নদীর বা পুকুরের স্নানের ঘাটেও মহিলাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমান, কেচ্ছা, ঝগড়া চলত; এবং হয়ত আজও চলছে। কিন্তু ঝগড়া বা কেচ্ছায় অংশগ্রহণকারীরা গ্রামসমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার ফলে ওই সব ছুটকো কথার রাশি, চিৎকার চেঁচামেচি গ্রামীণ জীবন থেকে আলাদা বা পৃথক কোনও বিষয় ছিল না। বরং তা ছিল সেই চলতি সময়ের আখ্যান, স্মৃতির অংশবিশেষ; তার একটি ধারাবাহিকতা ছিল, সমাদরও ছিল। কিন্তু শহরে কলের জলের সরবরাহকে কেন্দ্র করে যে বিবদমান পরিস্থিতি তৈরি হয় তা ক্রমেই হয়ে থাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
‘কলতলা’ বললেই যে ছবিটা ভেসে ওঠে, তা হল একদল খেটে খাওয়া মানুষের শহরে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের একটি অনন্য দিক: রাস্তার ধারে মোটা পাইপ থেকে অনর্গল পড়তে থাকা ঘোলাটে জলের চারদিকে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের দৈনন্দিনতা। কেউ মাথা ঘষছে, কেউ সাবান মাখছে, কেউ কাপড় কাচছে, কেউ বা পরচর্চা। কার বালতি আগে ছিল, কারটা ছিল পরে; কে সেই বালতি রাখার সাক্ষী ছিল, কে ছিল না সেইটে নিয়ে কাজিয়া। কলতলাকে ঘিরে কলহমুখরতা যেন এক অতি পরিচিত নাগরিক দৃশ্য। কলকাতা শহরে যাদেরই একটা সুনির্দিষ্ট মাথা গোঁজার ঠিকানা রয়েছে, তাদের সকলেরই নানা কৌতূহল কাজ করে রাস্তার ধারে স্নানরত অর্ধ-উলঙ্গ কিছু মানুষের যাপনক্রিয়া প্রত্যক্ষ করে।
প্রকাশ্য দিবালোকে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে রাস্তার ধারে এ হেন স্নান– এ দেশের সমাজে কেবল শহুরে বিষয় তো নয়। গ্রামে মানুষ এখনও পুকুর বা নদীর ঘাটে স্নান সারে। মেয়েরা কাপড় কেচে, বাসন মেজে ফিরে আসে। কাঁখে কলসি নিয়ে জল আনতে যায়। ঘাটে রাই কিশোরীর প্রেমের খবর কে না জানে! ঘাটের ধারে মহিলা জমায়েতের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা কেচ্ছা-কাহিনিও সুবিদিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ঘাটের কথা’য় লিখে গিয়েছেন ছোট মেয়ে কুসুমের জলের সঙ্গে ভালোবাসার কথা; তার পায়ের মলের সঙ্গে শ্যাওলা ও ঘাটের সখীভাবের কাহিনি। আর সেই রাক্কুসি মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা। রবীন্দ্রনাথের লেখায় বেজে উঠেছে আক্ষেপের সুর, ‘জলের পদ্মটিকে কে যেন ডাঙায় রোপণ করিতে লইয়া গেল’।
সেই আক্ষেপ তো শেষ হওয়ার নয়। কারণ গ্রাম্য মেয়ে-বউদের হৃদয়ের সঙ্গে ঘাটের যে আত্মিক বন্ধনের কথা লেখা হয়ে রয়েছে সাহিত্যিক বা কবিদের লেখায়। ওই মেয়েদের কাজিয়া ও পরকীয়ার যে মিঠে-কড়া আখ্যানটি শহুরে পাঠককে প্রেমের রসদ যুগিয়ে এসেছে বরাবর। অথচ, একইভাবে শহরের কলতলায় স্নান বিলাসিনীরা মর্যাদা পাননি। উল্টে, কলতলা যেন হয়ে উঠেছে মেয়েলি কাজিয়ার প্রাঙ্গণ। তার মান অধোমুখী, রুচি নিম্নগামী। এ যেন ‘সংস্কৃতি’-র অপর পিঠ; প্রান্তিক সমাজের বিষয়।
কলতলার আসল জন্মদাতা ছিল মহামারী
উপনিবেশিক নগরায়নে জল সরবরাহ একটি বিশেষ অধ্যায় রচনা করেছিল কলকাতায়। উনিশ শতকে বিশেষত ১৮১৭ সাল থেকে প্রায় উনিশ শতকের শেষ অবধি লাগাতার কলেরা মহামারীর প্রকোপ ব্রিটিশ শাসকদের বাধ্য করেছিল কলকাতা নগরীর নিষ্কাশনী ব্যবস্থা অর্থাৎ পয়ঃপ্রণালী এবং জল সরবরাহের ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে। কারণ কলেরা মহামারীতে বহু ব্রিটিশ নাবিকের মৃত্যুতে ব্রিটিশ প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তার ফলে নেটিভ টাউন অর্থাৎ কলকাতার উত্তরভাগে রাস্তাঘাট নির্মাণ, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা তৈরি করা এবং একইসঙ্গে পরিশ্রুত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা নগরায়ন পরিকল্পনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছিল।
নগর পরিকল্পনার প্রাথমিক ধাপে মধ্য কলকাতা থাকে উত্তর ও দক্ষিণে রাস্তা তৈরি, সেইসব রাস্তার নাম ব্রিটিশ সাহেবদের নামে নামাঙ্কিত করে আধিপত্যের বিস্তারের নিশান গেঁথে দেওয়া হয়। এই রাস্তা তৈরির পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে পাইপ লাইন বসিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর গঙ্গার জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই নিয়ে শহরের উত্তরে বসবাসকারী ‘নেটিভ’দের মনে গঙ্গার জলের শুচিতা ঘুচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও, তা বেশিদিন ধোপে টেঁকেনি। কারণ মহামারীর প্রকোপে উনিশ শতকে মানুষের মৃত্যুতে শহরের বড় অংশ বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
তাই জল সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতি প্রাথমিকভাবে অনাস্থা থাকলেও যুক্তি উঠেছিল গঙ্গার জলের অকাট্য শুচিতাকে সাহেবদের তৈরি ব্যবস্থা কোনওভাবেই খণ্ডন করতে পারে না। উল্টোদিকে কলকাতার উত্তরভাগে রাজপথ নির্মাণের পাশাপাশি রাস্তার মোড়ের কলের জল সরবরাহ নিম্নবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা সুবিধে করে দেয়। ১৮৬৫ সালে পলতায় হুগলি নদীর জল ধরে পরিশোধনের ব্যবস্থা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল।
কলকাতা নগরীর পত্তন ও বাণিজ্য নগরী হিসেবে কলকাতার বিকাশ ক্রমে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রমে পরিযায়ী মানুষের সংখ্যাও বাড়াতে থাকে। অর্থাৎ উনিশ শতকে মধ্যভাগের তুলনায় শেষ ভাগে এবং বিশ শতকে শহরে পরিযায়ী মানুষের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তার অন্যতম প্রমাণ যেমন ১৮৭১ এবং ১৯০১ সালের আদমসুমারি তেমনই, ১৮৮৮ থেকে ১৮৯৩ সালের মধ্যে এবং পরবর্তীকালে ১৯০৩, ১৯০৭ সালেও পলতা পরিশোধনের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়াতে থাকে সরকার। কলকাতায় ব্রিটিশ পাড়া এবং এদেশীয় এলাকাবাসীদের পাড়াগুলিতে পর্যাপ্ত পরিশ্রুত জল সরবরাহের কাজে বদ্ধপরিকর থাকার চেষ্টা করতে থাকে প্রশাসন। পলতা জল পরিশোধনের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিউনিসিপ্যালিটির অনুমোদিত জমিতে তৈরি হওয়া বাড়ির ভেতরেও জল সরবরাহ ব্যবস্থা অর্থাৎ জলের পাইপ পৌঁছয়। স্নানঘরে কল বসতে থাকে। কিন্তু রাস্তার ধারের কলতলাগুলি ক্রমেই চলে যেতে থাকে পরিযায়ীদের দখলে।
কলতলা, অভাবী মানুষ ও অসামাজিকতা
এই পরিযায়ী জনসমষ্টির একটা বড় অংশই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ, বস্তিবাসী। তাঁদের কাছে পাড়ার মোড়ের জলের টাইম কলে দৈনন্দিন কাজ মিটিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায়ান্তর ছিল না। ফলবশত, রাস্তার মোড়ের এই কলের জলের নলগুলি শহরে নিম্নবিত্তের দিনযাপনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল। বিশ শতকে কলকাতার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অনুপাতে জল সরবরাহ অপ্রতুল হয়ে উঠতে থাকে। তার ফলে নিম্নবিত্তের সমাজে যারা রাস্তার ধারের নলগুলির উপরে নির্ভর করে দৈনন্দিন কাজের জলের চাহিদা মিটিয়ে নিতেন, তাঁদের মধ্যে বিবাদ ও কলহ ছিল সাধারণ বিষয়। এবং এই নলগুলিকে কেন্দ্র করে এলাকায় এলাকায় মেয়েদের অনেক বেশি সময় কাজ করতে হত। খেটে খাওয়া শ্রেণির মহিলারা যারা এই কলগুলির উপরে নির্ভর করতে বাধ্য হতেন, তাঁদের মধ্যে বিসম্বাদ ছিল নিত্য ও অনিবার্য।
নদীর বা পুকুরের স্নানের ঘাটেও মহিলাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমান, কেচ্ছা, ঝগড়া চলত; এবং হয়ত আজও চলছে। কিন্তু ঝগড়া বা কেচ্ছায় অংশগ্রহণকারীরা গ্রামসমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার ফলে ওই সব ছুটকো কথার রাশি, চিৎকার চেঁচামেচি গ্রামীণ জীবন থেকে আলাদা বা পৃথক কোনও বিষয় ছিল না। বরং তা ছিল সেই চলতি সময়ের আখ্যান, স্মৃতির অংশবিশেষ; তার একটি ধারাবাহিকতা ছিল, সমাদরও ছিল। কিন্তু শহরে কলের জলের সরবরাহকে কেন্দ্র করে যে বিবদমান পরিস্থিতি তৈরি হয় তা ক্রমেই হয়ে থাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নিম্নবিত্তের পরিসর, যে তার শ্রেণিগত কারণে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা সমাজের অংশ।
ফলে ‘কলতলা’ শব্দটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে যায় ‘মেয়েলি’ কাজিয়ার প্রসঙ্গ। সচেতনভাবে ভুলে যাওয়া হয় যে কলতলায় অশান্তির একটি অন্যতম কারণ হতে পারত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ এবং সেই অনুপাতে জল সরবরাহের অপ্রতুলতা। নিম্নবিত্তের প্রতি উচ্চ ও মধ্যবিত্তের শ্রেণিঘটিত অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্যের বোধ কলতলার কাজিয়াকে ক্রমেই হাস্যস্পদ এবং নিম্নরুচির একটি বিশেষ উপমায় পরিণত করে। যা ‘মেয়েলি’, অ-নাগরিক, অ-সভ্য– শহুরে জীবনের সঙ্গে খাপ না খাওয়া কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিশেষ; অভাবী জীবনের অংশ যা নৈমিত্তিক এবং অনিবার্য। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের তথা ভদ্রলোক সমাজের পশ্চিমের ‘আধুনিক শিক্ষা’র মিশেলে তৈরি হওয়া যাপন রুচির বিপরীতগামী; ‘রাখঢাকে’ অবিশ্বাসী। অন্দরের কথা বাইরে এনে ফেলার প্রবণতা কেচ্ছার মোড়কে, সেটাই যেন কলতলার মূলে। অতি সামান্য তুচ্ছ জলের জন্য বাপ-মা তুলে খিস্তি-খেউড়– যৌনগন্ধি শব্দ প্রয়োগে বিবমিষার প্রকাশই বৈশিষ্ট্য তার।
কলতলা ও নাগরিকতার দাবি
স্বাধীনতার পরে উদ্বাস্তুদের ভিড় কলতলার কাজিয়াকে আরও সুস্পষ্ট চেহারা দিয়েছিল। উদ্বাস্তু পল্লিতে জীবনের অনিশ্চয়তা, স্থান সংকুলান ও অভাব যেন সমস্ত উদ্বাস্তু পাড়াকেই কলতলার রূপক হিসেবে নির্মাণ করে দেয়। যে কোনও রকম ঝগড়া, বিশেষত তা যদি জল সরবরাহের বা জল সংগ্রহের ক্ষেত্র, জলের অপ্রতুলতা এবং সেই অভাবকে কেন্দ্র করে গজিয়ে ওঠে, তবে তা পেয়েছে কলতলায় কাজিয়ার আখ্যা। যেমন জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর ‘বারো ঘর এক উঠোন’ উপন্যাসে শিবনাথের পরিবার, রুচি কখনও কলতলার কাজিয়ার মধ্যে পড়েনি। রুচি ইংরেজি জানা বি.এ. পাশ শিক্ষিতা। মুক্তারাম স্ট্রিটের উচ্চবিত্তীয় ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে সোজা বেলেঘাটা এলাকার বস্তিতে ঠাঁই নিলেও কুয়োকে ঘিরে তৈরি হয়ে ওঠা কলতলার কাজিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। দূর থেকে কাজিয়ার গতি ও প্রকৃতি সে নিরীক্ষণ করলেও কাজিয়ায় অংশ নেওয়া তার কম্ম ছিল না। যদিও কাজিয়ায় অংশগ্রহণকারী মহিলাদের প্রতি রুচির সমবেদনা কখনও হারিয়ে যায়নি। বরং রুচি দেখতে পেয়েছে কীভাবে কিছু মহিলার পরিচ্ছন্নতার প্রতি দায়িত্ববোধ কাজিয়ার ঊর্ধ্বে উঠে বস্তির মানুষকে সামান্য আরাম দিয়েছে।
আসলে সাধারণভাবে মেয়েলি দৈনন্দিনতার পরিসরকে যে আঙ্গিকে দেখা হয়, তাতে মহিলাদের ‘কলহপ্রিয়া’ প্রমাণ করার মধ্যে একটি বিশেষ পুরুষালি দৃষ্টি কাজ করে। যেটি মেয়েদের চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে না দেখে অসংবেদী, বুদ্ধি-যুক্তিহীন পদার্থ হিসেবেই দেখতে বেশি আরাম বোধ করে। এই পুরুষালি দৃষ্টি দিয়ে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মহিলারাও বহুলাংশে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাঁদের চোখেও স্নানের জলের জন্য নিম্নবিত্তের মানুষের নিজের প্রতিবেশিনীর সঙ্গে কলহ যেন নির্বুদ্ধিতার প্রতিফলন হিসেবেই ধরা দিতে থাকে। শ্রেণিভেদে যুক্তিহীনতার পরিমাপও বদলে যেতে থাকে। মহিলা যত নিম্নশ্রেণি ও নিম্নজাতির প্রতিভূ হন তাঁর প্রতি এই শ্রেণিগত তাচ্ছিল্যের বোধ তাঁকে তত বেশি কলহমুখর, শিক্ষা ও সহবতহীন মানুষ হিসেবে দেখতে চায়।
কিন্তু কলহ বা কাজিয়ার মধ্যে দিয়ে তার অভাবী সংসারে নিত্যদিনের বেঁচে থাকার লড়াই বা ইংরেজিতে যাকে বলে ‘রেজিলিয়েন্স’– তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। নিম্নবিত্ত অভাবী পরিবারের মেয়েদের এই রেজিলিয়েন্স বা বেঁচে থাকার লড়াই যে তাঁদের চরিত্র গঠনের শক্ত ভিত তৈরি করে দেয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে শেখার পাঠ দেয় বা খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য তিলে তিলে তৈরি করে ফেলে তা কয়জন মনে রাখে!
তথ্যসূত্র:
1. Partha Chatterjee (ed.), Texts of Power Emerging Disciplines in Colonial Bengal, University of Minesota Press, 1995
2. Amitava Pal, Water Supply System in Kolkata City– A brief history on its chronological developments, strategic plans and future aims
বিনা বেতনের গৃহস্থালির কাজে সময় ব্যয় করে ২৮৮ মিনিট, পুরুষরা সেখানে ব্যয় করে ৮৮ মিনিট! অন্বিতার রান্না করে রেখে যাওয়া ভাত তাঁর স্বামী খেতে পেরেছে কি না জানি না, তবে আমাদের রক্ত চুষে দিব্যি ফুলে ফেঁপে বাড়ছে পুঁজি আর পিতৃতন্ত্র।