যে মানুষগুলো সারাটা জীবন সড়কের পাশের রাস্তাটাকে নিজেদের বাসস্থান ভেবেছে, তাঁদের কাছে পথকুকুররা তো পোষ্য। সেই পোষ্যকে যদি আইন করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়, তাহলে কি ফুটপাথবাসীদের পোষ্যের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না?
আসলে বিষয়টা ভাষার নয়। ভাষা এখানে গহীন চিত্রনাট্যের প্রচ্ছদ মাত্র। এবং বড় অস্ত্রও। অমিত মালব্যরা খুব ভালো করেই জানেন, দেশজুড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি বাঙালি ভাবাবেগ একজোট হতে চায়, তাহলে তাকে ভাষা দিয়েই কাটতে হবে। তাই ‘বাঙালি’ ও ‘বাংলাদেশি’ তত্ত্বের অবতারণা।
বি-গ্রেড ছবিগুলোর প্রধান হাতিয়ারই ছিল পোস্টার। কখনও বম্বে থেকে ছাপানো, কখনও-বা স্থানীয় শিল্পীর আঁকা পোস্টার। মহিলাদের শরীরী বিভঙ্গ, উত্তেজক ভঙ্গি, নগ্নতা কিংবা রগরগে সংলাপ থাকত। মূলত পুরুষ দর্শকের মনোযোগ পাওয়ার জন্য তৈরি এই পোস্টারগুলি হয়ে উঠেছিল শহরের ‘ওভার গ্রাউন্ড পর্নোগ্রাফি’।
পূর্ব ইউরোপে, ছাতা শবযাত্রার সঙ্গে যুক্ত ছিল, বৃষ্টি থেকে শোকার্তদের রক্ষা করত। ঘরে তা খোলা মানে ছিল মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানো; হাড় হিম করা শীতলতার আবাহন করা। ঔপনিবেশিক শক্তি তাদের প্রভাব ছড়িয়ে দিলে, এই কুসংস্কার এশিয়া, আফ্রিকা, আর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।
রতন থিয়ামের কাজ দেখার সুযোগ পাই ইম্ফলে, যখন তিনি ‘কোরাস রেপার্টারি থিয়েটার’ সংগঠনে ‘ভিলেজ থিয়েটার’-এর কনসেপ্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। সময়টা সম্ভবত নয়ের দশকের গোড়ার দিক। সারা ভারত থেকে নানা নাট্যদলকে রতন ওই থিয়েটার ভিলেজ দেখার জন্য ডাকে। কলকাতা থেকে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমি আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম সেখানে।
কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে ক্লাসঘরে পড়ুয়াদের বসার বিন্যাস বদলানোর আয়োজন শুরু হয়েছে। সারি সারি বেঞ্চ আর টেবিল শুরু থেকে শেষের দিকে যাবে না। অর্ধগোলাকৃতি বিন্যাসে বসানো হবে তাদের। তবে বিন্যাসের বদলই যথেষ্ট নয়। পড়ুয়া আর শিক্ষকদের মনের ভেতরে ক্ষমতাতন্ত্রের যে জগদ্দল ভার, তা না মুছলে ব্যবস্থা আর অবস্থা বদলে যাবে না।
শুনেছিলাম, ১৯৭৬ সালে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনেও মুক্তি না পাওয়ায়, জেল ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন আজিজুল হক, নিশীথ ভট্টাচার্য। চারুবাবুর সশস্ত্র লাইনে অবিচল থেকে তাঁরা দু’জন গড়ে তুললেন সিপিআই(এম-এল) দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কমিটি। রাজ্যে তখন নকশালবাড়ির পয়লা মহাঢেউটি নিভে গিয়েছে, তাঁরা সচেষ্ট হলেন দ্বিতীয় ঢেউ তোলার।
যে মেয়েকে রবীন্দ্রনাথ ২৫০-র বেশি পত্র লিখেছেন তাঁকে এক চিঠিতে ঘায়েল করতে এছাড়া আর কী লিখতে পারতুম বলুন? এই চিঠির উত্তরে বিবি লিখল, আমি যেন সিমলা হয়ে বিলেত যাই!
যদিও এটাও ঠিক যে, মিত্রশক্তি যুদ্ধের গোড়া থেকেও সোভিয়েত ইউনিয়নকে একঘরে করে রেখে দিয়েছিল।
সমাজের চোখে ন্যায় মানে যে ক্ষমতাবানের ন্যায়– এই সত্যিটা সন্ধ্যা সুরির ছবি স্পষ্ট এবং শান্ত স্বরে বলে। এবং এতবার বলে যে, স্লোগানের মতো মাথায় চেপে বসে, আর সেটাকেই ভয় ক্ষমতাবানের! আর সেজন্যেই তার শ্বাসরোধ করতে হয়!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved