বিবেকানন্দ ক্লান্ত। ভারতবর্ষের জন্য কাজ করতে করতে ভেঙে পড়ছে তাঁর শরীর। তাঁর আয়ু আর মাত্র দু’বছর। তিনি জানেন, কবে তাঁর মৃত্যুদিন, কোন সময়ে, কোথায়। ‘আই নো টাইম অ্যান্ড দ্য প্লেস’। স্পষ্ট জানালেন নিবেদিতাকে। শুধু নিবেদিতাকে নয়, আরও অনেককেই জানিয়েছেন বিবেকানন্দ। কিন্তু অবসান, চিরবিশ্রাম, শান্তি চাইলেই কি পাওয়া যায়! নিবেদিতাকে জানালেন তিনি, তাঁর চারধারে এখনও প্রবল-আকার কর্ম গর্জন করছে। তাঁর বিধিলিপি বা কর্মফল তাঁকে ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে নিরন্তর কর্মপ্রবাহে। কেমন করে পাবেন নিস্তার, স্বস্তি, মোক্ষ?
১৮.
১৯০০ সালের মার্চ মাস। ক্যালিফোর্নিয়া। প্রায় মধ্যরাত।
লেখার টেবিলটার কাছে যেতে আজকাল কেমন যেন দ্বিধাবোধ করেন বিবেকানন্দ। মাত্র তো ৩৭ বছর বয়েস তাঁর। কিন্তু টেবিলটার কাছাকাছি গেলেই তাঁকে যেন গ্রাস করে এক অনির্ণেয় অনীহা। তবু আশ্চর্য আকর্ষণ ঘরের কোণে রাখা তাঁর লেখার এই নতুন টেবিলের। তিনি চেয়ার টেনে টেবিলটার সামনে বসেন। মনে হয় অমনি, এখনও কত কাজ বাকি! একই সঙ্গে টেবিলটা থেকে যেন তাঁর মনের মধ্যে সরাসরি উঠে আসে এই ভাবনা– ‘আর কাজ করার প্রয়োজন নেই বিবেকানন্দ। কাজ করে কোনও লাভও নেই। অনেক কাজ করেছ। ইট উইল টেক অ্যানাদার বিবেকানন্দ টু আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট। তুমি এবার বিশ্রাম করো’, বিবেকানন্দ পরিষ্কার শুনতে পান টেবিলটার কণ্ঠস্বর।
বিবেকানন্দ কলম রাখেন টেবিলের ওপরে বিছিয়ে থাকা লেখার কাগজে। টেবিলটা কখন তাঁর মনের মধ্যে ঢুকে পড়ল? বিবেকানন্দ নিবেদিতাকে যে কথা বলতে চেয়েছেন, কিন্তু বলতে কুণ্ঠাবোধ করেছেন, আজ কুণ্ঠার পর্দা সরিয়ে তাঁর মনের কথা, যেন টেবিলটারই তাগিদে, তাঁর কলমের ডগায় এসে গেল, কী অনায়াসে ঝরে পড়তে লাগল:
Dear Nivedita,
I don’t want to work. I want to be quiet and rest. I know the time and the place, but the fate or Karma, I think drives me on– work, work.
বিবেকানন্দ ক্লান্ত। ভারতবর্ষের জন্য কাজ করতে করতে ভেঙে পড়ছে তাঁর শরীর। তাঁর আয়ু আর মাত্র দু’বছর। তিনি জানেন, কবে তাঁর মৃত্যুদিন, কোন সময়ে, কোথায়। ‘আই নো টাইম অ্যান্ড দ্য প্লেস’। স্পষ্ট জানালেন নিবেদিতাকে। শুধু নিবেদিতাকে নয়, আরও অনেককেই জানিয়েছেন বিবেকানন্দ। কিন্তু অবসান, চিরবিশ্রাম, শান্তি চাইলেই কি পাওয়া যায়! নিবেদিতাকে জানালেন তিনি, তাঁর চারধারে এখনও প্রবল-আকার কর্ম গর্জন করছে। তাঁর বিধিলিপি বা কর্মফল তাঁকে ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে নিরন্তর কর্মপ্রবাহে। কেমন করে পাবেন নিস্তার, স্বস্তি, মোক্ষ?
নিবেদিতা, জেনে রাখো, এই হল মানুষের অবস্থা। কী অসহায় আমরা! গরু-ভেড়ার পালের মতো আমরা ক্রমাগত চালিত হচ্ছি কসাইখানার দিকে। থামার উপায় নেই, পিঠের ওপর পড়ছে বেত্রাঘাত। কিন্তু কসাইখানায় যেতে যেতে অবোধ গরু-ভেড়ার মতোই সামান্য থেমে একটু ঘাস খেয়ে নিয়ে ভাবছি, জীবন বুঝি সার্থক হল। খাবলা -খাবলা ঘাস খাওয়ার পরম তৃপ্তি পাচ্ছি কসাইখানায় জবাই হওয়ার আগে!
We are like cattle, driven to the
slaughter-house – hastily nibbling
a bite of grass on the roadside
as they are driven along under the whip.
টেবিলটার দিকে অবাক হয়ে তাকান বিবেকানন্দ। টেবিলের গায়ে বুলিয়ে দেন স্নেহের হাত। কেমন করে টেবিল বুঝতে পারে বিবেকানন্দের মনের কথা? কেন আজকাল এই টেবিলে বসলেই তার লিখতে ইচ্ছে হয় কর্মবিরতির কথা?
না, ক্লান্তিকে জয় করতেই হবে। শুধু কর্মবিরতির কথা, বিশ্রামের প্রসঙ্গ ভাবলে চলবে না। শারীরিক দুর্বলতা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। ১৯০০ সালের ২৫ মার্চ, মানে ক’দিন পরেই, ওই টেবিলে বসেই বিবেকানন্দ নিবেদিতাকে লিখলেন:
Dear Nivedita,
I am much better and I am growing very strong.
কিন্তু কী আশ্চর্য! এই ঘোষণাটি করার পরেই টেবিলটা আবার ঢুকে পড়ল বিবেকানন্দর মনের মধ্যে। ঘুরিয়ে দিল তাঁর ভাবনার পথ। বিবেকানন্দর মনে হয়, অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন তিনি। আর নয়। তাঁর সামনের পথ শেষ হয়ে এসেছে। তাঁর মুক্তি আসন্ন। টেবিলটাই তাঁর মনের বার্তা এনে জড়ো করল কলমের মুখে:
I feel sometimes that freedom is near
at hand and the tortures of the last
two years have been great lessons in many ways.
যন্ত্রণা, জীবনের অজস্র ক্লেশ ও দুর্ভোগ কী শিখিয়েছে বিবেকানন্দকে? টেবিলটাই যেন ফিসফিস করে বলতে থাকে বিবেকানন্দকে জীবন-নির্যাতনের মর্মকথা:
নিবেদিতা, জীবনের দুঃখ-কষ্ট বৃথা যায় না। তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের ভালোই করে। জীবনযন্ত্রণার কল্যাণের দিকটিও দেখতে শিখতে হবে। যখন প্রবল কষ্ট, যন্ত্রণা আমাকে গ্রাস করেছিল মনে হচ্ছিল, আমি ডুবে যাচ্ছি, এইভাবেই বুঝি শেষ হবে, কোনও পরিত্রাণ নেই,– তা কিন্তু নয় নিবেদিতা। ক্রমশ আমার মনে হয়েছে সব দুঃখ-কষ্টের ঊর্ধ্বে আমি শেষ পর্যন্ত ওই অসীম নীলাকাশ:
I am the infinite blue sky; the clouds may gather
over me but I am the same infinite blue.
আমি এখন যা সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে চাইছি, শাশ্বত শান্তি। আমি পরমানন্দের স্বাদ পেতে চাই। বিবেকানন্দ লিখলেন সহজ কয়েকটি শব্দ। তাঁর গভীর থেকে টেবিলটা যেন টেনে তুলে নিয়ে এল মাত্র ক’টি শব্দ:
I am trying to get a taste of the place.
তারপর লিখলেন বিবেকানন্দ আবার সেই মৃত্যুর কথাই। টেবিলটা যেন কিছুতেই তাঁকে বেরতে দিচ্ছে না এই সারসত্য থেকে। সেই সারসত্যটি হল: এই শাশ্বত শান্তি কিছুতেই পাওয়া যাবে না শরীর নামের এই খাঁচাটির মধ্যে বসবাস করতে-করতে। কিন্তু নিবেদিতা, লিখলেন বিবেকানন্দ, আমার মায়া কাটছে, স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে। আমি মুক্তির পথে। ওঁ তৎ সৎ।
These tin-pots of bodies and foolish
dreams of happiness and misery–
What are they? My dreams are breaking
Om Tat Sat.
১৯০০ সালের ১৭ জুন। বিবেকানন্দ লস অ্যাঞ্জেলসে। বেশ রাত। বিবেকানন্দ চুপ করে বসে আছেন তাঁর লেখার টেবিলটির সামনে। টেবিলের ওপর ফুটে ওঠে একটি মুখ। সেই ভারি দয়াময়ী মাতৃস্নেহে ভরপুর, শ্রীমতি হেল-এর মুখ। যে-শ্রীমতি হেল অসহায়, আশ্রয়হীন, দরিদ্র, ক্ষুধার্ত বিবেকানন্দকে স্নেহে, মায়ায়, যত্নে নিজের বাড়িতে স্থান দিয়েছিলেন। এবং যাঁর সাহায্য ছাড়া হয়তো বিবেকানন্দ শিকাগো ধর্মসভায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন না। শ্রীমতি হেল-কে ‘মাদার’ ডাকেন বিবেকানন্দ। এবং তাঁর কন্যা মেরি-কে ডাকেন ‘সিস্টার’। টেবিলের ওপর ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে সিস্টার মেরি হেল-এর মুখ। বিবেকানন্দ এই চিঠিটি না লিখে পারেন না। টেবিলটা থেকে যেন উঠে আসে তাড়না:
প্রিয় মেরি,
যে-জগতের জন্যে এত শ্রম করলাম, নিজেকে শেষ করে দিলাম, সেই জগৎ আমার দেহের এক খাবলা মাংস কেটে না-নেওয়া পর্যন্ত এক টুকরো রুটিও আমাকে ছুড়ে দেয়নি। বিশ্বাস করো, দিনে এক টুকরো রুটি জুটলেই আমি পরিপূর্ণ অবসর নেব। কিন্তু তা অসম্ভব। যত বয়েস বাড়ছে ততই নিশ্চিত হচ্ছি, জগৎটার অন্তর্গূঢ় শয়তানি সম্পর্কে:
I have worked for this world, Mary, all
my life and it does not give me a piece
of bread without taking a pound of
flesh. If I can get a piece of bread
a day, I retire entirely, but
this is impossible – this is the increasing purpose that is unfolding
all the devilish inwardness, as I am getting older.
আবার ধীরে ধীরে ফিরে এল বিবেকানন্দর মৃত্যুভাবনা। তিনি আর বাঁচতে চাইছেন না। তাঁর ক্রমশ মনে হচ্ছে, এই পৃথিবীটা এতই স্বার্থপর, শয়তানিতে ভরা, যন্ত্রণায় যে, কোনও অর্থ হয় না এখানে জীবনটাকে আরও দীর্ঘ করার। লিখলেন তিনি মেরিকে, ওই একই চিঠির শেষ একটি ‘পুনশ্চ’ জুড়ে:
যদি এই জগতের এবং বস্তুর সারবত্তাহীনতা কারও কাছে ধরা দিয়ে থাকে, সেই ব্যক্তি আমি। এই জগৎ একটা কদর্য জন্তুর মৃতদেহ। তার বেশি কিছু নয়। যদি কোনও মানুষের ইচ্ছে করে, এই জগতের উপকার করার, সেই ব্যক্তি আহাম্মক। তবে ভালো হোক, মন্দ হোক, কাজ থেকে পরিত্রাণ নেই, কাজ আমাদের করে যেতেই হবে। এবং কাজের মধ্যে ঘুচবে বন্ধন। মেরি, এখন আশা করছি, যে কাজের জন্যে এসেছিলাম, সেই কাজ আমার শেষ হয়েছে। এবার প্রভু আমাকে বন্ধন মুক্ত করুক। ভারত বা অন্য কোনও দেশের জন্য চিন্তা আমি ত্যাগ করেছি। এখন আমি স্বার্থপর। চাইছি নিজের মুক্তি।
১৮৯৯ সালে আরও একটি চিঠি লিখেছিলেন বিবেকানন্দ নিউইয়র্ক থেকে। লিখেছিলেন ই.টি.স্টার্ডি নামের এক নিষ্ঠুর, স্বার্থপর, দাম্ভিক, অভদ্র ইংরেজকে, যার বাড়িতে আশ্রিত হয়ে নানাভাবে নিপীড়িত হয়েছিলেন বিবেকানন্দ! স্টার্ডি ইংল্যান্ডবাসী ইংরেজ। বিপুল মানসিক যন্ত্রণা থেকে এই চিঠিটি বিবেকানন্দ স্টার্ডিকে না লিখে পারেননি। বিবেকানন্দর লেখার টেবিল যেন তার অন্তরের আগুন ঢেলে দিয়েছিল এই চিঠিতে। তারপর সেই অতুলনীয় চিঠি শেষ হয়েছিল নিখাদ সখ্য ও ভালবাসা জানিয়ে। চিরকালীন ভারতীয় হৃদয়ের বিশুদ্ধ, স্বার্থহীন ভালবাসা।
প্রিয় স্টার্ডি,
কোনওদিন ইংল্যান্ড থেকে রুমালের মতো টুকরো কাপড়ও পেয়েছি বলে তো মনে পড়ে না। কিন্তু ইংল্যান্ডই আমার শরীর ও মনের উপর অবিরাম পরিশ্রমের যন্ত্রণা দিয়েছে ভেঙে দিয়েছে আমার স্বাস্থ্য। তোমরা ইংরেজরা আমাকে নানাভাবে ক্রমাগত খাটিয়ে খাটিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছ। কিন্তু তোমরা ইংরেজরা ওই ঠান্ডার মধ্যে কোনওদিন একটা কোট দিয়েছ? একটা সিগার? কিংবা এক টুকরো মাছ বা মাংস? তোমার বাড়িতে থাকার অভিজ্ঞতা ভুলে যাইনি। সারাদিনে তিনবার খেতে দিতে তুমি। প্রতিবারেই সেদ্ধ বাধাকপি, সেদ্ধ আলু, মুসুরডাল সেদ্ধ আর ভাত। আর সঙ্গে
জুটত তোমার বউয়ের অভিশাপ আর গালাগালি। আমি একটা চোরের মতো বেঁচে ছিলাম তোমার বাড়িতে। সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে। আর সারাক্ষণ খাটাতে আমাকে।
Well Sturdy, my heart aches. I understand it all. You said a lot about ancient India. That India still lives, India of undying love, of everlasting faithfulness. আর আমি, ভারতের এক নগণ্য সন্তান, আমি আজও তোমাকে ভালবাসি সংশয়াতীত ভারতীয় ভালবাসায়, এবং ভারতবর্ষ বিষয়ে তোমার বিভ্রান্তি থেকে তোমাকে মুক্ত করতে আমি সহস্রবার শরীর ত্যাগ করতে প্রস্তুত।
চিরদিন তোমার,
বিবেকানন্দ
.……………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………….
এই সময়ে, যখন সমস্ত বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুত্ববিরোধী বিদ্বেষবার্তা গর্জে উঠেছে, যখন হিন্দুসন্ন্যাসীকে জেলে পোরা হয়েছে বিনা বিচারে, মিথ্যা অভিযোগে, শুধুমাত্র হিন্দুত্বের অপরাধে, যখন চারিদিকে ছড়ানো হচ্ছে ধর্মান্ধ, বোধহীন, হিন্দুবিদ্বেষী বার্তা, তখনই এক আন্তর্জাতিক মান্যতার হিন্দু সন্ন্যাসীর এই অনায়াস, অমলিন, অবিকল্প ভালবাসার উচ্চারণ উত্তীর্ণ হল না কি ঐতিহাসিক সারবত্তা ও যাথার্থ্যে? যে-টেবিলে বসে বিবেকানন্দ বারবার হিন্দু প্রেম, হিন্দু ভালবাসা, হিন্দু হৃদয়ের কথা লিখেছেন, চেয়েছেন বিশ্বের মঙ্গল, সেই টেবিলের কাছে আমাদের প্রার্থনা, যেন বিদ্বেষহীন ভারতীয় প্রেমের এই প্রাণিত প্রকাশ ভুবনজুড়ে মানুষের কণ্ঠে, কণ্ঠে, মানুষের হৃদয়-প্রত্যয়ে ধ্বনিত হতে হতে হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক শান্তির আহ্বান!
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল