অনুষ্ঠান শেষ করেছিলাম এই বলে যে,‘যতদিন পৃথিবীতে সুর থাকবে ততদিন লতা মঙ্গেশকর থাকবেন’।
চৈতালি দাশগুপ্ত ও
কাদম্বরী দেবীকে নিয়ে আমার যে গবেষণা কাজটি আছে শঙ্খ ঘোষের তত্ত্বাবধানে, সেটির শিরোনাম ‘শ্রীমতী হে’, মঞ্চে এই অনুষ্ঠান বারে বারে করে থাকি, একটি সিডিও বেরিয়েছিল ওই নামে হিন্দুস্থানের রেকর্ডস থেকে। সেটি আবার করেছিলাম দূরদর্শনের জন্য।
তৃপ্তি মিত্র, শাঁওলি মিত্রকে নিয়ে দুটি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানের প্রথমটিতে শাঁওলি বলেছে তার মায়ের কথা, দ্বিতীয়টিতে বলেছে তার নিজের কথা। সবগুলো ‘মা ও মেয়ে’ সিরিজের মধ্যে এ এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান।
সিরিজের প্রথম অতিথি বিশ্ববিখ্যাত মা ও মেয়ে, প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী অমলাশঙ্কর এবং তাঁর সুযোগ্যা-কন্যা নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর। দু’টি পর্বে বিন্যস্ত এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল।
স্পেশাল ইভেন্টগুলো খুব উপভোগ করতাম, যেমন, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সেকেন্ড চ্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, দিনটি ছিল ১৯ নভেম্বর, ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। সেবারের অনুষ্ঠানে কলকাতার বহু নামী শিল্পী যেমন ছিলেন, তেমন ছিলেন বম্বের অনেক নামজাদা সঙ্গীতশিল্পী।
প্রথমবার মহিষাসুরমর্দিনী প্রযোজনা করেন জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় ও মালতী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনে করেছেন– কল্যাণ ঘোষ, প্রদ্যোৎ, বিভাস পাল এবং বহুবার পঙ্কজদা, শর্মিষ্ঠাদি। প্রদ্যোৎ যেবার প্রযোজনা করেছিল সেবার দুর্গার চরিত্রে রূপদান করেছিলেন হেমা মালিনী।
অডিটোরিয়াম থেকে ব্যাক স্টেজে আসার যে দরজা সেটা দিয়ে উঠে আসছিল খুব রোগা মতো একটি ছেলে, গায়ের রংটা শ্যামলা, তাকে দেখে বলি, ‘একটু দেখবেন ভাই, অডিটোরিয়াম এ সামনের রো-তে রশিদ খান বলে কেউ আছেন কিনা’, সে শুধু বলল, ‘জি’, আবারও বলি, ‘প্লিজ একটু দেখবেন’, আমি তখনও তাঁকে ভাবছি ‘usher’ জাতীয় কেউ। এবার সে একটু ইতস্তত করে নম্রভঙ্গীতে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলে, ‘জি, ম্যায় হুঁ’।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved