কে বলে বাংলাভাষার পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে? দিল্লি পুলিশ পর্যন্ত যেখানে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে তীব্র পড়াশোনা করে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ সম্পর্কে জানান দেয়, তখনও আমাদের চিন্তান্বিত বুদ্ধিজীবীদের শান্তি হয় না? পুলিশের কাজ আইনরক্ষা ও ফাইনরক্ষা, কিন্তু এদেশ এমন পড়ুয়া ও ভাষাবিজ্ঞানী পুলিশের পাল্লায় পড়েছে কখনও? এজন্যই প্যাশন ছাড়তে নেই। শুধু একটাই বিনীত প্রশ্ন সেই কেন্দ্রীয় পুলিশের প্রতি: রবীন্দ্রনাথ কি ‘সোনার বাংলা’ বাংলাদেশি ভাষায়, আর জনগণমন বাংলা ভাষায় লিখেছিলেন? তা-ই হবে।
রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য। দেশি ও বিদেশি শিল্পীরা নানা সময় এঁকেছেন তাঁর ছবি, গড়েছেন ভাস্কর্য। তাঁরা কারা? সেই ছবি ও ভাস্কর্যই বা কোনগুলি?
কবির জীবনেও এসেছিল এক মৃত্যুদীর্ণ ২২ শ্রাবণ, ১৩৩৯। ৭ আগস্ট, ১৯৩২। অনন্তপারে চলে গিয়েছিলেন কবিগুরুর অত্যন্ত আদরের দৌহিত্র নীতীন্দ্রনাথ। কবির নীতু। কবির কনিষ্ঠা কন্যা মীরাদেবীর একমাত্র পুত্র।
বাঙালি এইসব মামুলি ব্যাপারকে ধর্তব্যের মধ্যেও আনত না। মাত্র এক দশক আগেও এসব নিয়ে কেউ ভাবেনি। অথচ আজ বাঙালিকে এসব নিয়ে ভাবানো যাচ্ছে। কে ভাবাচ্ছে? বাঙালির একশ্রেণির লোকজন। যাদের মূল লক্ষ্য এই ভাষার হিন্দু-মুসলমান করে গোবলয়ের সঙ্গে তফাতটা আরও কমিয়ে আনা যাবে।
ঘুমপাড়ানি গান থেকে শুরু হয়ে বেডটাইম স্টোরি, ছবির বই হয়ে বেডসাইডে রাখার মতো বই বা অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসে মানুষকে উপনীত হতে হয় জীবনের গতির সঙ্গে। এই গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এসেছে এমপিথ্রি, অডিও বুক। কিন্তু মা-ঠাকুমার ঘুমপাড়ানি গান, সুরে বা বেসুরে গুনগুনিয়ে ওঠা লুলাবাই কিংবা বাবার কোল ঘেঁষে শুয়ে গল্প শোনার আরাম অগ্রাহ্য করা যায় না এখনও।
কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে ক্লাসঘরে পড়ুয়াদের বসার বিন্যাস বদলানোর আয়োজন শুরু হয়েছে। সারি সারি বেঞ্চ আর টেবিল শুরু থেকে শেষের দিকে যাবে না। অর্ধগোলাকৃতি বিন্যাসে বসানো হবে তাদের। তবে বিন্যাসের বদলই যথেষ্ট নয়। পড়ুয়া আর শিক্ষকদের মনের ভেতরে ক্ষমতাতন্ত্রের যে জগদ্দল ভার, তা না মুছলে ব্যবস্থা আর অবস্থা বদলে যাবে না।
যে মেয়েকে রবীন্দ্রনাথ ২৫০-র বেশি পত্র লিখেছেন তাঁকে এক চিঠিতে ঘায়েল করতে এছাড়া আর কী লিখতে পারতুম বলুন? এই চিঠির উত্তরে বিবি লিখল, আমি যেন সিমলা হয়ে বিলেত যাই!
নিজের লেখা নিয়ে বাড়ির বড়দের থেকে কাছ থেকে বা নতুন বউঠানের কাছ থেকে তো লাইক আশা করতেনই কিন্তু তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে আরও এমন কয়েকজন আছেন অন্তত একজন তো আছেনই, যাঁর কাছে থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ারের আশায় থাকতেন কবি।
রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে বহু বই লিখেছেন তিনি। সেখানে বারবার উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের যৌনতার প্রসঙ্গটি। এবং তাতে লেখকের খ্যাতির চেয়ে বেশি জুটেছে কুখ্যাতি। কেন লিখলেন তিনি গুরুদেবের যৌনতা নিয়ে, কীভাবে যৌনতা প্রসঙ্গটি রবীন্দ্রচর্চার অন্যান্য প্রসঙ্গকে পিছনে ফেলে আকর্ষণ করল তাঁকে? এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।
একটি আন্দোলিত পদ্ম। খসে পড়ছে তার পাপড়ি। চামড়ার মলাটে সোনার রঙে ‘এমবস’ করা এক অনিন্দ্যসুন্দর রেখাচিত্র।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved