Robbar

পুকুরের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে লোককথা আর লোকবিশ্বাস

Published by: Robbar Digital
  • Posted:September 9, 2025 7:49 pm
  • Updated:September 9, 2025 7:49 pm  

এখন গ্রামগঞ্জ থেকে পুকুরে স্নান করাটাই উঠে গেছে। ঘরে ঘরে টিউবয়েলের দেদার জল। পুকুরের ঘাটে ঘাটে জমেছে শ্যাওলা দাম। পাড় কেটে হয়েছে জমি। পুকুর গেছে মজে। পাঁক আর কেউ তোলে না। পুকুরের গৌরব মহিমা এখন যেন অস্তমিত। অথচ পুকুরকে কেন্দ্র করে কত লোকশ্রুতি, কত লোক ইতিহাস।

স্বপনকুমার ঠাকুর

৩.

গ্রাম গঞ্জ শহর। মিলবে পুকুর দিঘি সায়র। তবে শহর বা শহরতলির অধিকাংশ পুকুর বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আইনের বাঁকা পথে। একেই বলে বোধহয় ‘পুকুর চুরি’। গ্রামের পুকুর মজে হেজে যাচ্ছে সংস্কারের অভাবে। কী আশ্চর্য! পুকুর বোজানোর খবর হামেশাই পেলেও পুকুর কাটানোর খবর কোথায়!

অথচ হাজার হাজার বছর ধরে পুকুরই মানুষের জলের প্রয়োজনের চার ভাগের তিন ভাগ মিটিয়েছে। পানীয় জল, সেচের পানি, ভূগর্ভস্থ জলস্তরের সাম্য– সবই পুকুরের দান। তাই বাংলা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির সিংহভাগ জুড়ে হয়েছে পুকুরমালা।

বনেদি গ্রাম বলতেই পুকুরের আধিক্য। রাঢ় অঞ্চলের একেকটি গ্রামে অন্তত ৫০-টি পুকুর আছেই। জাত-পদবির নামেই পরিচিত পুকুরগুলি– ধোপাপুকুর, তাঁতিপুকুর, বামুনপুকুর, মোড়লপুকুর, খাঁয়ের দিঘি ইত্যাদি। ঠাকুরদেবতার নামেও কম নেই– ঠাকুরপুকুর তো আছেই, তাছাড়া গোবিন্দসায়র, বিনোদসায়র, গঙ্গাসাগর, কালীদিঘি, পিরসায়র। আরও আছে গাছপালা আর ফুলের স্মৃতি জড়িয়ে পুকুরমালা– পদ্মপুকুর, তালপুকুর, বোলবাঁধ, বটদিঘি।

নানা আকার নানা প্রকারের পুকুর। যেমন নেহাতই ছোটখাটো ঘরোয়া পুকুর ‘ডোবা’ বা ‘গড়ে’। এসব পুকুরের জল চোত-বোশেখ মাস থেকেই শুকিয়ে চচ্চরি। মাঝারি মাপের পুকুর সাধারণত আয়তাকার। একসময় চাষবাসী লোকেদের কাজ ছিল বোশেখ-জষ্টিমাসে পুকুর থেকে পাঁক তোলা। আষাঢ় মাস পড়লেই শুকনো পাঁকের চ্যাঙর গো-গাড়িতে বয়ে নিয়ে জমিতে ছড়িয়ে দিত। এতই তার জোর, মুরুব্বি সাবধান করতেন– ‘বেশি দিস না, ধান পাতিয়ে যাবে’।

আরেক রকমের পুকুর বড় দিঘি বা ‘বাঁধ’। আয়তাকার ও প্রকাণ্ড। জল মরে না। বর্ষাকালে রূপ তার বিভীষিকা। তলিয়ে খবর নিলে জানা যায় রাজারুজিদের কাটানো কিংবা পরিত্যক্ত নদীখাতের ছেড়ে আসা ভালোবাসা। যেমন ‘নৈপুকুর’ বা ‘নৈদে’, মানে নদীর দহ। এসব পুকুরকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কত লোকায়ত গল্প, লোকসংস্কৃতি।

নানা নামের পুকুর নানা যুগের স্মৃতি বহন করে চলেছে। এমন অনেক জনজাতি ছিল, যারা গ্রাম থেকে লুপ্ত, যেমন– তুরুক পুকুর। মধ্যযুগের তুর্কিদের স্মৃতি উথলে ওঠে। কিংবা গর্দানমারীর পুকুর। গর্দানমারী নামক ঠগী বা ঠ্যাঙ্গারে দস্যুরা অতীতে এই পুকুরের পাড়ে তাদের আড্ডা গড়ে তুলেছিল। 

গ্রামে একটা করে ঠাকুরপুকুর থাকবেই। সেখান থেকে দেবদেবীর পুজোর ঘট আসে। কলাবউ আসে। শিবের গাজনে বাণেশ্বর চান করতে যায়। ধর্মরাজের গাজনে মুক্তস্নান হয়। ধর্মারাজের স্নানঘর থাকে ঘাটের মাথায়। মেয়েরা বিয়ের জল সইতে আসে। আর ঠাকুর-দেবতারা জলশয়ানে যায়।

ঠাকুরপুকুরে পদ্ম ফুটলে আলাদা মর্যাদা। সে তখন পুকুরের মধ্যে যেন বামুনঠাকুর। বাড়তি সমীহ আদায় করে। তবে পদ্মপুকুর বড় মারাত্মক। একসময় গাঁয়ে বিয়ে-থা-অন্নপ্রাশনে ভরসা ছিল পদ্মপুকুরের পদ্মপাতা। গোরু-মোষকে জাবনা দেবার ডালায় চেপে পদ্মপাতা তুলতে গিয়ে দেখেছিলাম পদ্মপুকুরে ছোট ছোট পদ্মকেউটে সাপ! ইঞ্চি কয়েক লম্বা। মেটে মেটে রঙ। গায়ে চন্দ্রবোড়ার মতো ছাপ-ছোপ। পদ্মফুলের ভিতরে পদ্মগন্ধে বিভোর হয়ে গুটি পাকিয়ে পড়ে।

জমিদারি আমলে নিজেদের ব্যবহার করা পুকুর তাদের অহংকার। কাচস্বচ্ছ জল। সিঁড়ি বাঁধানো ঘাট। দু’ পাশে ঢেউ তোলা রেলিং। শেষ প্রান্তে জোড়া কার্নিশে হাতির শুঁড়। তার নিচে জলঘর। কপাট যুক্ত। প্রয়োজনে কপাট খুলে জল ভরে নিয়ে আবার এঁটে দেওয়া হত। জলঘরে স্নান করতেন জমিদারের সুন্দরী স্ত্রী-কন্যারা।

‘পথের পাঁচালী’ ছবিতে গ্রাম্য পুকুরের দৃশ্য

আরও আছে জলঘর। নাম তার ‘চাঁদনি’ বা ‘জলটুঙি’। দু’ পাশে ইট বাঁধানো পরিখার উপরে রাস্তা। মাঝে জলটুঙি বা চাঁদনি। সেখানে বাইজির আসর বসত। মদের ফোয়ারা ছুটত। বেজে উঠত সংগীতের জলতরঙ্গ। পূর্ণিমার মত্ততা ছড়িয়ে পড়ত গহীন জলাশয় জুড়ে।

এমন এক জলটুঙি আছে গুসকরার কাছে দিগনগর গ্রামে।

স্মৃতিটা এখনও মনের পুকুরে ভাসে। আটটা থেকে জেগে উঠেছে বিশাল দিঘি। চারপাশে ঘাট। প্রতি ঘাটে ব্যস্ততা। কিশোরী মেয়েরা নাইতে এসেছে। জলাশয়ে ঘড়া ভাসিয়ে দুই সখি মুখোমুখি সাঁতার কাটছে। ফাঁকে ফাঁকে গোপনকথা বিনিময় হচ্ছে। মুখুজ্জ্যে মশাই ব্যস্ত মানুষ। পুজো আছে চার ঘরে। মেয়েদের মাঝে দ্রুত নেমে ভুক ভুক করে ডুব দিয়ে জোড়হাত করে মন্ত্র উচ্চারণ করছেন– ‘ওঁ জবাকুসুমং…’। 

ঘাটের একপাশে একটানা ধুপধাপ শব্দ। আসছে পুজো, চলছে কাপড় কাচা। দিঘির মাঝবরাবর একদঙ্গল হাঁস। থেকে থেকে কোলাহল। ঘাটের পাশে এলেবেলে খেজুর গাছ। সেখান থেকে মাছরাঙা ঝুপ করে জলে এসে পড়ে। বাগদি পাড়ার সদ্য বিয়ে হওয়া বউটি শাশুরির সঙ্গে গুগুলি ধরছে। এক হাত জলে সেঁদিয়ে ভাসমান ঠিলিতে ভরছে গুগলি আর শামুক।

অদূরে বাউড়ি পাড়ার যুবকটির দৃষ্টিতে তখন নয়নের নেশা। গোরু মোষের গা ধোয়াতে ধোয়াতে বউটির সিক্ত যৌবনের একফালি রূপ দেখে বড্ড নিলাজ। শাশুড়ির সতর্ক ইশারায় বউটি দিক পরিবর্তন করে।

শরতের দুপুরে এক খাবলা রঙবেরঙের আকাশ চুরি করে থম মেরে আছে। তারপর সব ফাঁকা। স্তব্ধতার বৃত্ত জুড়ে শূন্যতা খাঁ খাঁ করে। সূর্যের প্রতিবিম্ব চকচকে রুপোর থালার মতো চলকে ওঠে চোখে। বিকেল কত শান্ত আর মায়াবি। সূর্য নিভে গেলে সার্সি বাঁধানো আয়নার মতো রূপ ধরে স্তব্ধ অতল দিঘি। রাত নামে পুকুরে। দাদু-দিদা মারা গেলে নাতিপুতিরা হ্যাজাক জ্বালিয়ে পুকুরে যখন দোলা ভাসাতে আসে, তখন আলোকরেখায় চেনা পুকুর বড় অচেনা। বড় মায়াবি।

এখন গ্রামগঞ্জ থেকে পুকুরে স্নান করাটাই উঠে গেছে। ঘরে ঘরে টিউবয়েলের দেদার জল। পুকুরের ঘাটে ঘাটে জমেছে শ্যাওলা দাম। পাড় কেটে হয়েছে জমি। পুকুর গেছে মজে। পাঁক আর কেউ তোলে না। পুকুরের গৌরব মহিমা এখন যেন অস্তমিত। অথচ পুকুরকে কেন্দ্র করে কত লোকশ্রুতি, কত লোক ইতিহাস। 

আঞ্চলিক ইতিহাসের এক একটা রঙিন পাতা।

মুর্শিদাবাদের নবাব দরবার। খাজনা মেটাতে হাজির বড় বড় জমিদার। কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। সমুদ্রগড়ের সমুদ্র সেন। পাটুলির রাজা মনোহর দত্ত। বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচন্দ্র রায়।

বৈশাখমাস। কীর্তিচন্দ্র ফিরে যাচ্ছেন নিজ বাসভবনে। ঝাঁ ঝাঁ করছে দুপুর। রাজা ঘোড়া ছুটিয়ে চলেছেন কাটোয়া বর্ধমানের পথে। হঠাৎ তাঁর তৃষ্ণা পেল। আশেপাশে কোথাও পুকুর বা জলাশয় দেখতে পেলেন না। ভাবলেন অদূরে আছে বুঝি।

