে ইয়োরুবা-আফ্রিকান বিশ্বাস, যা ইউরোপীয়দের ঝাঁটা-সংক্রান্ত ভয়ের সঙ্গে মিশে গড়ে তোলে আরও নতুন নতুন কুসংস্কার। যেমন– আফ্রিকান-আমেরিকানদের বিয়েতে মূলত দাসপ্রথার কাল থেকেই ঝাঁটার উপর লাফানোর ট্র্যাডিশন চালু আছে। এক্ষেত্রে ব্যাপারটি যদিও কুসংস্কারের থেকেও প্রতিবাদের সংস্কার হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি। যৌথ ভবিষ্যতের শুভ কামনায় আফ্রিকান-আমেরিকান দাসেরা এভাবেই ঘোষণা করত তাদের বিবাহের। দাস মালিকরা যেহেতু মালিকানা লঙ্ঘিত হওয়ার ভয়ে দাসদের বিবাহকে মর্যাদা দিতে চায়নি কখনও, তাই এই ‘ব্রুম জাম্পিং’-ই সম্ভবত ছিল দাসদের প্রতিবাদ। লাতিন আমেরিকানরা আবার বিশ্বাস করত, কারও পায়ে যদি ঘুণাক্ষরেও একবার ঝাঁটা লেগে যায়, তবে সে অবিবাহিত থেকে যাবে চিরকাল। সেক্ষেত্রে ঝাঁটায় থুতু ফেলে নিয়ে তখন সে অভিশাপ কাটিয়ে নেওয়াই ছিল রীতি।
অবাক করা বিষয় হল, আমাদের বাড়ির মা-ঠাকুমাদেরও দেখেছি পায়ে ঝাঁটা লাগলেই অস্ফুটে ‘থু থু’ করে মাথায় দিত হাত ছুঁয়ে। সুদূর লাতিন আমেরিকা থেকে এই তুকতাকের বিশ্বাস সম্ভবত ঔপনিবেশিকদের হাত ধরেই কোনওভাবে ঢুকে পড়েছিল এদেশে। তারপর কচুরিপানার মতোই তা হয়ে উঠেছে ভারতের জলবায়ুর একান্ত আপন। কিন্তু রাতে ঝাঁট দেওয়া অন্যান্য সভ্যতায় অপয়া, অমঙ্গলের হলেও, আমাদের কাছে যে অলক্ষ্মী– এ ধারণা আমাদের নিজস্ব। কারণ আমাদের পরিভাষায় অপয়া আর অলক্ষ্মী, যাহাই বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন-র মতো মোটেও এক নয়।
……………..অপয়ার ছন্দ অন্যান্য পর্ব……………..
পর্ব ১৮। তিল থেকে তাল
পর্ব ১৭। অন্ধবিশ্বাস মাথাচাড়া দিলে ‘অপয়া’ হয় মাথায় হাত
পর্ব ১৬। চুল তার কবেকার অন্ধকার অপয়ার নিশান
পর্ব ১৫। যে আত্মীয়তার ডাককে অপয়া বলে বিকৃত করেছে মানুষ
পর্ব ১৪। অকারণে খোলা ছাতায় ভেঙে পড়েছে পাবলিক প্লেসে চুমু না-খাওয়ার অলিখিত আইন
পর্ব ১৩। দলবদলু নেতার মতো ধূমকেতু ছুটে চলে অনবরত
পর্ব ১২। কখনও ভয়ংকর, কখনও পবিত্র: দাঁড়কাক নিয়ে দোদুল্যমান চিন্তা!
পর্ব ১১। শুধু একটা হ্যাঁচ্চো– বলে দেবে কীভাবে বাঁচছ
পর্ব ১০। অপয়ার ছেলে কাঁচকলা পেলে
পর্ব ৯। চোখের নাচন– কখনও কমেডি, কখনও ট্র্যাজেডি!
পর্ব ৮। জুতো উল্টো অবস্থায় আবিষ্কার হলে অনেক বাড়িতেই রক্ষে নেই!
পর্ব ৭। জগৎ-সংসার অন্ধ করা ভালোবাসার ম্যাজিক অপয়া কেন হবে!
পর্ব ৬। প্রেম সেই ম্যাজিক, যেখানে পিছুডাক অপয়া নয়
পর্ব ৫। ডানা ভাঙা একটি শালিখ হৃদয়ের দাবি রাখো
পর্ব ৪। জন্মগত দুর্দশা যাদের নিত্যসঙ্গী, ভাঙা আয়নায় ভাগ্যবদল তাদের কাছে বিলাসিতা
পর্ব ৩। পশ্চিম যা বলে বলুক, আমাদের দেশে ১৩ কিন্তু মৃত্যু নয়, বরং জীবনের কথা বলে
পর্ব ২। শনি ঠাকুর কি মেহনতি জনতার দেবতা?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved