ছোট চরিত্র হোক, বা প্রধান চরিত্র, মনপ্রাণ ঢেলে করেছে সবাই এবং আমার ছবির ভিশন-এর সঙ্গে মিশেছে। আবির (শশী), জয়া (কুসুম), পরমব্রত (কুমুদ), সুরাঙ্গনা (মতি), ধৃতিমান (যাদব পণ্ডিত), শান্তিদা, অনন্যা সকলেই কাজ করার সময় পুরো মন দিয়েছেন। শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নন, টেকনিশিয়ানরাও। কাজের সময়েই ভাব সঞ্চারিত হয়েছিল যে একটা অন্যরকম কিছু হচ্ছে। ছবিটা খুব সিরিয়াস হওয়ার চেয়েও বলব, ভালো গল্প। বড় মাপের উপন্যাস হলে কী হয়, সামাজিক দর্পণে মানুষগুলোকে দেখা হয়। সেই জায়গাটা ছবির মধ্যে ধরার চেষ্টা করেছি। মানুষে-মানুষে সম্পর্ক, কিন্তু একটা বিশেষ সময়ে কীভাবে তাঁরা বাঁচছেন, সেটাই দেখানো হয়েছে।
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’-র মতো এমন বহুল চর্চিত উপন্যাস সিনেমার জন্য বেছে নেওয়ার কারণ কী? এর মধ্যে তো ঝুঁকিও থাকে।
যখন একটা ছবি করব বলে একটা জিনিস অনেক দিন ধরে ভিতরে ভিতরে লালন করি, তার একটা রসায়ন ঘটতে থাকে। অনেক উপন্যাস-গল্পই তো পড়ি সব গল্প বা উপন্যাস নিয়েই যে ছবি করতে ইচ্ছে হয়, তা নয়। এক-একটা গল্পের রেশ যেন থেকে যায়। তখনই মনে হয়, এর একটা প্রকাশ চাই। আমি যে মাধ্যমগুলোতে কাজ করি, তার সূত্রেই প্রকাশ করতে চাই। ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ নিয়ে ছবি করব মনস্থ তখনই করলাম, চিত্রনাট্য নিয়ে বসার জন্য তাগিদটা অবধি যখন পৌঁছলাম। যে এবার ছবিটা করার সময় এসেছে, এবার চিত্রায়ণ। আর তুমি যেটা বললে, নিশ্চিতভাবে ঝুঁকি থাকে। যেগুলো খুবই বরেণ্য উপন্যাস বা গল্প, সেগুলো নিয়ে ছবি করলে রিস্ক থাকেই।
টেক্সটের সঙ্গে তুলনা চলে আসে।
আমি সারাজীবন ধরে এটাই করেছি। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ থেকে নাটক করেছি। বৃহৎ চর্চিত উপন্যাস। আমি ‘হারবার্ট’ করেছি, সেটাও চর্চিত। এই ঝুঁকি আমার শিল্পী-জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আর ভাবি না। কারণ, অনেকগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আবার অনেকগুলোয় হইনি। সে তো যে কোনও ছবি নিয়েই হয়। একদম স্বতন্ত্র গল্প, বা বহুল পরিচিত গল্প নয়– তা নিয়ে সিনেমাতেও রিস্ক থাকে। ছবিটা কিন্তু ছবির জন্যই ভালো লাগে। এবার যাঁরা মেলাচ্ছেন, তাঁরা মেলাবেন। যেসব মানুষ ছবি দেখতে আসেন, তাঁদের খুব অল্প অংশই ওইভাবে মিলিয়ে-মিলিয়ে দেখেন। বরং যাঁরা ছবি দেখতে ভালোবাসেন, তাঁরা সিনেমাটা পছন্দ করবেন বা করবেন না। উপন্যাসের সঙ্গে ছবির মিল-অমিলের চর্চা করার মানুষ কম বলেই আমার মনে হয়। এতদিনের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এটাই আমার ভরসা। আমার প্রায় সবকটা চলচ্চিত্রই উপন্যাস-গল্প থেকে নিয়ে করা। বাঙালি ফিল্মমেকারদের দেখবে, যাঁদের বড় মাপের বলে মনে করি, তাঁদের অনেকেই সাহিত্যের আধারে ছবি করেছেন। শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রটি কী বার্তা দিচ্ছে, সেটা দেখে মানুষ ছবি দেখতে যায় বা তার সঙ্গে মানুষ রিলেট করতে পারছে কি না, সেটাই উপজীব্য হয়ে দাঁড়ায়।
ছবিটা করবেন ভেবেছিলেন প্রায় ১৫ বছর আগে, যতদূর জানি…
হ্যাঁ, এটা ‘হারবার্ট’-এর পর আমার এটা দ্বিতীয় ছবি করার প্ল্যান ছিল। ২০০৮ নাগাদ যখন ওটা করতে পারলাম না, তখন আমি ‘চতুরঙ্গ’ করলাম। ২০০৮ থেকে এতদিন ভেবেছি ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ নিয়ে। ২০২২-এ কোভিডের ঠিক পরেই শুটিং করেছি। তখনও মাস্ক পরে কাজ করেছিলাম আমরা। এত দীর্ঘ সময়ে অনেক বদলও ঘটেছে। কখনও এক প্রযোজক রাজি হননি, আবার অন্যের কাছে গেছি। কিন্তু ছবিটা করার ইচ্ছে যায়নি। কাস্টিংয়েও অনেক বদল হয়েছে।
এখনকার কাস্ট তো চমৎকার। ট্রেলার দেখে মনে হল ‘শশী’ হিসাবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে একেবারে দারুণ মানিয়েছে।
‘শশী’র চরিত্রের মাপটা আবির একবারে ধরতে পেরেছে, নিজের ছবি বলে বলছি না। বিদেশে ছবিটা যখন দেখানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যালে, ইউরোপে, জার্মানিতে, যাঁরা যাঁরা দেখেছেন, সেই প্রতিক্রিয়া থেকে বলতে পারি ছবির শৈল্পিক উৎকর্ষ নিয়ে তাঁদের একটা ভালোলাগা তৈরি হয়েছিল। হল-এ পরে যখন কোয়েশ্চেন-আনসার সেশন করেছি, সেখানে জয়াও ছিল, এবং আমাদের ক্রিউয়ের কয়েকজন ছিলেন, সেখানে যে বার্তা পেয়েছি, বুঝেছি ছবির স্থাপত্যটা মানুষের ভালো লেগেছে। সেখান থেকে যে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি, ছবি হিসাবে সবটা মিলিয়ে তাদের ভালো লেগেছে। ছোট চরিত্র হোক, বা প্রধান চরিত্র, মনপ্রাণ ঢেলে করেছে সবাই এবং আমার ছবির ভিশন-এর সঙ্গে মিশেছে। আবির (শশী), জয়া (কুসুম), পরমব্রত (কুমুদ), সুরাঙ্গনা (মতি), ধৃতিমান (যাদব পণ্ডিত), শান্তিদা, অনন্যা সকলেই কাজ করার সময় পুরো মন দিয়েছেন। শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নন, টেকনিশিয়ানরাও। কাজের সময়েই ভাব সঞ্চারিত হয়েছিল যে একটা অন্যরকম কিছু হচ্ছে। ছবিটা খুব সিরিয়াস হওয়ার চেয়েও বলব, ভালো গল্প। বড় মাপের উপন্যাস হলে কী হয়, সামাজিক দর্পণে মানুষগুলোকে দেখা হয়। সেই জায়গাটা ছবির মধ্যে ধরার চেষ্টা করেছি। মানুষে-মানুষে সম্পর্ক, কিন্তু একটা বিশেষ সময়ে কীভাবে তাঁরা বাঁচছেন, সেটাই দেখানো হয়েছে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৯০ বছর আগের এই উপন্যাস। ছবির সময়কালটা কেমন?
এই ছবিতে সময়টা একটু এগিয়েছি। প্রথম কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব আসছে। গাওদিয়া গ্রামটা প্রায় নিশ্চল গ্রাম। যুদ্ধের খবর আসাটা যোগ করেছি। ছবিতে মন্বন্তর আসার আগের সময়টা ধরা হয়েছে।
উপন্যাসের সঙ্গে চিত্রনাট্যের আর কোনও তফাত?
চলচ্চিত্রের জন্য কিছুটা বাছাই করতে হয়েছে আমাকে উপন্যাস থেকে। বিশাল বড় উপন্যাস। একটা পরিসরের মধ্যে গল্পটা ধরতে হয় সীমিত সময়ে, ফলে অনেক চরিত্র, ঘটনা বাদ দিতে হয়েছে। মূলত শশী, কুসুম, কুমুদ, মতি, যাদব পণ্ডিত, সেনদিদি এরা রয়েছে।
‘শরীর! শরীর! তোমার মন নাই কুসুম?’ উপন্যাসের আইকনিক লাইন– সেটা কীভাবে আসছে?
এটা কুসুম সম্পর্কে শশীর লাইন। এটা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। যে আদৌ শশী বলেছিল, না ঔপন্যাসিকের একটা উক্তি? আমি আমার মতো করে চলচ্চিত্রের ভাষায় সেটা ডিল করেছি। ছবিতে দেখতে হবে (হাসি)।
আপনি তো নিজেও অসম্ভব ভালো অভিনেতা। ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’-য় নিজেকে কোন চরিত্রে কাস্ট করতেন?
(জোরে হাসি) করলে আমি শশী-ই করতাম। শশীর সঙ্গে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে। কৈশোর থেকেই তার শুরু, তখন ছবি-টবির কথা ভাবিনি। পরে যখন ছবি করার কথা ভেবেছি আরও গভীরভাবে উপন্যাসটা পড়েছি। শশীর সঙ্গেই নিবিড়তা অনুভব করেছি। আমার মনে হয়, সবার মধ্যেই কোথাও একটা শশী আছে।
কিন্তু শশীর যে সিদ্ধান্তহীনতা, দোলাচল তা কি আপনার মধ্যে আছে? আপনি খুব আত্মবিশ্বাসী না?
না, না (হাসি)। এই সিদ্ধান্তহীনতা বলতে দ্বন্দ্ব বা ‘ডিলেমা’ চলে আমার। শশীর নিজের আটকে যাওয়াটাও একটা সামাজিক অসুখ। এটা শশীকে এককভাবে ধরলে হবে না, তার সময় দিয়েও ধরতে হবে। সেই সময়ের সঙ্গে আজও আজকের সময়ের কিছু মিল আছে। যদিও চারদিক পাল্টে গিয়েছে। আমরা সো কল্ড ‘প্রগতিশীল’ হয়েছি আপাতদৃষ্টিতে; কিন্তু সে প্রগতি ততটা প্রগতি কি না, ভাবার। মানুষগুলো সেই ব্যাধিগুলো নিয়েই রয়েছি। যে কারণে, ৬০০ বছর পরেও হ্যামলেট, ম্যাকবেথ বেঁচে আছে, বা গ্রিক ট্র্যাজেডিগুলো। মানুষের ভিতরের আদিম কতগুলো রিপু, সে যৌনতা নিয়েই হোক, দ্বন্দ্ব নিয়ে হোক বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে, বা ভালোবাসা, বা অক্ষমতা নিয়েই হোক– এই যে ক্যানভাস কোথাও কোথাও রয়েই যায়। বলতে চাইছি প্রবণতাগুলো থেকেই গেছে। শুধু বাইরে বাইরে আমরা পোস্টমর্ডান হয়েছি, জ্ঞানের পরিধি বেড়েছে।
উপন্যাসে চরিত্রগুলো ভাগ্যের দ্বারা, পরিস্থিতির দ্বারা চালিত হয়…
এইখানে মানিকবাবুর মহত্ব, নিয়তির হাতে পুরোটা ছেড়ে দেননি। নিয়তিকে কেউ অস্বীকার করছে না, কিন্তু মানুষের সিদ্ধান্তই একটা বড় কথা। কোনও সময় নির্মম হতে পারছ, কোনও সময় পারছ না– এই ক্ষমতার প্রশ্ন বার বার আসে। ধরো, অপু চলে যায় মাকে ফেলে, তার জীবনের সন্ধানে। সেটা একটা পয়েন্টে মনে হয়, মায়ের প্রতি সে নির্মম। মা একা মারা গেল। অপুর আর গ্রামে যেতে ভালো লাগে না। এটাই মানবজীবনের গূঢ় রহস্য। কারণ, অপুকে তো নতুন জীবন খুঁজতে হবে। সেই জন্যই নির্মম।
কিন্তু শশী আর বেরতে পারল না।
হ্যাঁ, একেকটা লোকের একেকরকম জীবনপ্রবাহ। অপু না বেরতে পারলে তো অপু হত না।
যেটা জানতে চাইছিলাম আপনি ব্যক্তিগতভাবে দ্বন্দ্বে থাকেন না কনফিডেন্ট?
না, না আমি অত আত্মবিশ্বাসী নই (হাসি)। অনেক সময়েই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে লড়াই করতে হয় নিজের সঙ্গে। একটা সিদ্ধান্ত তো নিতেই হয়, কিন্তু অত সহজে নয়। সে শিল্পকর্ম হোক, ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে।
আপনি নিজে কখনও পরিস্থিতির চাপে ‘পুতুল’ হয়ে গিয়েছেন?
হ্যাঁ, যতই কঠিন লড়াই করো না কেন সেই অবস্থার সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে। তেমন অবস্থার স্বীকার হয়েছি, একবার নয় বহুবার। সেটাকেই ‘পুতুল’ বলা চলে।
সুমন মুখোপাধ্যায় নাটকের লোক বেশি, না সিনেমার লোক– এটা নিয়ে অবিরত দ্বন্দ্ব চলে। আপনি কী বলবেন?
আমি ছোটবেলা থেকে নাটক করি। তার মাঝখানে চলচ্চিত্রের যে কাজ করেছি, তাতে হয়তো মনে হয়, আমি মূলত থিয়েটারের লোক। কিন্তু আমি তো ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করেছি, আমি সিনেমারও লোক। যেহেতু ছবি কম করি, বা লোকে চট করে আমার ছবি পায় না, ফলত লোকের এমন ধারণা হয়েছে। ২০০৬-২০২৫ আমি ন’টা ছবি করেছি। অ্যাভারেজ হিসেবে কম। কিন্তু করেছি তো। সেগুলো রিলিজ হয়েছে, আন্তর্জাতিক জায়গায় গিয়েছে। অনেকে ভাবে সুমন আসলে থিয়েটারের, মাঝে মাঝে ছবি করে। কিন্তু ছবি করা আমার অফ-টাইম রিল্যাক্সেশন না। অনেক লোক ভাবে, আমার থিয়েটারের সাফল্যের পর আমি ছবিটা বানিয়েছি। তা নয়। আমি নয়ের দশকের পুরোটা সিনেমা নিয়ে কাটিয়েছি। অনেক অনুশীলন আমার ছবির নেপথ্যে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হয়েছি, সেটের কাজ করেছি, কাজটা জানতে চেয়েছি। এমন নয়, নির্দেশক হিসেবে ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’, ‘মেফিস্টো’ সফল হওয়ার পরে সিনেমা বানিয়ে ফেললাম। কৈশোরেই ছবি নিয়ে অনুশীলন করেছি। অনেকে জানেই না, আমি সিরিয়াল করেছি। নাসিরুদ্দিন শাহ, অঞ্জন দত্ত আমার পরিচালনায় কাজ করেছেন। এগুলো নয়ের দশকের কথা। ফলে, ও ‘থিয়েটারের লোক’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যাপারটা তা নয়। অনেক সময় হয়েছে প্রযোজক রাজি হয়নি, ছবি করতে পারিনি। আমি নিজের শর্তেই ছবি করব। আমার ছবির কাস্টিং আমিই করব। আমার সিনেমার ভাষা আমারই। যে কারণে প্রযোজক কম পেয়েছি। ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’-য় এসে পেয়েছি, আর্টিস্টিকালি কেউ আমাকে ডিকটেট করেনি।
এই ছবি নিয়ে তাহলে কনফিডেন্ট?
কনফিডেন্ট কথাটা বলব না। এত বছর কাজ করেও একটা নাটক যখন মুক্তি পায় তখনও ভিতরে ভিতরে ভয়ংকর ভীতি থাকে। কাজটা মন দিয়ে, সৎভাবে করেছি এই কনফিডেন্স আছে। মানুষের কীরকম লাগবে সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাস নেই। সেখানে অনেক ফ্যাক্টর থাকে। মানুষের প্রত্যাখানের ভয় থাকেই। যতই বিদেশ থেকে লরেলস নিয়ে আসি না কেন, দেশের মাটিতে যখন প্রথম পরীক্ষিত হয় ছবিটা তার একটা শঙ্কা কাজ করে।
…………………………..
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার.ইন
…………………………..
১৫ সেপ্টেম্বর মস্কোর উপকণ্ঠে এক বাগানবাড়িতে প্রেসিডেন্ট ইয়েলৎসিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছত্রিশজন কথাশিল্পীদের একটি দল। তাঁরা তাঁকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যতদূর সম্ভব কঠোর ও চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। পরিবর্তে লেখক ও শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে সরকারকে ব্যাপক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এঁরা কি উস্কানিদাতা?