জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হাজার হাজার অবৈধভাবে বসবাসকারী মানুষকে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। বিভিন্ন তথ্য থেকে সংগৃহীত যে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই দেশে প্রায় ১৮৬ লক্ষ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বসবাস করেন আর এই বছরের প্রথম চার মাসে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করা হয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি সংখ্যক মানুষকে! প্রত্যেকদিন বাড়ি, কাজের জায়গা, বাজার, দোকান বিভিন্ন জায়গায় অতর্কিত হানা দিচ্ছে আইস বাহিনী আর তুলে নিয়ে যাচ্ছে এঁদের।
১৮ বছরের মার্সেলো গোমস ডি’সিলভা আমার রাজ্য ম্যাসাচুসেটসের মিলফোর্ড নামের একটি ছোট্ট শহরের হাই স্কুলের ছাত্র। স্কুলের পর সে তার গতানুগতিক ভলিবল প্র্যাকটিসে যাচ্ছিল। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় ‘আমেরিকান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’-এর এজেন্টরা। ছ’বছর বয়সে আমেরিকায় এসেছে ছেলেটি, তার জীবনযাত্রা, বেড়ে ওঠা সবকিছুই ওই বয়সের ছাত্রছাত্রীদের মতো। দিনটাও আর পাঁচটা দিনের মতো স্বাভাবিক। তুলে নিয়ে তাকে রাখা হয় একটি ডিটেনশন সেন্টারে, রাখা হয় ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সি মানুষদের সঙ্গে, একটি জানলাবিহীন ছোট্ট ঘরে, স্নান করার বা বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। ‘ইমিগ্রেশন অ্য়ান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’-এর (আইস) বক্তব্য মার্সেলো গোমসের বাবা আমেরিকায় অবৈধ বসবাসকারী, আইস তার বাবাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছিল। সেদিন মার্সেলো তার বাবার গাড়ি চালাচ্ছিল, সেই জন্য এই ভুল। এই ভুল টের পাওয়ার পরেও কিন্তু মার্সেলোকে প্রায় এক সপ্তাহ ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখা হয়।
আর একটি শহর উস্টার থেকে একইভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় একজন কিশোরী এবং তার মা-কে, যথেষ্ট বলপ্রয়োগ করে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যাওয়া কিশোরীটি চিৎকার করে, কান্নাকাটি করে এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। হতচকিত তাদের বেশ কিছু প্রতিবেশী এই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। লোয়েল নামের শহরে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে কাজ করার সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় একসঙ্গে ১১ জন কর্মীকে!
ম্যাসাচুসেটস একটি ছোট্ট রাজ্য, আমি কথা বলছি কয়েকটি মাত্র শহরের, যেখানে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি। একই ছবি দেখা যাচ্ছে আমেরিকার বহু রাজ্যেও। বহু ছোট-বড় শহরে, গ্রামে। এই মুহূর্তে সরকার স্থির করেছে যে প্রত্যেকদিন তিন হাজার অবৈধভাবে বসবাসকারী মানুষদের গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন ফিল্ড অফিস, নতুন ডিটেনশন সেন্টার, কারণ গ্রেপ্তার করা এই মানুষগুলোকে রাখার জায়গা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে।
জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হাজার হাজার অবৈধভাবে বসবাসকারী মানুষকে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। বিভিন্ন তথ্য থেকে সংগৃহীত যে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই দেশে প্রায় ১৮৬ লক্ষ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বসবাস করেন আর এই বছরের প্রথম চার মাসে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করা হয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি সংখ্যক মানুষকে! প্রত্যেকদিন বাড়ি, কাজের জায়গা, বাজার, দোকান বিভিন্ন জায়গায় অতর্কিত হানা দিচ্ছে আইস বাহিনী আর তুলে নিয়ে যাচ্ছে এঁদের। এই বৈধ কাগজপত্রহীন বসবাসকারী মানুষরা এসেছেন প্রধানত কোন দেশ থেকে? প্রথম কয়েকটি দেশ হল– মেক্সিকো, এল সালভাদর, ভারত, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস। যে কথাটা বিশেষভাবে বলা হয়েছে ট্রাম্প সরকারের পক্ষ থেকে, তা হল, এই অবৈধভাবে বসবাসকারীরা এদেশে থেকে আইনভঙ্গ তো করছেনই, তার সঙ্গে এঁরা অপরাধী, প্রাক্তন গ্যাং মেম্বার, তাঁরা এই দেশের প্রয়োজনীয় রিসোর্সে অবৈধভাবে ভাগ বসাচ্ছেন এবং সেই কারণে এঁদের প্রত্যেককে দেশের বাইরে বের করে দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে বলা দরকার, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বাইডেনের সময়ে বহু শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছেন আমেরিকায়। তাঁরা ছড়িয়ে আছেন বহু অঞ্চলে, তাঁদের আশ্রয় দিতে বেগ পেতে হয়েছে রাজ্য সরকারগুলোকে। কিন্তু তাঁরা শুধু একটা ছোট অংশ, যে অনুপ্রবেশকারী জনসংখ্যার কথা বলা হচ্ছে এখন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু অন্তত ১৫ বছর ধরে এই দেশে আছেন, ৪৮ লক্ষ মানুষ আছেন ২৫-এরও বেশি বছর। এঁরা এখানে থাকেন, কাজ করেন, এদের শিকড় এদেশের গভীরে, কিন্তু প্রতি মুহূর্তে এই ভয়ের, এই অনিশ্চয়তার সঙ্গে যে, হয়তো যে কোনও সময়ে তাঁদের দেশের বাইরে বের করে দেওয়া হবে। বৈধ পরিচয়পত্র পাওয়ার কোনও উপায় নেই এঁদের। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু কাজ করেন অথবা পড়াশোনা করেন। যেহেতু ন্যূনতম মজুরি পাওয়ার অধিকার দাবি করতে পারেন না, তাই কাজ করেন এমন সব ক্ষেত্রে, এমন কষ্টকর জায়গায়– যেখানে আমেরিকার বৈধ নাগরিকরা কখনও কাজ করবেন না। এঁদের মধ্যে আছে কৃষি, কন্সট্রাকশন, মিট প্যাকিং, বাড়ি এবং অফিস পরিষ্কার, ডেলিভারি আরও অনেক ক্ষেত্র।
আমেরিকায় কৃষিক্ষেত্রে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা ৭৩ শতাংশের কাছাকাছি। প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রম, লম্বা দিন, ক্ষতিকর কীটনাশক ও অন্যান্য রাসায়নিক জিনিস নিয়ে কাজ– এই সমস্ত কিছুর কারণে আমেরিকার বৈধ নাগরিকরা কৃষিক্ষেত্রে কাজ করেন কম। কৃষি শ্রমিকদের এই সংখ্যার মধ্যে ৪২ শতাংশ অবৈধ বসবাসকারী, যাঁরা অত্যন্ত কম টাকায় কাজ করেন, যে কোনও খারাপ পরিবেশে মানিয়ে নেন, যাঁদের সাহায্য করার জন্য কোনও লেবার ইউনিয়ন নেই। ভুট্টা থেকে আঙুর, ডেয়ারি ফার্ম থেকে স্ট্রবেরি– ক্যালিফোর্নিয়া থেকে উইসকনসিন– সব জায়গায় এই বেআইনি অভিবাসী কৃষিকর্মীরা অপরিহার্য। এছাড়া আছে লাইভস্টক, অর্থাৎ যেখান থেকে মাংস আসে। সেই মাংস পরিষ্কার থেকে প্যাকেটজাত করা– এই কাজেও আছেন বেআইনি অভিবাসী কর্মচারীরা।
এতদিন পর্যন্ত অন্যান্য সমস্ত জায়গায় আইস পৌঁছলেও কৃষিক্ষেত্রে তারা তেমনভাবে রেড শুরু করেনি। ইদানীং সেটাও শুরু হয়েছে। যদি খেতে কাজ করা মানুষগুলো ডিপোর্টেশনের ভয়ে আত্মগোপন শুরু করেন, তার ফলশ্রুতি কী হবে? ফসল সময়মতো তোলা হবে না, ফসল নষ্ট হবে, দুগ্ধজাত সামগ্রী, মাংস সময়মতো দোকানে পৌঁছবে না, সমস্ত কিছুর দাম বেড়ে যাবে বিপজ্জনক ভাবে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা শুরু হবে, তাদের টেবিলে ঠিকমতো খাবার পৌঁছবে না। তেমনভাবে কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির ১৩ শতাংশ কর্মী বেআইনি অভিবাসী, বিশেষত যাঁরা কনস্ট্রাকশনের প্রাথমিক কাজগুলো করেন। এঁদের বের করে দিলে বহু রাজ্যে হাউজিং প্রোজেক্টগুলো প্রচণ্ড সমস্যার সম্মুখীন হবে। ফ্লোরিডা, টেক্সাস আর যে সমস্ত রাজ্যে হাউজিং একটি সমস্যা, সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিল্ডিং তৈরি হতে দেরি হলে বিক্রি হতেও দেরি হবে, ফলে আর্থিক ক্ষতি হবে। হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে, সমস্ত আমেরিকার হোটেলগুলোতে কিচেন থেকে শুরু করে রুম সার্ভিসে বহু মানুষ কাজ করেন, যাঁদের বৈধ প্রমাণপত্র নেই। ডিপোর্টেশনের ভয়ে কর্মীরা অনুপস্থিত থাকলে তাঁদের ব্যবসার অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে– এমন দাবি নিয়ে সরকারের কাছে তদবির অনেক আগেই শুরু করেছে আমেরিকান ‘হোটেল অ্যান্ড লজিং অ্যাসোসিয়েশন’।
……………………………….
যদি খেতে কাজ করা মানুষগুলো ডিপোর্টেশনের ভয়ে আত্মগোপন শুরু করেন, তার ফলশ্রুতি কী হবে? ফসল সময়মতো তোলা হবে না, ফসল নষ্ট হবে, দুগ্ধজাত সামগ্রী, মাংস সময়মতো দোকানে পৌঁছবে না, সমস্ত কিছুর দাম বেড়ে যাবে বিপজ্জনক ভাবে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা শুরু হবে, তাদের টেবিলে ঠিকমতো খাবার পৌঁছবে না। তেমনভাবে কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির ১৩ শতাংশ কর্মী বেআইনি অভিবাসী, বিশেষত যাঁরা কনস্ট্রাকশনের প্রাথমিক কাজগুলো করেন। এঁদের বের করে দিলে বহু রাজ্যে হাউজিং প্রোজেক্টগুলো প্রচণ্ড সমস্যার সম্মুখীন হবে।
……………………………….
এই অবৈধ বসবাসকারীদের আমেরিকার অর্থনীতিতে অবদান কী? ২০২২ সালে হওয়া একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রাষ্ট্রীয়, রাজ্যের এবং নিজেদের শহর বা গ্রামের জন্য কর দিয়েছেন। এছাড়া তাঁরা শুধু কাজ করেন না, তাঁরা উপভোক্তাও। ক্রেতা হিসাবেও আমেরিকান অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান আছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে দেশের বাইরে বের করে দিলে, স্থানীয় অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। আর এই বহু বছর ধরে আমেরিকায় বসবাসকারী মানুষগুলো শুধু কাজের মাধ্যমে জুড়ে নেই আমেরিকান সমাজে, তাঁরা কারও স্বামী বা স্ত্রী, অভিভাবক, বন্ধু, প্রতিবেশী, সহকর্মী, আরও অনেক কিছু। আমেরিকায় জন্মানো ৫০ লক্ষ শিশুর অন্তত একজন অভিভাবক বেআইনি অভিবাসী। আমেরিকার কোনও শিক্ষাকেন্দ্রের একটি ক্লাসরুমে ২৫ জন ছাত্রছাত্রীর অন্তত দু’জনের অভিভাবকের একজন বেআইনি, যাঁদের যে কোনও সময় দেশচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর ট্রাম্প প্রতিদিন যাঁদের ‘ক্রিমিনাল’ বলে অভিযুক্ত করেন? তাঁদের ৯০ শতাংশ মানুষদের ট্রাফিক আইন ভাঙার চেয়ে বড় কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই।
এই মানুষগুলোর সমর্থনে দেশের সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে সমস্ত দেশ জুড়ে ১৪ জুন পালন করা হল ‘নো কিংস ডে’। ছোট থেকে বিরাট শহর– প্রায় ২০-২৫ জন থেকে লক্ষাধিক মানুষ শামিল হন প্রতিবাদে। ম্যাসাচুসেটসের মিলফোর্ডের ১৮ বছরের মার্সেলোকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল মানুষ, তার বন্ধুরা হাই স্কুলের ক্লাস থেকে ওয়াক আউট করেছিল, তার বেল পাওয়ার দিন কোর্টের সামনে অপেক্ষা করেছিল অগণিত মানুষ। উস্টারে মা-মেয়ের গ্রেপ্তারের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন প্রতিবেশী, সহ-নাগরিক, এবং বলেছেন, এরকম অন্যায় দেখলে আবার প্রতিবাদ করবেন। এরকম কোনও গ্রেফতারি দেখলে, ‘আইস’-এর গাড়ি চিহ্নিত হলে তার খবর পৌঁছে যাচ্ছে আশপাশের কমিউনিটিতে, আমেরিকার বহু জায়গায়।
……………………………….
আরও পড়ুন শুভশ্রী নন্দী-র লেখা: উদার অভিবাসী নীতি থেকে সরে আমেরিকার ‘ইউ টার্ন’ কেন?
……………………………….
ঠিক এই পদ্ধতিতে প্রতিবাদ গড়ে উঠেছে বস্টনের কাছাকাছি শহর ওয়ালথামে। ৬৬ হাজার মানুষের বাস এই শহরে, যার এক তৃতীয়াংশ মানুষই অভিবাসী। তাই এই শহরে আইসের প্রকোপ খুব বেশি, আর পাল্লা দিয়ে শহরের মানুষ গড়ে তুলেছেন ‘র্যাপিড রেসপন্স’ গ্রুপ, আইস আসার খবর পেলেই তারা পৌঁছে যান অকুস্থলে, দূর থেকে রেকর্ড করেন এবং ধৃত মানুষদের বলতে থাকেন– তাদের কী আইনি অধিকার আছে, কী প্রশ্নের উত্তর দিতে তারা বাধ্য নয়, বিশেষত অপ্রাপ্তবয়স্করা।
এভাবেই নিজেদের সাধ্যমতো এগিয়ে আসছে মানুষ, প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে যে তাদের পাড়া, তাদের স্কুল, তাদের শহর থেকে কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছাড়া এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া যাবে না তাদের প্রতিবেশীদের। তাদের পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। নিউ ইয়র্ক সিটির কম্পট্রলার ব্র্যাড লেন্ডার গ্রেপ্তার হলেন, তিনি কোর্ট থেকে একজন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করতে বাধা দিয়েছেন– এই অপরাধে। গ্রেপ্তার হয়েছেন সেনেটর এলেক্স পাগলিয়া, তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান ক্রিস্টি নোমকে প্রশ্ন করছিলেন বলে, অধিবেশনে বাধা দেওয়ার জন্য। তা সত্ত্বেও সজাগ রয়েছে মানুষের চোখ, মানুষের বোধ, মানুষ প্রতিবাদ করছে বাড়ির পাশ থেকে কোর্টে, টাউন অফিসের সামনে থেকে সেনেটে। পথ অন্ধকার তবু ইতিউতি জ্বলছে প্রদীপ, মনুষ্যত্বের আলো, সহমর্মিতার আলো।
…………………………………
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার ডিজিটাল
…………………………………