১৯১১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, গৃহভৃত্যের বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ। বছর ২০ পর, ১৯৩১-এর রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, এক বিরাট পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। মহিলা ভৃত্যের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেড়ে যায় এই দুই দশকে। সরকারি নথি থেকে সেই সামাজিক ইতিহাসের আভাস পাওয়া যায় মাত্র, কিন্তু উনিশ-বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যে এই বিশেষ সম্পর্কের নজির পাতার পর পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে। আর সেখানেই দেখা যায়, গৃহকর্ম আর জাতিগত পরিচিতির এক বিশেষ সমীকরণ। কে কোন কাজ করবেন, তা নির্ধারিত হয়ে যায় যেন জন্মের সময়েই।
১৫.
উনিশ শতকের বিভিন্ন সময়ে প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্ক নিয়ে নানা আইন প্রণয়ন করা হলেও গৃহকর্ম নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট আইন আনা হয়নি ভারতে। কিন্তু আমরা জানি যে, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত বাড়িতে গৃহভৃত্যের উপস্থিতি সেই পরিবারের ক্ষেত্রে কীরকম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল ঔপনিবেশিক আমলে, বিশেষত বড় বড় আধুনিক শহরে। ভারতের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় বাংলায় এঁদের সংখ্যা ছিল বেশি। ১৯১১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, গৃহভৃত্যের বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ। বছর ২০ পর, ১৯৩১-এর রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, এক বিরাট পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। মহিলা ভৃত্যের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেড়ে যায় এই দুই দশকে। সরকারি নথি থেকে সেই সামাজিক ইতিহাসের আভাস পাওয়া যায় মাত্র, কিন্তু উনিশ-বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যে এই বিশেষ সম্পর্কের নজির পাতার পর পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে। আর সেখানেই দেখা যায়, গৃহকর্ম আর জাতিগত পরিচিতির এক বিশেষ সমীকরণ। কে কোন কাজ করবেন, তা নির্ধারিত হয়ে যায় যেন জন্মের সময়েই।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে ‘ভৃত্যতন্ত্র’র কথা জানিয়েছেন আমাদের। মূলত উচ্চ জাতির ভৃত্যদের হাতেই থাকত ঠাকুরবাড়ির ছেলেমেয়েদের বেড়ে ওঠার দায়িত্ব। তাঁদের ‘কঠিন’ শাসনের অম্লমধুর স্মৃতি পরিণত বয়সেও কবির কাছে অমূল্য ছিল। গ্রাম জীবনের নানা সাংস্কৃতিক উপাদান– গান, ছড়া, লোককথা– তাঁদের হাত ধরে কলকাতার জমিদার বাড়ির অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে। অবন ঠাকুরের বিশেষ প্রিয় ছিলেন তাঁর নার্স পদ্মা। সরলা দেবী চৌধুরাণীও জানিয়েছেন, তাঁর বড় হয়ে ওঠার সময়ে মহিলা পরিচারিকার সঙ্গে সখ্যের কথা। তবে কলকাতা শহরের বড় বাড়িতে কাজ করার সময়ে ভৃত্যের জাতিগত পরিচয় ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাহ্মণ ছাড়া বাড়ির অন্দরে কাজ করার প্রশ্নই প্রায় ছিল না। রান্নাঘরে বামুন ঠাকুর বা বামুনদির উপস্থিতি বিভিন্ন গল্পে-উপন্যাসের মতোই বাস্তবেও একইরকম ছিল। কলকাতায় চাকরিরত মধ্যবিত্ত পরিবারে সকাল সকাল কর্তার ভাত রান্না আর তারপর তাঁর আপিসের দুপুরের টিফিন বানানো, আবার একইসঙ্গে বাচ্চা সামলানো অনেকসময়েই বাড়ির গিন্নির পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে রান্নাঘরের জন্য বামুনের চাহিদা শহরের উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে সবসময়েই থাকত। কিছু ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই ছিল, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য জাতের লোকের পক্ষে উঁচু জাতের পরিবারে রান্না করার কাজ পাওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব।
রান্না করার কাজ বা গৃহপরিচারিকা ছাড়াও অন্যান্য কিছু বিশেষ কাজের জন্য মধ্যবিত্ত বাড়িতে ‘কাজের লোক’ প্রয়োজন হত। ১৮৯১-এর সেন্সাসে ‘স্যানিটেশন ওয়ার্কার’দের ‘ডোমেস্টিক ওয়ার্কার’ এর তালিকা ভুক্ত করা হয়, যদিও ১৮৭০-এর দশক থেকেই কর্পোরেশনের কর্মী হিসেবে তাঁদের নথিভুক্ত করা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ‘মেথর/জমাদার’ বাড়ি ও রাস্তার শৌচাগার আর ড্রেন পরিষ্কার করতেন। এছাড়াও ছিলেন ঝাড়ুদার, কুলি আর মুদ্দোফরাস। এই চার বর্গের শ্রমিকই ছিলেন নিম্নবর্ণের, বাকি সমাজের থেকে আলাদা, অচ্ছুৎ। রান্নাঘর যেমন বাড়ির সবথেকে বিশুদ্ধ এলাকা হিসেবে দেখা হত, তেমনই শৌচাগার ছিল সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল। রান্নাঘরে বামুন ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, আর মেথরদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল শৌচাগার। কোনও বাড়ির অন্দরের এই দুই এলাকার কাজের বাঁটোয়ারা শহরে জাতি ব্যবস্থাকে নতুনভাবে প্রোথিত করেছিল। বাড়িতে কাজ করতে আসার সময় কে কোন ঘরে যেতে পারবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হত। কলকাতার পুরনো বনেদি বাড়িগুলিতে জমাদারদের ঘরে ঢোকার জন্য বাড়িরে বাইরে দিয়ে বেয়ে ওঠা লোহার ঘোরানো সিঁড়ি ব্যবহার করতে হত, যাতে তাঁরা অন্য ঘরগুলি দূষিত না করে দেন। যে বাড়িতে এই ব্যবস্থা থাকত না সেখানেও সবাই খেয়াল রাখত যে বাড়ির কোনও সদস্য যেন এঁদের সংস্পর্শে না আসে, কাজের পারিশ্রমিক হাতে না দিয়ে দূর থেকে ছুড়ে দেওয়াই ছিল রীতি। শুধু বাড়ির ভিতরেই নয়, রাস্তাঘাটেও মেথরদের নিয়ে উচ্চবর্ণের মানুষের সমস্যার অন্ত ছিল না। ১৮৩৭ সালে বিষ্ণুনাথ মতিলাল নামে এক ভদ্রলোক কর্পোরেশনের মিউনিসিপ্যাল কর্তাদের চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন যে, দিনের যে কোনও সময়ে মেথরদের রাস্তায় দেখা যায়, যা যে কোনও উচ্চবংশের বাঙালির জন্য পীড়াদায়ক, বমি-উদ্রেককারী।
………………………………………………………………………………………
দুই ধর্মঘট মিলিয়ে মোট ১৭ দিনে কলকাতা শহরের অবস্থা অবর্ণনীয় হয়ে উঠেছিল! শহরের বাসিন্দারা যেন হঠাৎ করে টের পেলেন নিচু জাতের সাফাই কর্মীদের অস্তিত্বের কথা। জনগণ কর্পোরেশনের কাছে আর্জি জানায় এঁদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান বের করার জন্য। স্বভাবতই, মেথরদের এই আন্দোলন অন্য শ্রমিক আন্দোলনের থেকে খানিক আলাদা ছিল, কারণ সেক্ষেত্রে দাবিদাওয়ার কথা চলে কোনও এক নির্দিষ্ট কারখানা বা শিল্প ক্ষেত্রের মালিক-শ্রমিকের মধ্যে, আর এখানে আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা শহরে।
………………………………………………………………………………………
কর্পোরেশনের সাফাই কর্মী হিসেবে এই মানুষগুলোই কলকাতা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি বা রাস্তার সংখ্যার তুলনায় সাফাই কর্মীর সংখ্যা সবসময়েই কম ছিল, তাঁদের মাসিক আয়ও শহরে জীবনযাপনের জন্য ছিল নিতান্ত নগণ্য। ১৯২৮ সালে কয়েক মাসের ব্যবধানে দু’-দু’-বার ধর্মঘটে শামিল হন কর্পোরেশনের সাফাই কর্মচারীরা। তাঁদের মূল দাবি ছিল ১ টাকা মাইনে বৃদ্ধি। এর আগে, ১৮৭৭ সালে প্রথম একজোট হয়ে মিউনিসিপ্যালিটির জমাদাররা ধর্মঘট করেছিলেন। তারপর ১৯২৪-এ। এবারে চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন কলকাতার মেয়র। তিনি নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ১৯২৭ সালে তৈরি হয় ‘অল বেঙ্গল স্ক্যাভেঞ্জার্স ইউনিয়ন’। উচ্চবর্ণের, উচ্চশিক্ষিতা, ধনী মহিলা, প্রভাবতী দাশগুপ্ত নিজের উদ্যোগে এই সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। ধাঙর বস্তিতে নিয়মিত যাতায়াত করে, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এই স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী কলকাতার জনজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রমিকদের একজোট করার কাজে নামেন। ‘ধাঙর মা’ হিসেবে অভিহিত করা হয় তাঁকে। স্ক্যাভেঞ্জার্স ইউনিয়নের প্রথম প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি। সদ্য গঠিত কমিউনিস্ট পার্টির অন্তর্গত ‘ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি’র লোকজন এই ইউনিয়নের কাজে এগিয়ে আসেন। ধরণীকান্ত গোস্বামী সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মুজফফর আহমেদ।
১৯২৮ সালের দুই ধর্মঘট নতুন আন্দোলনের সূচনা করে। কর্পোরেশনের সাফাই কর্মীদের মধ্যে শ্রেণিচেতনার ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে এই কর্মকাণ্ড। এর পরের দুই দশকে পরপর আন্দোলন করেন তাঁরা– ১৯৩৩, ১৯৩৫, ১৯৪০ (মার্চ ও অগাস্ট মাসে), ১৯৪৩ আর ১৯৪৫ সালে। ১৯২৮ সালের ৪ থেকে ৯ মার্চ প্রথম ধর্মঘট, আর ২৫ জুন থেকে ৫ জুলাই অবধি চলে দ্বিতীয় ধর্মঘট। প্রথমবার প্রায় ৯-১০ হাজার কর্মী যোগ দেন, যদিও দ্বিতীয় দফায় সংখ্যাটা বেশ খানিক কমে ৩ হাজারের কাছাকাছি হয়ে যায়। প্রথম ধর্মঘটের সময়ে কর্পোরেশনের ক্ষমতায় ছিল জাতীয়তাবাদী স্বরাজ পার্টি। আন্দোলনকারীদের ওপর নানা অত্যাচার চালায় কর্পোরেশনের কর্তারা যাতে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়। তাঁদের দোকানপত্র থেকে ধারে জিনিস কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়, জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়, এমনকী, শৌচাগার ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও ধর্মঘট দু’-একদিনে বন্ধ করে দেওয়া যায়নি। দ্বিতীয় দফার ধর্মঘটের সময়ে ইউরোপীয়রা ক্ষমতায় চলে আসে, এবং সরকারের সাহায্যে অন্য অঞ্চল থেকে আন্দোলনকারী কর্মীদের পরিবর্তে লোক নিয়ে আসার কথা ভাবে। কিন্তু তবুও চট করে হাজারের উপর নতুন সাফাই শ্রমিক জোগাড় করা সম্ভব ছিল না।
এই দুই ধর্মঘট মিলিয়ে মোট ১৭ দিনে কলকাতা শহরের অবস্থা অবর্ণনীয় হয়ে উঠেছিল! শহরের বাসিন্দারা যেন হঠাৎ করে টের পেলেন নিচু জাতের সাফাই কর্মীদের অস্তিত্বের কথা। জনগণ কর্পোরেশনের কাছে আর্জি জানায় এঁদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান বের করার জন্য। স্বভাবতই, মেথরদের এই আন্দোলন অন্য শ্রমিক আন্দোলনের থেকে খানিক আলাদা ছিল, কারণ সেক্ষেত্রে দাবিদাওয়ার কথা চলে কোনও এক নির্দিষ্ট কারখানা বা শিল্প ক্ষেত্রের মালিক-শ্রমিকের মধ্যে, আর এখানে আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা শহরে। তা সত্ত্বেও, সাফাই কর্মীদের এই আন্দোলন সফল হয়নি। তাঁদের মজুরি বাড়েনি, আর দ্বিতীয় দফার পরে বলা হয়, এক তদন্ত কমিটি গঠন করে তাঁদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, কিন্তু কিছুই শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে না। জনগণের স্মৃতিও দু’দিন পরে ফিকে হতে শুরু করে।
কিন্তু এই ধর্মঘট আর আন্দোলনের ফলে নিম্নবর্ণের মেথরদের নাগরিক সমাজে এক ধরনের পরিচিতি গড়ে ওঠে, যা তাঁদের কাজ বা জাতি পরিচিতির থেকে ভিন্ন। বিশ শতকের গোড়ার বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত লোকজনও এতে শামিল হয়েছিলেন। তাঁদের সাহয্যে এই সাফাই কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মায়, এবং শ্রমিক হিসেবে এক নতুন চেতনা দানা বাঁধতে থাকে। কিন্তু একটা ব্যাপার এই কমিউনিস্ট নেতৃবর্গ সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সাফাই কর্মীদের জাতিগত পরিচিতির প্রশ্নটা তাঁদের কর্মসূচিতে কখনওই স্থান পায়নি। মূলত উচ্চবর্ণের নেতা-নেত্রীদের কাছে হয়তো সামাজিক বর্গ হিসেবে ‘জাতি’ তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে কখনও কোনও প্রভাব ফেলেনি, জাতি বৈষম্যের ধারণা ও সামাজিক ব্যাধি খানিক অদৃশ্যই থেকে গিয়েছিল তাঁদের কাছে। কিন্তু বাড়ির অন্দরের কাজই হোক বা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা আর বর্জ্য সরানোর দায়িত্বই হোক– সব জায়গাতেই জাতিগত পরিচিতি ‘শ্রমিক’ পরিচিতিকে বিশেষভাবে গঠন করেছিল, যা একান্তই ভারতীয় সমাজ আর আধুনিক ভারতীয় শহরের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।
ঋণস্বীকার: তনিকা সরকার, ‘কাস্টিং সার্ভেন্টস ইন কলোনিয়াল ক্যালকাটা’ [নীতিন সিনহা ও নীতিন ভার্মা (সম্পা.), সার্ভেন্টস পাস্টস: লেট এইটিন্থ সেঞ্চুরি টু টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি সাউথ এশিয়া, ২০১৯]
…কলিকথা–র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৪: স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা সিনেমায় চাকরির ইন্টারভিউয়ের দৃশ্য সেই সময়ের আয়না
পর্ব ১৩: দাঙ্গা ও দেশভাগ বদলে দিয়েছে কলকাতার পাড়া-বেপাড়ার ধারণা
পর্ব ১২: প্রাচীন কলকাতার বোর্ডিং হাউস
পর্ব ১১: সারা বিশ্বে শ্রমিক পাঠানোর ডিপো ছিল এই কলকাতায়
পর্ব ১০: কলকাতার যানবাহনের ভোলবদল ও অবুঝ পথচারী
পর্ব ৯: বৃষ্টি নিয়ে জুয়া খেলা আইন করে বন্ধ করতে হয়েছিল উনিশ শতকের কলকাতায়
পর্ব ৮: ধর্মতলা নয়, ময়দানই ছিল নিউ মার্কেট গড়ে তোলার প্রথম পছন্দ
পর্ব ৭: সেকালের কলকাতায় বাঙালি বড়মানুষের ঠাঁটবাটের নিদর্শন ছিল নিজের নামে বাজার প্রতিষ্ঠা করা
পর্ব ৬: কলকাতার বহিরঙ্গ একুশ শতকের, কিন্তু উনিশ-বিশ শতকের অসহিষ্ণুতা আমরা কি এড়াতে পেরেছি?
পর্ব ৫: কলকাতা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে বেড়ে উঠেছে, একথার কোনও বিশেষ ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই
পর্ব ৪: ঔপনিবেশিক নগর পরিকল্পনার বিরুদ্ধ মত প্রকাশ পেয়েছিল যখন প্লেগ ছড়াচ্ছিল কলকাতায়
পর্ব ৩: ঔপনিবেশিক কলকাতায় হোয়াইট টাউন-ব্ল্যাক টাউনের মধ্যে কোনও অলঙ্ঘনীয় সীমানা
পর্ব ২: ‘জল’ যেভাবে ‘জমি’ হল এ কলকাতায়
পর্ব ১: চেনা কলকাতাকে না পাল্টেই বদল সম্ভব, পথ দেখাতে পারে একটি বাতিল রিপোর্ট