যে কোনও শহরেই কিছু কিছু জায়গা বিশেষ পরিচিতি পেয়ে যায় হঠাৎ কোনও ঘটনার মধ্যে দিয়ে। গণ আন্দোলনের কেন্দ্র হিসেবে জেগে ওঠে এক বিশেষ ক্ষেত্র– সে শাহিনবাগই হোক বা তাহরির স্কোয়ার। স্বদেশির সময়ে কলকাতার গোলদীঘি হয়ে উঠেছিল সেরকমই এক স্থান। শহর থেকে দেশের কল্পনায় যাত্রা শুরুর প্রথম ধাপ যেন হয়ে উঠেছিল গোলদীঘি আর টাউন হল। একই সঙ্গে তৈরি হচ্ছিল ব্যক্তি আর সমষ্টির নতুন সমীকরণ, নতুন আঙ্গিক নিচ্ছিল ঘর আর বাইরের সম্পর্ক। প্রতিবাদ মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরতে শুরু করেছিল।
২৩.
১৯১১ সালের দিল্লি দরবারে ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জ ঘোষণা করেন যে, ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে দিল্লিতে। তবে সে হবে এক ‘নতুন’ দিল্লি, মুঘল আমলের পুরনো শাহজাহানাবাদ নয়। এই ‘নতুন দিল্লি’ এক নতুন স্থানিক বিন্যাসে গড়ে উঠবে, যেখানে স্থাপত্য, রাস্তাঘাট, বাগান-দোকানের জ্যামিতিক নির্দিষ্টতায় সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক পরিসরের ভাষা ও বার্তা জ্বলজ্বল করবে। বিশ শতকের গোড়ায় রাজধানী শহর নতুন করে তৈরি করার এই প্রয়াস দেখা যায় বিশ্বের নানা প্রান্তে, যেমন আমেরিকার ওয়াশিংটন ডি সি বা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে। আধুনিক নগর প্রশাসকের চাহিদা ছিল যে শহর হবে ‘স্বচ্ছ’, যেখানে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, জনগণের চলাফেরা, সবই নির্দিষ্ট নিয়মের আওতায় থাকবে।
শহরের পরিসর এবং রাষ্ট্রের মধ্যে এই যে ‘স্বচ্ছতা’ প্রশাসক আশা করত, তা স্বদেশি আন্দোলনের বছরগুলিতে কলকাতায় আর ছিল না। হঠাৎ করেই ঔপনিবেশিক সরকার বুঝতে পারে যে, কলকাতার কিছু কিছু অঞ্চল, বাড়িঘর, দোকান বাজার আর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। খোলা রাস্তায় বা মাঠে ময়দানে সভা-সমিতি ছাড়াও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন গুপ্ত সমিতি, গোপন সভা, বা ছাত্রযুবদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ। এই পর্বের রাজনৈতিক ইতিহাস গড়পড়তা বাঙালি মাত্রেই বেশ জানেন। অরন্ধন, রাখি বন্ধন থেকে শুরু করে বিলিতি দ্রব্য বর্জনের মতো কর্মসূচি, এবং তারপর ধীরে ধীরে ‘বৈপ্লবিক সন্ত্রাসবাদ’ ও হিন্দু-মুসলমানের বৈরিতা, বাংলার রাজনৈতিক আবহে পাক খেতে থাকে।
ব্রিটিশ-বিরোধী রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা কর্পোরেশন বা কাউন্সিলের চার দেওয়াল থেকে বেরিয়ে সরাসরি শহরের রাস্তায় পার্কে ময়দানে চলে আসে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর। কলকাতার রাস্তায় পদযাত্রা, পার্কে-হলে সুরেন্দ্রনাথের জ্বালাময়ী ভাষণ আর সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত কর্মকাণ্ডে সরকার বেশ চমকে গিয়েছিল। শহরটা হঠাৎ যেন প্রশাসকদের কাছে অচেনা হয়ে উঠেছিল। কলকাতার বাড়িঘর কোনও বিশেষ নিয়ম মাফিক গড়ে ওঠেনি। ঔপনিবেশিক প্রাসাদোপম স্থাপত্যের পাশেই বস্তি, বা সরু গলির ভিতর গায়ে গায়ে একাধিক বাড়ি জুড়ে গোটা পাড়া– এ হামেশাই দেখা যেত। অন্যদিকে, রাজধানীর পাশাপাশি কলকাতা ছিল এক ব্যবসায়িক শহর, ফলে এখানে বাজার, বন্দর, নদীর ঘাট, গুদামঘর– এই সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নগর পরিকল্পনার নানা প্রস্তাব নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা চললেও কলকাতার স্থানিক বিন্যাস কখনওই নির্দিষ্ট ছক মেনে গড়েপিটে নেওয়া যায়নি। আর ১৯০৫-এর পর এই অনির্দিষ্টতার সঙ্গে যোগ হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিশ শতকের গোড়ায় কলকাতা ঠিক এই কারণেই এক অংশের ব্রিটিশ রাজপুরুষদের কাছে বিশেষ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
……………………………………………
শহর থেকে দেশের কল্পনায় যাত্রা শুরুর প্রথম ধাপ যেন হয়ে উঠেছিল গোলদীঘি আর টাউন হল। একই সঙ্গে তৈরি হচ্ছিল ব্যক্তি আর সমষ্টির নতুন সমীকরণ, নতুন আঙ্গিক নিচ্ছিল ঘর আর বাইরের সম্পর্ক। প্রতিবাদ মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরতে শুরু করেছিল। পুণ্যভূমি গঙ্গার ঘাট থেকে শুরু করে ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে যাতায়াত বা বাড়ির বৈঠকখানা ছাপিয়ে পাড়ার পার্কে সভার আয়োজন– এই সবই হয়ে উঠেছিল ইংরেজ-শাসিত শহরে বাঙালির নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করার হাতিয়ার। আর কলকাতা থেকেই এই ব্রিটিশ-বিরোধী চেতনা অন্য সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে, এই ছিল সেই সময়ের ধারণা।
……………………………………………
যে কোনও শহরেই কিছু কিছু জায়গা বিশেষ পরিচিতি পেয়ে যায় হঠাৎ কোনও ঘটনার মধ্যে দিয়ে। গণ আন্দোলনের কেন্দ্র হিসেবে জেগে ওঠে এক বিশেষ ক্ষেত্র– সে শাহিনবাগই হোক বা তাহরির স্কোয়ার। স্বদেশির সময়ে কলকাতার গোলদীঘি হয়ে উঠেছিল সেরকমই এক স্থান। সমসময়ে নব্যভারত (১৯০৬) পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা দেখা যায়:
১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে সর্ব্বপ্রথমে যে দিন বৈকালে বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদের বিজ্ঞাপন কলিকাতায় তারের সংবাদে প্রকাশিত হয়, তখন দেশমান্য প্রকৃত-স্বদেশভক্ত ‘সঞ্জীবনী’-সম্পাদক শ্রীযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র মহোদয় এতদূর অস্থির হইয়াছিলেন, এবং তাহার হৃদয়ে ঘৃণা ও ক্রোধের বহ্নি এত প্রজ্জ্বলিত হইয়াছিল যে, তিনি সেই রাত্রি গোলদিঘিতে পরিভ্রমণ করিয়া কাটাইয়াছিলেন।
…
বঙ্গীয়-নব-উদ্দীপনাক্ষেত্রে গোলদিঘি রাজনৈতিক পীঠস্থান। অন্যূন অর্দ্ধশতাব্দী পূর্ব্বে বঙ্গের অমর কবি মধুসূদন সহধ্যায়ীগণ-সহ ইহারই তীরে, অখাদ্য-ভক্ষণ, সুরাপান, ইত্যাদি পাশ্চাত্য-শিক্ষার ও সভ্যতার (?) স্রোত “ইয়ং বেঙ্গল্” অর্থাৎ নব্য-বঙ্গ সমাজে প্রচারিত করিয়া প্রাচীনের সহিত নবীনের সমর ঘোষণা করেন। প্রথম অবস্থায় যাহা হইবার তাহা হইল। মধুসূদনের সমসাময়িক ও পরবর্ত্তী কয়েক পুরুষের লোকেরা দেশ হইতে দূরে সরিয়া পড়িলেন। দেশের সমস্ত চিন্তাবৃত্তি বহির্মুখীন হইল। ইংরাজ তাঁহাদের চক্ষে দেবতা; তাহাদের অনুকরণই কর্ত্তব্য বিবেচিত হইল। কালের কুটিল গতিতে আবার ঠিক সেইস্থানেই বর্ত্তমান বঙ্গীয় যুবক-সমাজ, অর্দ্ধশতাব্দীর পরে ঘরে ফিরিয়াছে, দেশ চিনিয়াছে। গোলদিঘির ধারে প্রত্যহ সন্ধ্যাকালে মাতৃমন্দিরে আহ্বান করিয়া, যুবকবৃন্দকে যে উৎসাহপূর্ণ উপদেশ দেওয়া হইত, বঙ্গের প্রতি পল্লীতে পল্লীতে আজ তাহার প্রতিধ্বনি শ্রুত হইতেছে। সে উৎসাহ, সে জ্বলন্ত তেজ, না দেখিলে বুঝা যায় না। দেশের সমস্ত নেতৃবৃন্দের পাদস্পর্শে সেই পীঠস্থান ধন্য। এই গোলদীঘির তীরে দাঁড়াইয়াই অঙ্গচ্ছেদে অশৌচগ্রস্থ যুবকগণ তিন দিন নগ্নপদে উত্তরীয় ধারণ করিয়াছিল; সমস্ত বঙ্গদেশের ছাত্রবৃন্দ সে দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে… এই আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি গোলদীঘি।
আন্দোলনের সমষ্টির একত্রিত হওয়ার, জড়ো হয়ে আলাপ-আলোচনা করার, পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার নির্দিষ্ট একটা পরিসর হিসেবে গড়ে উঠেছিল গোলদীঘি। খেয়াল রাখতে হবে, এই অঞ্চলই আবার ছিল সাম্রাজ্যবাদী প্রশাসকের চোখে ঔপনিবেশিক প্রজাদের ‘সভ্যতার পাঠ’ দেওয়ার মূল ভূমি। স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি-বক্তৃতা গৃহ– সব মিলিয়ে মিশিয়ে আধুনিক নাগরিক সভ্যতার আঁতুড়ঘর ছিল গোলদীঘির ধার। আর সেখানেই বাঙালি ছাত্র-যুবরা মিলিত হয়ে সরকারের বিরোধিতায় মেতে উঠল। বড়লাট হিসেবে লর্ড কার্জন ইতিমধ্যেই বাঙালি রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা কমানোর নানা পন্থা নিয়েছিলেন– ১৮৯৯ সালে এনেছিলেন ‘ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট’, ১৯০৪-এ ‘ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিস অ্যাক্ট’, আর তারপর ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব। ফলে ক্রমান্বয়ে রাজনীতির সরকারি আঙিনায় স্থান সংকুচিত হতে শুরু করে ব্রিটিশ-বিরোধী স্বরের। এই বিরুদ্ধ মত এবার তাই জায়গা হিসেবে বেছে নিল আরও বড় এক এলাকা– কলকাতা শহরের পথ ঘাট পার্ক রাস্তা দোকান বাজার! নব্যভারত-এ লেখা হচ্ছে,
বিগত বৎসর ২২শে শ্রাবণ তারিখে যখন কলিকাতার দুই সহস্র যুবক ছাত্রবৃন্দ বিভিন্ন বর্ণের উত্তরীয় স্কন্ধে লইয়া, সুদীর্ঘ সারিবদ্ধ হইয়া, গোলদিঘি হইতে টাউনহলের মহাসভায় উপস্থিত হয়, সেই দিন হইতেই দেশের যুবকবুন্দ মাতৃমন্ত্রে দীক্ষিত। সে দিনে মৃতপ্রাণ-সঞ্জীবনী মাতৃ-মন্ত্র “বন্দে মাতরম্” ধ্বনিতে সমস্ত পথ মুখরিত হয় নাই বটে, তবুও সে দিনেই উহার নীরব উদ্বোধন সূচিত হইয়াছিল।
শহর থেকে দেশের কল্পনায় যাত্রা শুরুর প্রথম ধাপ যেন হয়ে উঠেছিল গোলদীঘি আর টাউন হল। একই সঙ্গে তৈরি হচ্ছিল ব্যক্তি আর সমষ্টির নতুন সমীকরণ, নতুন আঙ্গিক নিচ্ছিল ঘর আর বাইরের সম্পর্ক। প্রতিবাদ মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরতে শুরু করেছিল। পুণ্যভূমি গঙ্গার ঘাট থেকে শুরু করে ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে যাতায়াত বা বাড়ির বৈঠকখানা ছাপিয়ে পাড়ার পার্কে সভার আয়োজন– এই সবই হয়ে উঠেছিল ইংরেজ-শাসিত শহরে বাঙালির নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করার হাতিয়ার। আর কলকাতা থেকেই এই ব্রিটিশ-বিরোধী চেতনা অন্য সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে, এই ছিল সেই সময়ের ধারণা। আবারও ফিরে যাই নব্যভারত-এর লেখায়:
১৩১০ সালের পৌষ মাসে, যখন রিজলি-স্বাক্ষরিত পরওয়ানা দ্বারা চট্টগ্রাম-বিভাগ এবং ঢাকা ও মৈমনসিংহ জেলাদ্বয়ের আসামে সামিল হওয়ার প্রস্তাব প্রচারিত হয়, তখনও দেশময় একটা আন্দোলন উঠিয়াছিল। কিন্তু, তাহা প্রধানতঃ কলিকাতার ‘জমীদার-সভার’ উদ্যোগেই হইয়াছিল। কলিকাতা হইতে প্রতিনিধি পাঠাইয়া, নানা স্থানে পুস্তিকা বিতরণ করিয়া, তবে তাহাকে স্থায়ী করিতে হইয়াছিল।
ব্রিটিশ-বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ‘পথে নামার’ প্রথম সফল উদ্যোগ হিসেবে বাংলার স্বদেশী আন্দোলনকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যা পরবর্তীকালে ভারতের রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করবে। তবে একইসঙ্গে বিশ শতকের প্রথম দশকের এই আন্দোলন বাংলার রাজনীতি, সংস্কৃতি, সমাজে কলকাতার এক অনতিক্রম্য আধিপত্য বিস্তারের গল্পও বলে, যা অন্য নানা স্বরকে নিঃসন্দেহে প্রান্তিক করে দিয়েছে কালে কালে। কিন্তু সে আর এক গল্প, আর এক ইতিহাস।
ঋণস্বীকার: Swati Chattopadhyay, ‘Cities of power and protest: spatial legibility and the colonial state in early twentieth-century India’, International Journal of Urban Sciences, Vol. 19, No. 1, 2015, pp. 40-52.
…কলিকথা–র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২২: স্মৃতিদের এক বিশাল সমাধিক্ষেত্র
পর্ব ২১: কলকাতার কেল্লা এবং ময়দানি মতবিরোধ
পর্ব ২০: সঙের গানে শতবর্ষের পুরনো কলকাতা
পর্ব ১৯: দেশভাগ ও উদ্বাস্তু মানুষদের শিয়ালদা স্টেশন
পর্ব ১৮: কলের গাড়ি ও কলকাতার নিত্যযাত্রীরা
পর্ব ১৭: বাবুদের শহর যেভাবে বদলে গেল আবেগের শহরে
পর্ব ১৬: ঘর-বন্দি হয়েও নাগরিক কলকাতার স্বাদ
পর্ব ১৫: গৃহভৃত্যর বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ, দু’দশকে বদলে যায় পরিস্থিতি
পর্ব ১৪: স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা সিনেমায় চাকরির ইন্টারভিউয়ের দৃশ্য সেই সময়ের আয়না
পর্ব ১৩: দাঙ্গা ও দেশভাগ বদলে দিয়েছে কলকাতার পাড়া-বেপাড়ার ধারণা
পর্ব ১২: প্রাচীন কলকাতার বোর্ডিং হাউস
পর্ব ১১: সারা বিশ্বে শ্রমিক পাঠানোর ডিপো ছিল এই কলকাতায়
পর্ব ১০: কলকাতার যানবাহনের ভোলবদল ও অবুঝ পথচারী
পর্ব ৯: বৃষ্টি নিয়ে জুয়া খেলা আইন করে বন্ধ করতে হয়েছিল উনিশ শতকের কলকাতায়
পর্ব ৮: ধর্মতলা নয়, ময়দানই ছিল নিউ মার্কেট গড়ে তোলার প্রথম পছন্দ
পর্ব ৭: সেকালের কলকাতায় বাঙালি বড়মানুষের ঠাঁটবাটের নিদর্শন ছিল নিজের নামে বাজার প্রতিষ্ঠা করা
পর্ব ৬: কলকাতার বহিরঙ্গ একুশ শতকের, কিন্তু উনিশ-বিশ শতকের অসহিষ্ণুতা আমরা কি এড়াতে পেরেছি?
পর্ব ৫: কলকাতা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে বেড়ে উঠেছে, একথার কোনও বিশেষ ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই
পর্ব ৪: ঔপনিবেশিক নগর পরিকল্পনার বিরুদ্ধ মত প্রকাশ পেয়েছিল যখন প্লেগ ছড়াচ্ছিল কলকাতায়
পর্ব ৩: ঔপনিবেশিক কলকাতায় হোয়াইট টাউন-ব্ল্যাক টাউনের মধ্যে কোনও অলঙ্ঘনীয় সীমানা
পর্ব ২: ‘জল’ যেভাবে ‘জমি’ হল এ কলকাতায়
পর্ব ১: চেনা কলকাতাকে না পাল্টেই বদল সম্ভব, পথ দেখাতে পারে একটি বাতিল রিপোর্ট