অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে ভেবে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সম্ভবত পেশাদারিত্বে ভরসা রাখছে ‘টিম সেলিম’! কারণ পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের কমিউনিস্ট দলগুলো এই পেশাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টি, ব্রাজিলের বৃহত্তম বামপন্থী দল। তারা কিন্তু ডেটা অ্যানালাইসিস, পলিটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর জন্য পেশাদার নিয়োগ করে। মোদি থেকে মমতা, স্ট্যালিন হোন বা অজিত পাওয়ার। কেউই এই ব্যাপারটিকে ‘অচ্ছুৎ’ মানছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জননেত্রীও জনতার মন বুঝতে সাহায্য নিচ্ছেন পেশাদারদের। হোলটাইমারদের মতো নয়, রাজনীতির চাকুরি করে মাইনে পাচ্ছে আজ অনেকেই।
একটা স্বপ্ন বিক্রি আছে!
২২ নভেম্বর সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক থেকে অনেকটা কর্পোরেট কোম্পানির ঢঙে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘উই আর হায়ারিং!’ বোঝা গেল পলিটিক্যাল অ্যানালিস্ট, পলিটিক্যাল ইন্টার্ন, মাস কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট এমন কিছু ছেলেমেয়েকে প্রয়োজন সেলিম সাহেবের দলের, যারা এ কাজে অভিজ্ঞ। দেশের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবারের জন্য কোনও কমিউনিস্ট পার্টি সরাসরি ‘পেশাদার রাজনৈতিক বিশ্লেষক’ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিল।
ব্যস! সঙ্গে সঙ্গেই গেল গেল রব। ‘কমিউনিস্ট পার্টি হায়ার করছে? এ তো কর্পোরেট আদলে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আরেক ধাপ।’
একদল অধুনা সিপিএমএম সমর্থক অবশ্য এই নয়া উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন। বলেছেন তৃণমূল-বিজেপিকে হারাতে গেলে তাদের মতো করেই হারাতে হবে। প্রশান্ত কিশোরের ফরমুলায় যে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করার ট্রেন্ড, তাতে গা ভাসতে চান আজ অনেক বামপন্থীই।
আমার মনে পড়ে যাচ্ছে একটা কথা। তখন আমি সদ্য স্নাতক। বইমেলা থেকে খুব শখ করে একটা টি-শার্ট কিনেছিলাম। তাতে লেখা, ‘লক্ষ্য আমার ক্ষমতা নয়, ক্ষমতা সমাজতন্ত্র!’ সেটা দেখে তৎকালীন এক ছাত্রনেতা এবং বর্তমানে সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য বলেছিলেন, ‘এটা কী লিখেছ জামায়! ক্ষমতা দখল না করতে পারলে সমাজতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে?’
তখন সদ্য পুজোর বইয়ের স্টল থেকে কিনেছি গোর্কির ‘দুনিয়া কাঁপানো দশদিন’। পাল্টে দেব, উল্টে দেব, বদলে দেব ইত্যাদি ভাবছি। রক্ত ফুটছে টগবগিয়ে। সেদিন ব্যাপারটা মাথার ওপর দিয়ে গেছিল। আজ এত বছর পর এসে বুঝেছি,
সবকিছু পাল্টানো যায় না। মানুষ পাল্টাতে দেয় না।
……………………………………………………..
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট শ্রীদুর্গা জুটমিলে চাকরি চলে যাওয়ার পর ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যা’ স্লোগান দিয়েছিল একদল মানুষ, সেভাবেই সাতাত্তরেও স্বপ্নপূরণ হয়নি সব মানুষের। গরিবের ওপর লাঠি চালিয়েছে গরিবের সরকারই। স্বপ্নভঙ্গ এখানেই? না কি স্বপ্ন দেখার ইতি এখানেই টেনেছিল বাঙালি!
…………………………………………………………
একবার প্রবীণ নকশাল নেতা অসীম চ্যাটার্জি– যাঁকে বেশিরভাগ মানুষই ‘কাকা’ বলে চেনেন, তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আমাদের প্রজন্ম কেন আপনাদের মতো একটা হিন্দু হোস্টেলের আন্দোলন করতে পারল না? কেন ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্তব্ধ হয় না আর শহর কলকাতা? উত্তরে কাকা বলেছিলেন, ‘এখন আর স্বপ্ন দেখে না মানুষ। কোনও আন্দোলন, কোনও বিপ্লবকে ফলপ্রসূ করতে গেলে মানুষের মধ্যে কিছু স্বপ্ন বেঁচে থাকতে হয়। যেটা স্বাধীনতার আগে ছিল বাঙালির মধ্যে। ষাট-সত্তরের দশকেও ছিল কিছু বেঁচে। মূলত মধ্যবিত্ত এবং গরিব মানুষের মধ্যে তো ছিলই। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর নেই। মানুষ ধরেই নিয়েছে কিস্যু হবে না আন্দোলন করে।’
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট শ্রীদুর্গা জুটমিলে চাকরি চলে যাওয়ার পর ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যা’ স্লোগান দিয়েছিল একদল মানুষ, সেভাবেই সাতাত্তরেও স্বপ্নপূরণ হয়নি সব মানুষের। গরিবের ওপর লাঠি চালিয়েছে গরিবের সরকারই। স্বপ্নভঙ্গ এখানেই? না কি স্বপ্ন দেখার ইতি এখানেই টেনেছিল বাঙালি!
তারপর অনেক বছর কেটে গিয়েছে। অসীম চ্যাটার্জির কথা মেনে নিলে আমরা ভুলেছি স্বপ্ন দেখতে। যদি বা কিছু স্বপ্ন বেঁচে থাকে, তা আজ দামী ফোন, ঘড়ি, জুতো, জমা আর বাড়ির। অনেকটা ‘মেরা সাপনা মেরা মারুতি’র মতো। তবে আজ আর একটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নেই, যিনি বলবেন, ‘এর মানে কী? আমার স্বপ্ন হবে একটা মারুতি! একটা গাড়ি হবে একজন মানুষের স্বপ্ন?’
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে ফিরি। যে-বাস্তবে একটা মিছিলের জন্য বিবেকানন্দ রোডের জ্যামে টিভি সিরিয়াল দেখার দেরি হয়ে যায় বেলঘড়িয়ার ব্যানার্জি কাকুর। রোজ রোজ মিছিল, মিটিং, অবরোধ করেই রাজ্যটাকে শেষ করে দিল– বলতে পারা বাঙালির পরবর্তী প্রজন্ম তাই রাজনীতি করে মাইনে পাচ্ছে। এখন যদি এটা কাউকে বলেন, ‘আমি তো মেনেছি হরতাল মানে আজও পরব দীন-মজুরে!’ মানুষ আপনাকে নিয়ে মজা করবে। কারণ হরতালের দিন যে নেতা রাস্তায় গলা ফাটায়, অবরোধ করে, তার ছেলেই নিউটাউনগামী রাস্তায় গাড়িতে ওঠে অফিস যেতে চেয়ে।
সাংবাদিক রাজদীর সরদেশাই-এর লেখা বই ‘টু থাউসেন্ড ইলেকশন, দ্যাট চেঞ্জড ইন্ডিয়া’ বইটির শুধুমাত্র শিরোনামটিকেই যদি ধরে এগোই, তবে ওই সময়টা থেকেই আমাদের মফসসল একটার পর একটা গজিয়ে ওঠা ফ্ল্যাট, মোবাইল নিয়ে বসে পরা এক দঙ্গল ছেলেমেয়ে, সিনেমাওয়ালাদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেইসব মানুষ রাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল, যারা ভোটার লিস্টে চোখ বুলিয়ে বলে দিতে পারত, কে কোন দলে ভোট দেবে। হারিয়ে গেল সেইসব মানুষ পাড়া থেকে, যাদের মোহনবাগান হেরে যাওয়ার পরদিন ‘ওডাফা’ বলে চিৎকার করলে দু’কলি গালাগাল শোনা যেত। ‘দ্যাট চেঞ্জ’-এর জমানায় মাটির ভাঁড়ে যারা লাল-সবুজ রং মেশাত, পেপারের গায়ে আলতা দিয়ে লিখত যারা ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’– তারা সবাই বিশ্রামে চলে গেল।
কম্পিউটারের দামী গ্রাফিক্স, ফেসবুকের গ্রুপ, হোয়াটস অ্যাপ ইউনিভার্সিটির হাত ধরে রাজনীতি পৌঁছল পেশাদারদের কাছে। আইআইটি বোম্বে, টাটা স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্স, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ফেরত ছাত্রছাত্রীরা দায়িত্ব নিল রাজনৈতিক দলের। তৈরি হল স্লোগান। রেডিওতে বাজল ‘অব কি বার, মোদি সরকার’ ২০১৩ সালের মার্চ মাসে এই ছেলেমেয়েরা সংবাদ মাধ্যম, সমাজ মাধ্যমের উপর ভর করে রটিয়ে দিল, ‘মোদি আনেওয়ালা হ্যায়’। ভীষণ জনপ্রিয় হল এই কৌশল। মজার ব্যাপার হল, ১৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রী এবং পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ নরেন্দ্র মোদিও বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর কথা শুনলেন। ভরসা রাখলেন ডেটা ম্যানেজমেন্টে। ওই যে বলছিলাম, টু থাউসেন্ড ইলেকশন, দ্যাট চেঞ্জড ইন্ডিয়া! এখানেই সেই চেঞ্জ। বদলে যাওয়া কিছু কৌশল। রাজনীতিতে ঢুকে পরা ব্র্যান্ডিং-এর।
তারপর মোদি থেকে মমতা, স্ট্যালিন হোন বা অজিত পাওয়ার। কেউই এই ব্যাপারটিকে ‘অচ্ছুৎ’ মানছেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জননেত্রীকেও জনতার মন বুঝতে সাহায্য নিতে হচ্ছে পেশাদারদের।
হোলটাইমারদের মতো নয়, রাজনীতির চাকুরি করে মাইনে পাচ্ছে আজ অনেকেই। মহম্মদ সেলিমের ফেসবুক পোস্টটিতে যদি একটু খেয়াল করেন, দেখবেন সেখানে লেখা আছে তাঁরা পলিটিক্যাল ইন্টার্ন নিতে চান।
এর মানে কী?
…………………………………………………………………………………………………………..
পড়তে পারেন অন্য লেখাও: সাইবাবা এবং সাইবাবার স্বপ্নকে একসঙ্গে হত্যা করা যায় না
……………………………………………………………………………………………………………
এর মানে একদঙ্গল ছেলেমেয়ে রাজনীতিতে ইন্টার্নশিপ করব। মাসিক পারিশ্রমিক পাব। তাদের কেউ হয়তো সিপিআইএম সমর্থক, কেউ বিজেপি-তৃণমূল বা অন্যদল। কিন্তু তারা কাজ করবে সিপিআইএম-এর জন্য। বোঝা গেল, আদর্শ-ফাদর্শ এসব বুজরুকি। জেতার জন্য আদর্শের প্রয়োজন হয় না। যেটা লাগে সেটা হল– কৌশল আর অর্থ। আর সেটা যে কোনও দলের ক্ষেত্রেই সত্য। ২০১৪ সালে যে পেশাদার ছেলেমেয়েরা নরেন্দ্র মোদির পক্ষে প্রচারণার দায়িত্ব সামলেছিল, তারাই বছর পাঁচেকের মধ্যে দায়িত্ব নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমকে স্ট্যালিন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নীতিশ কুমারের মতো অনেকের দলের। ধীরে ধীরে দেশ পেল নতুন ভারতের চাণক্যদের। কিছুদিন আগেই একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন এমন কয়েকজন চাণক্য। তাঁদেরই একজন জানাচ্ছিলেন, কীভাবে তাঁদের পরামর্শে অজিত পাওয়ার ইদানিং গোলাপি জ্যাকেট পরছেন। এমনকী, ভোটারদের মন পেতে তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লাডকি বহেন যোজনা’ বিল পাশ করার সময় গোলাপি পোশাক পরেছিলেন। এমনকী, দলের ফেস্টুন, হোর্ডিং-ব্যানার সবকিছু গোলাপি করে দেন তিনি। অন্য আর একজন জানাচ্ছিলেন কীভাবে মোবাইল ফোন, সফটওয়ার আপডেট করার মতো করে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি আপডেট করতে হয়। খবরে থাকার মশলা তৈরি করতে হয়। বাংলায় দিদিকে বলো, বাংলার গর্ব মমতা, তামিলনাড়ুতে ‘Stalin ANI’ মোবাইল অ্যাপ, উই রিজেক্ট এডিএমকে ক্যাম্পেইন ইত্যাদি তার উদাহরণ। ‘চায়ে পে চর্চা’ শব্দটা অনেকেরই হয়তো মনে আছে। ২০১৩ সালে হঠাৎ পাওয়া একটা শব্দ আজ ‘ন্যাশনাল ডায়লগ’। এই শব্দবন্ধ তৈরি এবং এই রাজনৈতিক ইভেন্টের সঙ্গে সাধারণ ভারতবাসীকে জুড়েছিল যারা, তারাও এই একদঙ্গল ছেলেমেয়ে। যাদের মতো কাউকে খুঁজছে আজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)। চা বাগানের প্রত্যন্ত গ্রামে, কয়লাখনির আঁধারে, সিনেমাপাড়ার রঙিন দেওয়াল কিংবা কৃষকের মাটির দাওয়ায় যে লাল ঝান্ডার একদিন অবাধ বিচরণ ছিল, তারাও আজ মানুষের মন বুঝতে পেশাদার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ খুঁজছ। কারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কমছে কমিউনিস্টদের। মোবাইল ফোনের মতো আপডেট হচ্ছে রাজনীতি। কখনও ধর্ম, কখনও জাতপাত, কখনও আবার মহিলা! মানুষের পরিচয় সে শুধুই ‘ভোটার’। তাই পাঁচ বছরের কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দল কিংবা বিরোধীর মূল কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কীভাবে আগামী নির্বাচনে জেতা যায়। দলীয় দপ্তর থেকে গড়িয়াহাটের সাদা শাড়ি, পাঞ্জাবি পরে একদল চিৎকার করে বলছে, ‘একটা স্বপ্ন বিক্রি আছে!’
আর এই স্বপ্নটাই তো বাস্তব। অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে তারা সেই ভেবেই সম্ভবত পেশাদারিত্ব ভরসা রাখছে ‘টিম সেলিম’! কারণ পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের কমিউনিস্ট দলগুলো এই পেশাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টি, ব্রাজিলের বৃহত্তম বামপন্থী দল। তারা কিন্তু ডেটা অ্যানালাইসিস, পলিটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর জন্য পেশাদার নিয়োগ করে।
সিপিআইএম তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখছে, ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) হল ভারতের শ্রমিক শ্রেণির বিপ্লবী অগ্রগামী। এর লক্ষ্য হল সর্বহারা শ্রেণির একনায়কত্বের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ।’
আবার লেনিন তাঁর হোয়াট ইজ টু বি ডান বইতে লিখছেন, ‘Class political consciousness can be brought to the workers only from without. The working class, exclusively by its own effort, is able to develop only trade union consciousness.’
‘টিম সেলিম’ কি শ্রমিককে সেই শ্রেণিচেতনা শেখাতে চাইছেন এই পেশাদারদের দিয়ে? নাকি শুধুই এই বিজ্ঞাপন ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে– সেটাই দেখার।
সবশেষে চে গুয়েভরার সেই বিখ্যাত উক্তি, ‘Revolution is not an Apple that falls when it ripes. You have to make it fall.’
এবার সেই আপেলের মতো করে মানুষকে কি আদৌ বিপ্লবমুখী করতে চাইছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)? নাকি সেই বিপ্লব নামের আপেলকে পাকাতে এবার কিছু পেশাদার ছেলেমেয়েকে বাংলার মাঠ-ময়দানে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাবে, সেটা সময় বলুক।
তত্ত্ববিদ, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার কাজ নিয়েছে মস্কো রেডিয়োতে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ‘মির’ বা ’প্রগতি’তে অনুবাদক হয়েছে, কেউ বা সাংবাদিকতায় পি.এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করে সংবাদপত্রের দফতর খুলে তার অন্তরালে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে।