শ্রীরামপুরের ঝুলনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে চারদিন শ্রীকৃষ্ণের চারটি রূপকে আলাদা করে পুজো করা হয়। এইগুলো হল নৌকা বিহার, রাজবেশ, রাখালবেশ, ঘোড়বেশ। শ্রীরামপুরের অন্যান্য মৃৎশিল্পীর মতোই এই চারটি বেশের মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা।
মূলত শিশুদের জন্য গ্রামের মহিলা শিল্পীরা এই পুতুল তৈরি করতেন। অন্যান্য মৃৎসামগ্রী তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন পুরুষ শিল্পীরা। যেহেতু রমণীদের হাতে গড়ে উঠত কাঁঠালিয়ার পুতুল, তাই নারী জীবনের উপাখ্যান এই পুতুলের প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছে।
বাংলার সুপ্রাচীন মাতৃকা-পুতুলের ধারা আজও বহন করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চিত্রকর পরিবারগুলো। ফুলজান, আবিরন, ছবি, শেরিফান চিত্রকরের হাতে তৈরি টেপা-পুতুলে রক্ষিত হচ্ছে বাংলার পুরাতন ঐতিহ্য।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved