Robbar

ছবির শরীর, শরীরের ছবি

Published by: Robbar Digital
  • Posted:December 28, 2025 9:00 pm
  • Updated:December 28, 2025 9:10 pm  

ক্রীড়াবিদদের শরীর এক একটা বিশেষ যন্ত্র, যা তাদের নিজেরই গড়া। সব ক্ষেত্রেই অ্যানাটমির জ্ঞান একান্তই প্রয়োজন, আর তা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে আঘাত প্রতিরোধে। স্ট্রেচিং, ওয়ার্মিং-আপ, কুলিং– সবই শরীরের পেশি ও স্নায়ুর বৈজ্ঞানিক চাহিদা অনুযায়ী তৈরি। ফলে একজন ক্রীড়াবিদ দীর্ঘদিন সুস্থ থেকে নিজের দক্ষতা বজায় রাখতে পারে। অ্যানাটমি কেবল চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিষয় নয়, এটি শারীরিক শিল্প ও কৌশলের ভিত্তি। বলা যায়, যেখানে শরীরই প্রধান হাতিয়ার, সেখানে অ্যানাটমি নীরব, কিন্তু অপরিহার্য।

সমীর মণ্ডল

১৬.

সময়ের বহমানতা মেনে একটা বছরের চলে যাওয়া আর একটার আগমন। পুরনো-নতুন, অতীত-বর্তমান, এইসব। কবির কল্পনায় আলতো বিসর্জনের মতো একে একে মিলিয়ে দেওয়া শরীরের পুরনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।

‘প্রথমে পোড়াও ওই পা দুটি যা চলচ্ছক্তিহীন,
তারপর যে হাতে আজ প্রেম পরিচ্ছন্নতা কিছু নেই।’

কবিতা-কাব্য-মহাকাব্যের কথার মান্যতা দিয়েও কী করে ভুলতে পারি নিজের শরীরকে। এই যে আমার সামনে এখন পাতাভরা ছাতিম গাছের ডালে দুটো সবুজ টিয়াপাখি আর রেলিংয়ে বসে কিচিরমিচির করে সঙ্গীর সঙ্গে কীসব কথা কইছে শালিক জুটি। কীভাবে ইচ্ছে করে সরিয়ে রাখি এই শ্রবণ। গায়ে এসে লাগছে যে রোদমাখা হালকা হাওয়া, তাকে মুছে ফেলার কোনও ইচ্ছে নেই আমার। অথবা সাতসকালে এই যে আমার হাত লিখে চলেছে কিছু, মুছে চলেছে অনেক কিছু, আর আপনার দৃষ্টি, প্রিয় পাঠক, আহরণ করছে সেই অক্ষর, সেই শব্দ একে আমরা কীভাবে অস্বীকার করতে পারি!

অর্জুন ও কৃষ্ণ, ভগবদগীতা চিত্র

শরীরকে ক্ষণস্থায়ী, আত্মার পরিধান হিসেবে চিহ্নিত করছে ভাগবত গীতা। একটি নশ্বর, পরিবর্তনশীল বাহক বা পোশাকমাত্র। শরীরের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি ত্যাগ করে নিজের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করাই গীতার মূল শিক্ষা। আত্মাকে তার আধ্যাত্মিক যাত্রা সম্পন্ন করতেই শুধু সাহায্য করে শরীর। এর প্রতি আসক্তি ত্যাগ করাই মুক্তির পথ।

বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহ্ণাতি নরোঽপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্য-ন্যানি সংযাতি নবানি দেহী॥

মন থেকে মানতে কষ্ট হয়। বরং মনে হয় মানব শরীরই এক ‘মহাকাব্য’। প্রতিটি অঙ্গ, অংশ, প্রতিটি কোষ, শরীরের প্রতিটা অভিজ্ঞতা সে মহাকাব্য ছাড়া আর কিছু হতেই পারে না। শরীর সংগ্রাম, জয়-পরাজয় এবং বিবর্তনের গল্প বলে। শরীরেও থাকে শক্তি ও দুর্বলতার দ্বন্দ্ব। আত্মাকে যখন চিনি না, জানি না তখন সাধারণ মানুষের মতোই আমার বোধবুদ্ধি। ভাবতে ইচ্ছে করে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যা জ্ঞানদান, তা তো তাঁর মুখ দিয়ে চোখ দিয়ে, তার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে। একটা মহাযুদ্ধের সন্ধিক্ষণ সামলানোর জন্য বানানো ভাষা, একটা অস্ত্র। যেটাকে প্রয়োগ করে অর্জুনকে দিয়ে একটা যথাযথ কার্যসিদ্ধির ইচ্ছা। শরীরও তো কখনও অস্ত্র, জীবনের মহাকাব্যিক সংগ্রামের অংশ।

‘ভারি সত্য’ থেকে চলে আসি এবার সহজ সরল সত্যতায়, সরলতায়, গল্পে। খুব ছোটবেলায় সচেতনভাবে মানুষের শরীর যে একটা ব্যাপার, সেইটা প্রথম মাথায় এসেছিল সার্কাস দেখে। সার্কাসের শিল্পীরা যেন জীবন্ত একটা অ্যানাটমিকাল বিস্ময়। ব্যালান্স রেখে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ভুল প্রমাণ করে তারা অদ্ভুতভাবে বাতাসে শরীরের সুরেলা কবিতা বা সূক্ষ্ম সংগীত তৈরি করে। তখন মনে হয় মানুষের শরীর কেবল একটি জৈবিক কাঠামো নয়, একটা শক্তি, দক্ষতা ও নান্দনিকতার আধার।

ট্রাপিজ আর্টিস্টস ইন সার্কাস, ১৮৯০-এর লিথোগ্রাফ

বাবা হাড়-জিরজিরে শরীর নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে সাইকেল চালিয়ে বহু মাইল দূরে প্রতিদিন স্কুলে যায় আবার ফিরে আসে, সে শরীর কিংবা মায়ের হাড়ভাঙা খাটুনির পর অকাতরে ঘুমিয়ে পড়া যে শরীর, সে শরীরের কোনও আবেদন ছিল না আমার কাছে ছেলেবেলায়। বরং পাড়ার পাঁচু-গুন্ডা তার শরীরের পেশি ফুলিয়ে যখন যাত্রাপালায় ডাকাতের অভিনয় করত সে শরীরের দৃশ্য ভুলতাম না বহুদিন।

নীলমণি দাশের, ব্যায়ামে শরীর শিক্ষার চার্টে তাঁর শরীরখানা বড্ড মনে ধরেছিল আমাদের উঠতি বয়সে। আমরা তখন হাতাওলা গেঞ্জি ছেড়ে স্যান্ডো ধরেছি। মেয়েরা ফ্রকের ওপর চাদর জড়িয়ে বাইরে বেরয়।

শরীর তৈরির কাণ্ডকারখানা পাড়ায় পাড়ায়। রাখাল, তেঁতুল গাছের উঁচু ডাল থেকে নিচে জলে লাফ দিতে গিয়ে, জল ছোঁয়ার আগে শূন্যে দু’বার শরীরের ঘুরপাক। হারাধন, পা দুটো আকাশের দিকে উঁচিয়ে হাতে ভর করে মাটিতে হেঁটে যেতে পারে অনেকখানি। দুলাল, তরতরিয়ে উঠে যায় নারকেল গাছের মাথায়। শরীরের নানা খেলা।

শরীরের খেলা, ইউক্রেনের বোমাবিধ্বস্ত দেওয়ালে ব্যাঙ্কসি-র গ্রাফিত্তি

আগেই সার্কাসের উল্লেখ করেছি। পরে বুঝলাম, মেরুদণ্ডের নমনীয়তা, কাঁধ ও কোমরের জয়েন্টের বিস্তৃত গতিসীমা এবং শক্তিশালী মাসল– এসবই সার্কাস শিল্পীর মূল সম্পদ। জিমন্যাস্টিক এমন এক ক্ষেত্র, যেখানে শরীর নিজেই এক বিশেষ যন্ত্র। রিং, বার বা ফ্লোর এক্সারসাইজে শরীরের ওজন নিজেকেই বহন করতে হয়। অ্যানাটমিক্যাল অ্যালাইনমেন্ট সামান্য ভুল হলেই চোট অনিবার্য। তাই জিমন্যাস্টদের প্রশিক্ষণে অ্যানাটমি এবং বায়োমেকানিক্স একটি মৌলিক বিষয় হিসেবে শেখানো হয়।

আধুনিককালে ক্রীড়াবিদদের শরীর এক একটা বিশেষ যন্ত্র, যা তাদের নিজেরই গড়া। সব ক্ষেত্রেই অ্যানাটমির জ্ঞান একান্তই প্রয়োজন, আর তা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে আঘাত প্রতিরোধে। স্ট্রেচিং, ওয়ার্মিং-আপ, কুলিং– সবই শরীরের পেশি ও স্নায়ুর বৈজ্ঞানিক চাহিদা অনুযায়ী তৈরি। ফলে একজন ক্রীড়াবিদ দীর্ঘদিন সুস্থ থেকে নিজের দক্ষতা বজায় রাখতে পারে। অ্যানাটমি কেবল চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিষয় নয়, এটি শারীরিক শিল্প ও কৌশলের ভিত্তি। বলা যায়, যেখানে শরীরই প্রধান হাতিয়ার, সেখানে অ্যানাটমি নীরব, কিন্তু অপরিহার্য।

স্কুল শেষ হয়ে গেল। শহর জীবন এবং কলেজ পিরিয়ড চলে এল। আর্ট কলেজ। শরীর নিয়ে এখানে একেবারে আকাশ ভেঙে পড়া। আর পাঁচটা বিষয়ের সঙ্গে শুরু হল ন্যুড স্টাডি। জীবনে প্রথম এই শরীরকে একেবারে পোশাকবিহীন দেখা। অর্থাৎ সত্যি সত্যি শরীর দেখা, শরীর বোঝা এবং শরীর সম্পর্কে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আঁকার ক্লাসে সামনে ন্যুড মডেল রেখে তা থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ শরীরের আকার অবয়বের এই যে শিল্পচর্চা, সেটা জীবনের এক নতুন অভিজ্ঞতা। শুরুতে ঘোর কাটতেই কেটে গেল বেশ কিছুদিন। পোশাক-আশাকে যতই মানুষ দেখি, আমাদের তখন এক্স-রে নজর। রেনেসাঁসের সময়ে শিল্পীরা যেমন অ্যানাটমি অধ্যয়ন করে দেহের বাস্তবতা আনছে, অন্যদিকে আবার আধুনিক শিল্পে পিকাসো বা ফ্রান্সিস বেকন, মানবশরীরের অ্যানাটমি ভেঙে সৃষ্টি করছেন অচেনা জ্যামিতিক অবয়ব, অন্য বাস্তবতা। বাস্তব কিংবা বিকৃতি দুটোকেই বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে তৈরি হচ্ছে নতুন কাঠামো। বুঝলাম শরীর অনুশীলন ও অ্যানাটমি শিল্পীকে আসলে মুক্ত করে, কারণ নিয়ম জানলে তবেই ভাঙা যায়। কাঠামো বুঝলে তবে বিমূর্ততাও গভীরতা পায়।

শিল্পী: ফ্রান্সিস বেকন

এ তো গেল অন্যের শরীরের কাঠামো বিশ্লেষণ করা এবং অনুশীলন। শিল্পক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়– শিল্পীর নিজের শরীর। সেই শরীরের কাঠামো অর্থাৎ নিজস্ব অ্যানাটমিটা জানাও সমানভাবে জরুরি। সঠিক, সুন্দর কিছু সৃষ্টি অথবা নির্মাণ করতে শিল্পীর শরীরের নিজস্ব কাঠামোর শক্তির দায়িত্ব অনেকখানি। সেটার ওপরে নির্ভর করে তৈরি হয় তার সারা জীবনের কাজের ধরন, ঘরানা বা শৈলী। যখন আর্ট কলেজে আমরা জীবন্ত মডেল স্টাডি করতাম, তখন বুঝিনি। সেখানে মডেল নয়, আমার দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা, আমার শারীরিক উচ্চতা, স্বাস্থ্য এবং কাঠামোর যে একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে খানিকটা বুঝলেও পুরো বুঝতে পারতাম না।

পরবর্তীকালে বুঝেছি, সুনীল দাসের ঘোড়ার যে ধাবমান বলিষ্ঠ চরিত্র সেটা অনেকখানি নির্ভর করেছে ওঁর নিজস্ব শারীরিক কাঠামোর ওপর, পেশিশক্তির ওপর। আবার শিল্পীর ধীর স্থির চলন, হাত-কবজি-আঙুলের কাঠামোর যে গড়ন-গঠন,  সেইটার ওপরেই অনেকটা নির্ভর করে তৈরি হয়েছে যামিনী রায়ের ছবি।

সুনীল দাসের ঘোড়া

নৃত্যশিল্পের ক্ষেত্রেও লক্ষ করুন, উদয়শংকর আর কেলুচরণ মহাপাত্র একই রকম নাচবেন না যেমন, তেমনই অন্যরকম নাচবেন মল্লিকা সারাভাই। আর পাঁচটা শখের মধ্যে আমার শখ ছিল মূকাভিনয় করার। সেটাকে অন্য মাত্রা দেওয়া যায় কি না, তা খুঁজতে আমি শুরু করেছিলাম কথাকলি নাচ শিখতে। গিয়েছিলাম কালামণ্ডলম গোবিন্দন কুট্টির কাছে। মনে আছে, উনি আমাকে শেখাবেন কি না, তার আগে দেখে নিয়েছিলেন আমার শারীরিক কাঠামো!

আরও একটা জিনিস আমাকে ভাবায়। আমাদের শরীরের নানা সাইজের হাড়গুলো জুড়ে যে কাঠামো, যার নড়নে-চড়নে তৈরি হচ্ছে নৃত্য, সুললিত ছন্দ, তার সবটাই কেমন লিরিক্যাল। একটা ঢেউ তৈরি করছে। কিন্তু লক্ষ করলে দেখা যায়, আমাদের শরীরের ভেতরের হাড়গুলোর কোনওটাই কিন্তু বক্ররেখায় নেই, সবগুলোই সরলরেখার। অথচ অস্থি আর পেশির সমষ্টিতে, কম্বিনেশনে তৈরি হচ্ছে শরীরের ঢেউ, অদ্ভুত ছন্দ। সেও আর এক ম্যাজিক। একজন নৃত্যশিল্পীর প্রতিটি পদক্ষেপ, হাতের ভঙ্গি, চোখের ভাষা সবই নির্ভর করে শরীরের কাঠামো, পেশির সক্ষমতা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক ব্যবহারের ওপর। তাই নৃত্যশিল্পীর শারীরিক অ‍্যানাটমি শুধু প্রয়োজনীয়ই নয়, এটি নৃত্যশিল্পের অন্যতম ভিত।

নৃত্যশিল্পী কেলুচরণ মহাপাত্র

সংগীতের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যারা নানারকম যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন তাঁদের শরীরের কাঠামো এবং গড়নটাও অনেকাংশের দায়ী সুন্দর সংগীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে। এ ব্যাপারে আমি একটা গল্প শুনেছিলাম বাঁশিবাদক, পণ্ডিত রণু মজুমদারের কাছে। উনি বলছিলেন, ‘আমার হাত যখন ছোট ছিল, আঙুলগুলোও ছোট ছিল। তখন অনেক সময় বড় বাঁশিতে দুটো আঙুল, দুটো ফুটোতে পৌঁছত না। তাই প্রায় ছোটবেলা থেকেই আঙুলের মধ্যে ফাঁক বাড়ানোর জন্য আলাদা কসরত করে, চাপ সৃষ্টি করে আঙুলের ফাঁক বাড়িয়েছি। ঈশ্বরদত্ত নিজের আঙুলের আসল গড়নকে জোর করে বদলে দিয়েছি, কাজের জন্য। তালবাদ্যের শিল্পীদেরও যখন অনেকগুলো যন্ত্র একসঙ্গে বাজাতে দেখি তখন পরিষ্কার বোঝা যায়– তাদের শরীরের কাঠামোর কতটা দায়-দায়িত্ব।

অতএব শরীর নিয়ে এর চেয়ে বেশি বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। শুরুর আধ্যাত্মিকতায় ফিরে আসি। আত্মার আবরণ আমরা আর আমাদের আবরণের, শরীরের জন্য ব্যবহারের যা কিছু, তারও তো ফ্যাশনের অন্ত নেই! স্বাদ-রসনা, বসন, বাহন, বাসস্থান– সব কিছুতেই অ্যানাটমির দিকে অহরহ নজর রাখতে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে বিরাট ভূমিকা নিচ্ছে আর্গোনমিক্স। একটি বৈজ্ঞানিক শাখা যা মানুষের সুস্থতা এবং সামগ্রিক সিস্টেমের কার্যকারিতা শ্রেষ্ঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সতত সচেতন।

প্রিয় পাঠক, আপনার শরীর, সে জীর্ণ বস্ত্রই হোক অথবা সোনার অঙ্গ, শরীর শরীর। শরীর ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, এই কামনা আগামী বছরের জন্য। আমরা বরং নতুন বছরে ‘শরীর’ উদযাপন করি।

…পড়ুন অল্পবিজ্ঞান-এর অন্যান্য পর্ব…

পর্ব ১৫: মাপ করুন, সৃষ্টিশীলভাবে!

পর্ব ১৪: মাপের ভুলভাল, পাগলের মাপজোখ

পর্ব ১৩: শব্দ কল্প দ্রুম

পর্ব ১২: হ্যালো, তুমি শুনতে পাচ্ছ কি?

পর্ব ১১: ‘শব্দ’ শুধুই আওয়াজ নয়

পর্ব ১০: শিল্পকলায় বিষ্ঠা মানে ব‍্যঙ্গ, বিদ্রুপ অথবা প্রতিবাদ

পর্ব ৯: বাস্তব আর ভার্চুয়ালের সীমান্তে দাঁড়িয়ে হাইব্রিড আর্ট প্রশ্ন করতে শেখায়– শিল্প কী?

পর্ব ৮: মগজে না ঢুকলে শিল্পও আবর্জনা

পর্ব ৭: ছবির অসুখ-বিসুখ, ছবির ডাক্তার

পর্ব ৬: বিসর্জনের মতোই একটু একটু করে ফিকে হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর রং ও রূপ

পর্ব ৫: জীবন আসলে ক্যালাইডোস্কোপ, সামান্য ঘোরালেই বদলে যায় একঘেয়ে নকশা

পর্ব ৪: কুকুরেরই জাত ভাই, অথচ শিয়াল সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?

পর্ব ৩: অন্ধকারে অল্প আলোর মায়া, ফুরয় না কোনওদিন!

পর্ব ২: বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে আমাদের চিরকালের নায়ক হয়ে আছেন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন

পর্ব ১: বস্তু নাকি ভাবনা, শিল্পকলায় কী খোঁজেন?