E-Robbar
আমি যে বইটাকে আমার প্রথম বই ভাবতাম, সেটা আসলে আমার দ্বিতীয় বই। এটা মনে পড়তেই অনেক হিসেব গোলমাল হয়ে গেল।
শিলাজিৎ ও
এই উপন্যাসটি নানা প্রতিক্রিয়া জাগায়। প্রাক্তন নকশালরা বিরক্ত হন। আত্মহত্যার ঘটনাটি কষ্টকল্পনা মনে হয় কোনও কোনও লেখক-সমালোচকের। আমি শুনে হাসি। একেই বলে ‘ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন’।
বাণী বসু ও
বইটা শেষ করার আগে কেবলি মনে হচ্ছিল– হল না। আরও কী যেন দেওয়ার ছিল, বলার ছিল আরও কত কথা।
জয়া মিত্র ও
ফিরে তাকালে একগুচ্ছ ‘যদি’ আমাকে ভাবিয়ে তোলে। কী হত যদি ‘ভোরের কাগজ’ আমার লেখাটি না ছাপত? কী হত যদি শ্যামলকান্তি দাশ আমায় পরামর্শ না দিতেন? কী হত যদি বাংলা সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ কবি এবং একজন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের আশীর্বাদ না পেতাম?
তিলোত্তমা মজুমদার ও
যদি এইসমস্ত শব্দ কোনও পুরুষ লিখতেন এবং সেইসব লেখার একটা তথাকথিত পলিটিক্যাল অ্যাজেন্ডা থাকত— তাহলে হয়তো ওঁদের কাছে সেইসব শব্দ আপত্তিকর হত না।
স্বাগতা দাশগুপ্ত ও
শরীরে সন্দীপন নেই-এর পরে আমি আরও অনেক কবিতা লিখেছি, কিন্তু তা ওই, ‘ভালোবেসে সখী সুখও নাহি’র মতো অতৃপ্ত, দীপ্তিহীন– কখনও তা একাকিত্বের আলো হয়ে জ্বলছে, নিভেও যাচ্ছে আমার ভিতর।
রাণা রায়চৌধুরী ও
দ্বিতীয় বই আমার দিকে তাকিয়ে এখন মুচকি হাসে। ফিসফিস করে সে বলে, তুমি ভাবছ ফোয়ারা জিতেছে কিন্তু আসল গোলটা কিন্তু আমিই দিয়েছি মোক্ষম মুহূর্তে।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও