আমার প্রথম বই ‘হৃদয় অবাধ্য মেয়ে’-তে ছিল বেপরোয়া উচ্চকিত প্রেম । তাতে ছিল খোলাখুলি তীব্র আবেগসঞ্জাত হৃদয় ও শরীরী কামনার প্রকাশ। সেই তীব্রতা আমার দ্বিতীয় বইয়ে গভীরতার দিকে মোড় ঘুরে গেছিল। এখানে স্থান পেয়েছিল নারীবাদী স্বর। প্রথম বইয়ে ছিল প্রেমিকের কাছে আত্মসমর্পণ। আর দ্বিতীয় বইয়ে ছিল সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন। আমার প্রথম বই ‘হৃদয় অবাধ্য মেয়ে’-র পরে তাই এই বইয়ের নাম রাখা হয়েছিল ‘বলো অন্যভাবে’। হ্যাঁ, আমার দ্বিতীয় বইয়ে আমি অন্যভাবে কিছু বলতে চেয়েছিলাম।
আমার প্রথম বই পাঠক ও সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল। প্রথম বই-ই আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হয়। এতে আমার মাথা ঘুরে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। এই পুরস্কার বরং আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিল। যাঁরা কাব্য জগতে আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের জন্য আরও ভালো লেখার দায়িত্ব। আর, যাঁরা তখনও আমার কাব্য জগতে প্রবেশ মেনে নিতে চাননি, তাঁদের কাছেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার দায়িত্ব।
পরের বছরই আমার দ্বিতীয় পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হয়ে যায়। তাতে আমার স্বর অনেকটাই বদলে গিয়েছিল। সে কথায় পরে আসছি। ইতোমধ্যেই শ্রদ্ধেয় শঙ্খ ঘোষের কাছ থেকে আমার মন্দাক্রান্তা ছন্দের শিক্ষা এবং দীক্ষা ঘটে যায়। তাঁর কাছ থেকে সকালে শিখে সেদিন রাত জেগেই মন্দাক্রান্তা ছন্দে ১৪টা কবিতা লিখে ফেলেছিলাম। ভয়ে ভয়ে তাঁর কাছে গুটিগুটি গিয়ে সেগুলি দেখিয়েও ছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ছন্দ একদম ঠিক আছে। এবং কবিতাগুলি ছন্দের ব্যায়াম না হয়ে সার্থক কবিতাও হয়ে উঠেছে। পরে সেই কবিতাগুলি নিয়ে ‘দেশ’ পত্রিকার তৎকালীন কবিতা সম্পাদক জয় গোস্বামীর কাছে নিয়ে যেতে তিনি ওই ১৪টা কবিতাই দেশ-এর পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশের জন্য মনোনীত করেন। প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলা কবিতার চত্বরে বেশ হইচই পড়ে যায়।
এই মন্দাক্রান্তা ছন্দে লেখা কবিতাগুলি আমি আমার দ্বিতীয় বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। সঙ্গে ছিল মালিনী ছন্দে লেখা দু’টি কবিতাও। এই মালিনী ছন্দটি আমি নিজেই চেষ্টা করে শিখেছিলাম। কিন্তু আগে যে স্বর বদলানোর কথা বলেছিলাম, সে কথায় আসা যাক।
…………………………………
শ্রদ্ধেয় শঙ্খ ঘোষের কাছ থেকে আমার মন্দাক্রান্তা ছন্দের শিক্ষা এবং দীক্ষা ঘটে যায়। তাঁর কাছ থেকে সকালে শিখে সেদিন রাত জেগেই মন্দাক্রান্তা ছন্দে ১৪টা কবিতা লিখে ফেলেছিলাম। ভয়ে ভয়ে তাঁর কাছে গুটিগুটি গিয়ে সেগুলি দেখিয়েও ছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ছন্দ একদম ঠিক আছে। এবং কবিতাগুলি ছন্দের ব্যায়াম না হয়ে সার্থক কবিতাও হয়ে উঠেছে। পরে সেই কবিতাগুলি নিয়ে ‘দেশ’ পত্রিকার তৎকালীন কবিতা সম্পাদক জয় গোস্বামীর কাছে নিয়ে যেতে তিনি ওই ১৪টা কবিতাই দেশ-এর পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশের জন্য মনোনীত করেন।
…………………………………
প্রথম বই ‘হৃদয় অবাধ্য মেয়ে’-তে ছিল বেপরোয়া উচ্চকিত প্রেম। তাতে ছিল খোলাখুলি তীব্র আবেগসঞ্জাত হৃদয় ও শরীরী কামনার প্রকাশ। সেই তীব্রতা আমার দ্বিতীয় বইয়ে গভীরতার দিকে মোড় ঘুরে গেছিল। এখানে স্থান পেয়েছিল নারীবাদী স্বর। প্রথম বইয়ে ছিল প্রেমিকের কাছে আত্মসমর্পণ। আর দ্বিতীয় বইয়ে ছিল সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন। আমার প্রথম বই ‘হৃদয় অবাধ্য মেয়ে’-র পরে তাই এই বইয়ের নাম রাখা হয়েছিল ‘বলো অন্যভাবে’। হ্যাঁ, আমার দ্বিতীয় বইয়ে আমি অন্যভাবে কিছু বলতে চেয়েছিলাম।
………………………………………..
দ্বিতীয় বই–সিরিজে অনিতা অগ্নিহোত্রী-র লেখা: পরবর্তী কাব্যগ্রন্থ শুধু নয়, বহু অনাগত উপন্যাসের সম্ভাবনাও ছিল ‘বৃষ্টি আসবে’ বইটিতে
………………………………………..
আমি চেয়েছিলাম বইটি প্রকাশিত হোক। কিন্তু আবার একটি বই করতে প্রকাশকের কাছে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে সাহস পাইনি। আমার স্বামী অরিনিন্দম সেই পাণ্ডুলিপি নিয়ে প্রকাশকের কাছে গেছিল। এবং সেই প্রস্তাব প্রকাশক সাদরে গ্রহণ করেন। এভাবেই বেরয় আমার দ্বিতীয় বইটি । আমার নতুন উপলব্ধিজাত মানসিক অভিজ্ঞতার নতুন অভিজ্ঞান।
………………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………..