অবন ঠাকুরের ছবিতে পুকুরের দৃশ্য

ঘোড়া ছুটিয়ে এক জায়গায় থামলেন। দরদর করে ঘামছেন। প্রবল তৃষ্ণায় ওষ্ঠাগত প্রাণ। দেখলেন কেউ কোথাও নেই। আর একটু অগ্রসর হয়ে দেখলেন, বিরাট বটগাছের নাবাল ধরে কয়েকটা রাখাল বাগাল খেলা করছে গোরু চড়াতে এসে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখানে পুকুর আছে?’ 

–পুকুর তো নেই। অনেক দূরে আমাদের বাড়ি।

রাজা পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘শিঘ্রি গ্রামে যাও। এক লোটা জল নিয়ে এসো।’

বহুক্ষণ পরে কাদায় গোলা জল এল। রাজা তাই পান করে কৃতজ্ঞ চিত্তে বললেন, ‘এক কাজ কর– এক ছুটে যতটা যেতে পারবে, তত বড় দিঘি আমি কাটিয়ে দেব।’

পরবর্তীকালে রাজা যে দিঘি কাটিয়ে দিয়েছিলেন তার নাম হলো ‘যজ্ঞেশ্বরদিঘি’। প্রায় ৪০০ বিঘার হ্রদতুল্য দিঘি আজও বর্ধমান জেলার অন্যতম দ্রষ্টব্য জলাশয়। এই দিঘিকে নিয়ে অষ্টাদশ শতকে রচিত হয়েছিল গ্রাম্যগাথা।

রাজা রাজ বলো হো
জাগেশ্বরে দিয়ে দিঘি নাম রহিল।।

সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামের ধামাচে দিঘি আরও বৃহৎ। দেবী যোগাদ্যা একসময় এই দিঘির জল শয়ানে থাকতেন। একদিন হল কী– এক শাঁখারি ধামাচের পাড় দিয়ে হেঁটে চলেছে গ্রামে শাঁখা বিক্রি করতে। 

জলশয়ান ছেড়ে দেবি মায়া পাতলেন। ধামাচের ঘাটে রাঙা টুকটুকে বৌটি হয়ে চান করছেন। 

হঠাৎ শাঁখারিকে দেখে ডাকলেন– ‘আমি শাঁখা পরব। আমায় শাঁখা পরিয়ে দাও।’

ক্ষীরগ্রাম সতীপিঠের দেবী যোগাদ্যা

শাঁখারি ইতস্তত করতে লাগলেন। দেবীও নাছোরবান্দা। শাঁখা পরে দেবী বললেন, ‘আমি যোগাদ্যার পুরুত ঠাকুরের মেয়ে গো। মন্দিরের কুলুঙ্গিতে পাঁচ টাকা রাখা আছে। চেয়ে নাও গে বাবার কাছ হতে।’

শাঁখারির কথা শুনে পুরুত তো আকাশ থেকে পড়ল। প্রথমটা শাঁখারিকে মন্দ লোক ভাবলেও সন্দেহ শুরু হল অন্যরকম।

বললে– ‘চলো। কোথায় আমার মেয়ে?’

ধামাচে তখন জনশূন্য। রোদ ছমছমে দুপুর। কেউ কোত্থাও নেই। এই তো সব কত লোকে চান করছিল। এক নিমেষেই হাওয়া? চাদ্দিকটা যেন থমথমে। শাঁখারি প্রাণপণে ডাকতে শুরু করলেন দেবীকে। সব চেষ্টা বিফল।

শাঁখারি অপমানিত হয়ে ফিরে যাচ্ছে মাথা হেঁট করে। এমন সময় দিঘির নিস্তরঙ্গ মাঝজল আলোড়িত হল। দু’ জন ঘুরেই দেখতে পেল, প্রণামের ভঙ্গিতে শাঁখা পরিহিত জোড়া হাত! 

উত্থিত হল বারেকের জন্য। তারপর ডুবে গেল অতলে। এ যেন কালীদহে কমলে কামিনী!

–দেখ দেখ গায়ে কীরকম কাঁটা দিয়ে উঠেছে!

যে আমাকে গল্পটি বলছিল তার গায়ে অদ্ভুত রোমাঞ্চ। গল্পে অবিশ্বাস করিনি। বলতে গিয়েও তাকে বলিনি, এই গল্প শুধু ক্ষীরগ্রামের ধামাচেই আটকে থাকেনি। বাংলার অনেক দেবীর অলৌকিক মাহাত্ম্যে যুক্ত হয়েছে।

পুরাতন জমিদারবাড়ির পুকুর

পিরপুকুরগুলিকে নিয়ে আবার অন্য গল্প। দরিদ্র হাড়ি মুচি বাগদি বাউড়ি সমাজের শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষ। মেয়ের বিয়ে কিংবা মা-বাবা মারা গেছে। বড় দায়। গায়েগতরে খেটে ধার-ধোর করে ক’টা টাকাও জোগাড় করেছে।

দু’-চারটে লোক তো খাওয়াতে হবে। ভদ্দরলোকেরা বাসন-কোসন দেবে না। না দিক গে। জাগ্রত পির বাবা আছে। সোঁ কাপড়ে সোঁ চুলে একমনে এক ধ্যানে পুকুরে গিয়ে বাবার কাছে আর্জি জানাতে হবে।

তারপর পুকুরের পানিতে হাত ডোবালেই মিলবেই বাসন কোসন থালা কড়াই বাটি। কাজকম্ম মিটে গেলে আবার ওইভাবেই জলে ডুবিয়ে দিলেই হল।

একবার হল কী– গাঁয়ের এক লোভী পুরুতঠাকুর আর বাবার বাসন-কোসন ফেরত দেয়নি। ব্যস! বাবা রেগে বাসন দেওয়া বন্ধ করে দিল।

শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে কত পুকুর গাল-গল্প নিয়ে বেঁচে আছে লোকমানসে– ভাবতে অবাক লাগে। কোন পুকুরের নাম বিষপুকুর। বিশ্বাস হল– বিছে বোলতা এমনকী কুকুরে কামড়ালে বিষের জ্বালা থেকে মুক্তি পাবে বিষপুকুরে চান করলে। মঙ্গলকোট অঞ্চলে বেশ কয়েকটি পুকুরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে করুণ আলেখ্য। যেমন মুণ্ডুমালা কুণ্ডুপুকুর জীয়তকুণ্ডু ইত্যাদি।

পটচিত্রে পুষ্করিণী কথা

বর্ধমানের কামালের মাঝমাঠে এক পুকুরদেবীর পুজো হয়। ভারী মজার সেই দেবী। কারও গায়ে জুত নেই, শরীর-মন ভালো নেই, সবসময় গা-হাত-পা ম্যাজম্যাজ করছে। কিচ্ছুটি করতে হবে না। একটা জুতসই চালকুমড়ো এনে শুধু পুকুরদেবীর নাম করে ঝপাং করে ফেললেই দেবী সন্তুষ্ট। 

এই উপলক্ষে মেলা বসে মাঘ মাসে। কত দূর দূর থেকে বয়স্ক মহিলারা কাঁখালে করে চালকুমড়ো ভাসান দিতে আসে তার শেষ নেই।

………………..পড়ুন ঠাকুরদার ঝুলির অন্যান্য পর্ব………………..

পর্ব ২: পৌরাণিক হিন্দু ও বৌদ্ধ সাহিত্যে দেবতা অথবা মানুষের বন্ধু হিসেবেই স্থান পেয়েছে কুকুর

পর্ব ১: সেকালের ডাকাতির গপ্প