আমার জ্যাঠামশাই, শান্তিদেব ঘোষ বলেছিলেন যে, ‘রবীন্দ্রনাথের শোকের গান প্রায় নেই, থাকলেও খুব কম। তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা প্রিয়জনদের এত মৃত্যু সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেকটি মৃত্যুর গান মৃত্যু থেকে উত্তরণের গান।’ বলতেন, ‘কেঁদে ভাসিয়ে দিলে এই গানের প্রতি বিচার করা হয় না।’ অর্থাৎ ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’ অংশটা কেউ সাংঘাতিক টেনে টেনে করুণ সুরে গাইলে তা আদপে অর্থহীন। আসল কথা হল– ‘তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’।
শান্তিনিকেতনের সবার গলায় গান, সবার কানে সুর। রবীন্দ্রনাথ থাকবেন– অথচ সেখানে আশ্রমকন্যাদের গানের কথা থাকবে না!
‘আমি যখন রবীন্দ্রনাথের গান গাই তখন এই জগতের সবকিছুই ভুলে যাই’, বলেছিলেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ স্পর্শ করল।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved