ক্রীড়া বিষয়ক উপন্যাসে জনতার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত সরল কিন্তু মতি নন্দীর কিছু গল্পে ভিড়, জটলা, একদল মানুষের সম্মিলিত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার যেসব ছবি আমরা পাই তা অবশ্যই অনেক বেশি জটিল, বহুস্তরীয়, সমাজ মনস্তত্ত্ব জানা-বোঝার মোক্ষম সব ধরতাই । ‘রাস্তা’, ‘একটি পিকনিকের অপমৃত্যু’, ‘শবাগার’, ‘দু ভাগে’, ‘ছ’টা পঁয়তাল্লিশের ট্রেন’ ইত্যাদি অসংখ্য গল্পে যে সমাজজীবনের যেমন ছবি এঁকেছেন তাতে তুলি-কলম নয়, মর্গের টেবিলে ডোমের হাতের ছুরি হাতে যেন রূঢ়, নিষ্কম্প, নির্দয় হাতে মতি ব্যবচ্ছিন্ন করেছেন বাঙালি মধ্যবিত্তের ভাবের ঘরে চুরি করা ছদ্মবেশী জীবন, তার স্ববিরোধ, ভণ্ডামি, আত্মপ্রবঞ্চনা, গোপন সব অন্ধকার । তবে অদৃষ্ট, অলক্ষ, সব কিছুর আড়ালে ওত পেতে থাকা নিয়তিকে ভিড়ের মধ্যে দেখার যে অনন্য ভঙ্গি মতি তাঁর নানা গল্পে দেখিয়েছেন তার একটি বিখ্যাত উদাহরণ ‘জলের ঘূর্ণি ও বকবক শব্দ’ গল্পটি।
প্রচ্ছদ শিল্পী: অর্ঘ্য চৌধুরী
‘ভিড়’ জিনিসটা ঠিক কী বস্তু, এককথায় বলা প্রায় অসম্ভব! নাহ, ভিড় বলতে কিন্তু নিছক সমষ্টি নয়। ভিড়, জনতা, জটলা, পাবলিক, ক্রাউড, কাছাকাছি অভিধা-ব্যঞ্জনা-লক্ষণা বিশিষ্ট ধারণার আসলে অনেক মুখ, অনেক মাত্রা, অনেক রকম চরিত্র, অনেক ধরনের কার্যকলাপ। ‘ভিড়’ অর্থাৎ এমন একটা পরিসর যেখানে মানুষ আর ‘ইন্ডিভিজুয়াল’ নয়, যেখানে তার ঘাড়ে দায়িত্ব-কর্তব্য-সংযম মানবিকতার দায় নেই, যেখানে লোকে কী ভাববে, কী বলবে, ইত্যাদি ব্যক্তি-ভাবনার ভার বহনের দায় নেই কোনও, সর্বোপরি যেখানে ইনহিবিশন কিংবা অবদমনের বাড়তি কোনও চাপ নেই। তাই জীবন হোক বা সাহিত্য– এ চিরকালই খুবই জটিল, শক্তিশালী ও আনপ্রেডিক্টেবল একটি জীবন্ত সত্তা।
ভিড় সাধারণত দু’প্রকার– সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয়। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ভিড়ের চরিত্র প্রধানত চার প্রকারের, ক্যাজুয়াল, কনভেনশনাল, এক্সপ্রেসিভ আর অ্যাগ্রেসিভ। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় যেসব ভিড়ের সঙ্গে আমরা পরিচিত, প্রকারগতভাবে কোনও না কোনওভাবে সেগুলি এই চারের মধ্যে পড়লেও মোটের ওপর সে মূলত অনেকটা যেন অন্ধ দৈত্যের মতো। স্বভাবগতভাবে সে ভয়ানক রূঢ়, নির্মম, যুক্তি-বুদ্ধিশূন্য, ইতর, হিংস্র, আদিম এবং আধুনিকতম সভ্য সমাজে দাঁড়িয়েও তলদেশ ছুঁয়ে রেখেছে এক প্রি-সিভিলাইজড সোসাইটিকে। মহাকাব্য, পুরাণ সাহিত্য থেকে গ্রিক ট্র্যাজেডি, শেক্সপিয়রের যুগ হয়ে আধুনিক গল্প-উপন্যাসে এই ভিড়ের নানা মুখ আমরা দেখেছি কিন্তু সেইসব তীব্রতার সঙ্গে গড়পড়তা বাংলা সাহিত্যের বনিবনা হয়নি কোনওকালেই। কারণ, বাংলা বাজারে ফিল-গুড সাহিত্যের বাড়বাড়ন্ত আজকের ঘটনা নয়, এ এক চিরকালীন প্রবণতা। পাঠকের সামনে যেকোনও জিনিসেরই অপেক্ষাকৃত চিনি-মাখানো নরম পেলব সেন্টিমেন্টাল মায়াময় রাখাঢাকা, এক কথায় তথাকথিত ভদ্রলোকি পরিবেশনাই এখানে দস্তুর। এর জন্য অবশ্য লেখকদের একতরফা দায়ী করলে ভুল হবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি মধ্যবিত্ত পাঠকের রুচি, সত্যির সামনে দাঁড়ানোর সাহসের অভাব, আশ্চর্য কিছু বহুলালিত সংস্কার, শুচিবায়ুগ্রস্থতা দায়ী তার চেয়ে ঢের বেশি এবং তার চেয়েও বেশি দায়ী হয়তো প্রকাশকদের সব ক্ষেত্রেই সেফ-জোনে থাকার মানসিকতা, শিল্পের উৎকর্ষ বিষয়ে উদাসীনতা, সৎ শিল্প উৎপাদনের পাশে না দাঁড়ানো।
কিন্তু যা নির্মম, তাকে যথাযোগ্য নির্মমতার সঙ্গে পরিবেশন না করা তো ঘোর অন্যায়! যা নগ্ন, তাকে জোর করে আড়াল পরিয়ে লোকসমক্ষে নিয়ে আসা শুধু অপলাপই নয়, তা যে আদতেই সীমাহীন অশ্লীলতা, তা যদি আমাদের জনপ্রিয় সাহিত্যিকেরা যদি সামান্যতম বুঝতেন! ‘নিষ্ঠা’ শব্দটির সঙ্গে নিষ্ঠুরতার আপাত বিরোধ থাকলেও সাহিত্যের ক্ষেত্রে এ সম্ভবত এক অমোঘ আয়রনি, যেসব ঔপন্যাসিক-গল্পকার সত্যকে উপযুক্ত নিষ্ঠাযুক্ত নিষ্ঠুরতার সঙ্গে সামনে আনতে পেরেছেন তাঁরাই এই শিল্পমাধ্যমের প্রতি তাদের দায় পূরণ করেছেন সবচেয়ে বেশি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে যেসব বাঙালি লেখক সেই নিষ্ঠা আর নিষ্ঠুরতাকে অপরূপভাবে মেলাতে পেরেছেন তাঁদের মধ্যে মতি নন্দী অনন্য এক নাম। আর নির্মেদ ভনিতাহীন তীক্ষ্ণ গদ্যে নির্মোহ সেই পরিবেশনার বিভিন্ন দিকের মধ্যে অন্যতম প্রণিধানযোগ্য হচ্ছে মতি নন্দীর কথাসাহিত্যে ভিড়ের অবতারণা।
……………………………………………………………….
বাংলা বাজারে ফিল-গুড সাহিত্যের বাড়বাড়ন্ত আজকের ঘটনা নয়, এ এক চিরকালীন প্রবণতা। পাঠকের সামনে যেকোনও জিনিসেরই অপেক্ষাকৃত চিনি-মাখানো নরম পেলব সেন্টিমেন্টাল মায়াময় রাখাঢাকা, এক কথায় তথাকথিত ভদ্রলোকি পরিবেশনাই এখানে দস্তুর। এর জন্য অবশ্য লেখকদের একতরফা দায়ী করলে ভুল হবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি মধ্যবিত্ত পাঠকের রুচি, সত্যির সামনে দাঁড়ানোর সাহসের অভাব, আশ্চর্য কিছু বহুলালিত সংস্কার, শুচিবায়ুগ্রস্থতা দায়ী তার চেয়ে ঢের বেশি এবং তার চেয়েও বেশি দায়ী হয়তো প্রকাশকদের সব ক্ষেত্রেই সেফ-জোনে থাকার মানসিকতা, শিল্পের উৎকর্ষ বিষয়ে উদাসীনতা, সৎ শিল্প উৎপাদনের পাশে না দাঁড়ানো।
……………………………………………………………….
মতি নন্দীর খেলা-বিষয়ক উপন্যাসে জনতা তার যেসব আচরণ, চেহারা, চিৎকার, গ্রহণ-প্রত্যাখ্যান নিয়ে হাজির– সেকথা না বললে বলা হবে না কিছুই, তাই প্রথমেই উল্লেখ্য তাঁর ‘স্ট্রাইকার’, ‘কোনি’, ‘স্টপার’ ইত্যাদি বহুলপঠিত উপন্যাসের কথা। যেমন যদি ‘স্টপার’-এর কথাই ধরা যায়, যেখানে আমরা জনতাকে পাচ্ছি ধ্রুপদী বা গ্রিক নাটকের নিয়তির ভূমিকায়। হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জনতাই তার ফেট, ডেস্টিনি যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যক্তির জীবন, আশা, স্বপ্নপূরণ স্বপ্নভঙ্গ। সেই জনতাকে প্রেক্ষাপটে রেখেই রচিত হচ্ছে খেলোয়াড়ের জীবনের পথ, এই জনতার হাতে মানুষ যেন অনেক ক্ষেত্রেই পিছনে দড়ি বাঁধা পুতুল যেন। তার প্রকট ও প্রচ্ছন্ন উপস্থিতিই হয়ে উঠছে কাহিনির ভাইটাল ফোর্স, আধার না থাকলে যেমন আধেয়র কোনও অস্তিত্ব থাকতে পারে না তেমনই মাঠে বা মাঠের বাইরে, ঘরে-বাইরে, ঘুমে-জাগরণে এই জনতাই হয়ে উঠছে চরিত্রদের ক্ষেত্রে একই সঙ্গে সৃষ্টি, স্থিতি, ধ্বংস, সাফল্য, ব্যর্থতা, অমৃত ও হলাহল। এই জনতাই ‘স্ট্রাইকার’ প্রসূন ভট্টাচার্যকে গালাগাল দিয়ে উচ্ছন্ন করছে, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, অবজ্ঞা দিয়ে মিশিয়ে দিচ্ছে মাটিতে আবার এই একই জনতা জয়ের দিনে তাঁকে মাথায় তুলে নাচছে, মাথায় পরিয়ে দিচ্ছে নায়কের রাজমুকুট। যে-জনতা একদিন তার বাবাকে ঘুষ খেয়ে দলকে হারানোর অপবাদ দিয়ে কেরিয়ার শেষের কারণ হয়েছিল, পুত্রের ফাইনালে গোলের সঙ্গে সেই জনতাই কারণ হয়ে উঠছে তার জীবনের সার্থকতম প্রাপ্তির। সব কেড়ে দিয়ে গ্রিক মিথিকাল নেমেসিসের মতো যে একদিন এসেছিল কালো রাত্রি হয়ে, আরও এক দিনে সেই ঘুচিয়ে দিচ্ছে দুরাশার কালো মেঘ, অবসান ঘটাচ্ছে সব অন্যায় লজ্জা অপমান যন্ত্রণাময় দিনরাতের।
ক্রীড়া বিষয়ক উপন্যাসে জনতার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত সরল কিন্তু মতি নন্দীর কিছু গল্পে ভিড়, জটলা, একদল মানুষের সম্মিলিত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার যেসব ছবি আমরা পাই তা অবশ্যই অনেক বেশি জটিল, বহুস্তরীয়, সমাজ মনস্তত্ত্ব জানা-বোঝার মোক্ষম সব ধরতাই । ‘রাস্তা’, ‘একটি পিকনিকের অপমৃত্যু’, ‘শবাগার’, ‘দু ভাগে’, “ছ’টা পঁয়তাল্লিশের ট্রেন” ইত্যাদি অসংখ্য গল্পে যে সমাজজীবনের যেমন ছবি এঁকেছেন তাতে তুলি-কলম নয়, মর্গের টেবিলে ডোমের হাতের ছুরি হাতে যেন রূঢ়, নিষ্কম্প, নির্দয় হাতে মতি ব্যবচ্ছিন্ন করেছেন বাঙালি মধ্যবিত্তের ভাবের ঘরে চুরি করা ছদ্মবেশী জীবন, তার স্ববিরোধ, ভণ্ডামি, আত্মপ্রবঞ্চনা, গোপন সব অন্ধকার। তবে অদৃষ্ট, অলক্ষ, সব কিছুর আড়ালে ওত পেতে থাকা নিয়তিকে ভিড়ের মধ্যে দেখার যে অনন্য ভঙ্গি মতি তাঁর নানা গল্পে দেখিয়েছেন তার একটি বিখ্যাত উদাহরণ ‘জলের ঘূর্ণি ও বকবক শব্দ’ গল্পটি। এই গল্পে ভিড়ের ভয়াবহ অমানবিক, ইতর, অপরাধপ্রবণ আচরণ অপ্রত্যাশিত হলেও তাই যেন দৈনন্দিনের আপাত সুন্দর মুখের নিখুঁত ত্বকের তলায় কঙ্কালের কুৎসিত ভ্রূকূটির মতোই।
বাড়ির ট্যাপে জল আসছে না, অগত্যা তিনতলা বাড়িতে থাকা গৃহবধূটি গিয়েছিল কাছেই বস্তির টিউবওয়েলে দু’বালতি জল আনতে । সেখানে গিয়ে সে মুখোমুখি হয় বস্তিবাসীদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত দুর্ব্যবহারের । ওরা জল দিতে তো চায়ই না, তদুপরি শুনতে হয় ‘তিনতলায় থাকার সুখ এবার পেছন দিয়ে বেরবে’। জল নেওয়া নিয়ে অতঃপর ঝটাপটি বেঁধে গেলে বস্তিবাসী মহিলাগুলো ক্রমশ হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে উঠতে থাকে। চড়-কিল-ঘুসি ধস্তাধস্তির মতো মোটা মতো এক মহিলা বলে ওঠে, ‘ল্যাংটো করে দে মাগীকে’। তাই করা শুরু হয়, মধ্যবিত্ত গৃহবধূর পরিস্থির আরও শোচনীয় হত যদি না তার স্বামী এসে না পড়ত ও তলায় শায়া আর ওপরে পরনের জামাটি জড়িয়ে তাকে নিয়ে না পারত বাড়িতে। ভিড়ের এই দুঃসহ নিপীড়নের ফল হিসাবে মহিলা শিকার হয় মনোবিকলনের কিন্তু সেটাও তো গল্পের গৌণ দিক, মুখ্য যে দিকটা আখ্যানের তলা থেকে উপরিতলে উঠে আসে তা অবশ্যই অবতলের গরিব মানুষদের সমাজের পয়সায়ালা সুবিধাভোগী প্রিভিলেজড ক্লাসের প্রতি লুকনো রাগ, ঘৃণা, প্রতিশোধ প্রবণতার খোলাখুলি প্রকাশ। বরফের মতো জমাট বঞ্চনাবোধের যে কোনও এক মুহূর্তে গলা জল হয়ে মাটি ফাটিয়ে ফিনকি দিয়ে ওঠা।
এই আক্রোশ বা রাগকে ফুটে উঠতে দেখছি মতির আরও অনেক গল্প-উপন্যাসে। ট্রেনের ডেলি-প্যাসেঞ্জারদের ট্রেনে যাদের নিত্য যেতে হয় না তাদের ওপর রাগ, অপেক্ষাকৃত ভদ্রস্থ চেহারার লোকেদের প্রতি সমাজের কোণঠাসা কুৎসিত অকুলীন লোকেদের রাগ। কিন্তু তার চেয়েও সাংঘাতিক হচ্ছে জনতার অন্যতর উপস্থিতি। ভিড় কী বলবে, লোকে কী বলবে, কী হবে জনতার রায়। এই ভয় মধ্যবিত্তকে কীভাবে সারা জীবন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়, কেড়ে নেয় স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত মানুষিক প্রতিবর্ত-ক্রিয়াগুলোকে তার উদাহরণ হয়ে আমরা এক বাবাকে দেখছি নিজের মধ্যবিত্ত মিথ্যা মর্যাদাবোধ, ইগোকে ডিফেন্স করতে সন্তানের মর্গে শুয়ে থাকা লাশের চোখে তেজ ও অহংকার খুঁজে পেতে। বলে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, এর জন্য আমি গর্বিত। তাই এরকম বহু ক্ষেত্রেই বলা যায়, গল্পে দৃশ্যত উপস্থিত না থেকেও জনতা বা ভিড় নিয়ন্তা হয়ে উঠছে ব্যক্তি মানুষের। উল্লসিত ভিড়, মজা দেখা ভিড়, আক্রোশী ভিড়, মারমুখী ভিড় থেকে শুরু করে নিতান্তই প্যাসিভ, ছিছিক্কার করা কাল্পনিক ভিড়কে তাই দেখা যাচ্ছে গল্প ও জীবনের গতিবিধিকে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে। ভিড় যেন স্কোয়াশ খেলার সেই স্থির দেওয়ালটির মতো যাতে ঘা খেয়ে ফিরে আসছে লম্ফমান বল, যাকে আবারও ব্যাটের ঘায়ে দেওয়ালে আছাড় খাইয়ে ফিরিয়ে এনে আমরা চালিয়ে যাচ্ছি খেলা, যার আরেক নাম জীবন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন। ১৯১০-এ লক্ষ্মীনাথের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাঁহী’ পত্রিকা। এই পত্রিকায় লক্ষ্মীনাথ অসমিয়া ভাষা-সংস্কৃতির নিজত্বকে যুক্তিনিষ্ঠভাবে প্রকাশ করেছিলেন।