লেখা শেষ করে জানলাম, রিয়া-রাখির বিয়ে মোটেও রাখির গ্রামে হয়নি, তাদের এক বন্ধু সাংবাদিক তার নিজের গ্রামে তাদের নিয়ে আসে, বিবাহ অনুষ্ঠান সেখানেই সম্পন্ন হয়। কেন নিয়ে আসতে হল? পরিস্থিতি কি তাহলে অনুকূল ছিল না? পাঠক, এই ধোঁয়াছবি দেখতে দেখতে অপেক্ষা করুন।
সিনেমার নেপথ্য-কর্মী দুলাল দত্ত-র মতো মানুষকে মৃত্যুর মাত্র দেড় দশক পরে বেমালুম মানুষকে বেমালুম ভুলে যাওয়া বাঙালির মজ্জাগত স্বভাব। তাঁকে কি সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছি আমরা? জীবিতকালেও জীবনের শেষভাগে এসে একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলেন মানুষটি।
দেবসেনাপতি কার্তিক। প্রজননের দেবতা বা কৃষিদেবতা রূপেই কার্তিকের সমধিক পরিচিতি। কার্তিক নিজে একসময় অপদেবতা বা ভয়ংকর ক্ষতিকারক শিশু-হন্তারক পিশাচবর্গের দেবতা ছিলেন। পরে তিনিই বৌদ্ধ হারিতীর মতো মঙ্গলময় শিশুরক্ষক দেবতায় পরিণত হলেন। কিন্তু কেন?
মাদাম দ্যে স্তালের যে কোনও কিছু আলোচনা করার ঠাট হল পাশাপাশি রেখে তুলনা করা। একদিকে ফরাসি বিপ্লবের চরমপন্থায় তাঁর অনাস্থা, অন্যদিকে আলোকপ্রাপ্তির জ্ঞানের বিভব হিসেবে রোম্যান্টিক দর্শনের বিশ্বাস– এইসব মিলিয়ে ‘‘দ্যে ল’আলেমান’’ বইটিতে তিনি ফরাসি রাষ্ট্রচেতনার উল্টোদিকে জার্মানির ক্লাসিসিজমকে ইউরোপের জন্য একটা স্থিত আদর্শ হিসেবে পেশ করলেন।
সালিম আলির আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষে পাখিচর্চার ক্ষেত্রে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ নামই ইউরোপীয়দের। গুরুত্বপূর্ণ নামের তালিকায় সালিম আলির পূর্বসূরিদের মধ্যে ভারতীয় বলতে দুই বাঙালি– রামব্রহ্ম সান্যাল ও সত্যচরণ লাহা। এই এত এত তাবড় সব নাম ডিঙিয়ে সালিম আলি কেমন করে হয়ে উঠলেন ‘ভারতের বার্ডম্যান’?
সুন্দরবনের দুই তরুণী সামাজিক বিয়েতে আবদ্ধ হলেন। বিয়ে দিলেন গ্রামের পরিবার ও ক্লাবের ছেলেরা। সপাট একটা থাপ্পড় এসে পড়ল এলিট, তত্ত্বপ্রিয়, অ্যাকটিভিজমকেন্দ্রিক, কাগুজে সচেতনতার মুখে। আমরা আদতে যাদের ‘শিক্ষিত’ করার স্বঘোষিত দায়িত্ব পেয়ে জীবন বর্তে দিয়েছি, তারাই আমাদের বিচারপ্রবণতার সামনে একটা সহজ সমাধান নিয়ে বেরিয়ে গেল।
আসলে চিন কী? জানতে পুরো বইটা পড়তে হবে। বইটা কিন্তু এক অর্থে এক তোলপাড় সমুদ্রযাত্রা। আর এক অর্থে, এই বই ভৌগোলিক অর্থে আমাদের কোথাও পৌঁছে দেয় না। কিংবা বলে, এই ভ্রমণের শুরু যেখানে, শেষও সেখানে।
সাকুল্যে পাঁচটা গল্প। ‘ইন দ্য সাউথ’ আর ‘দি ওল্ড ম্যান ইন দ্য পিয়াৎজা’ তুলনায় ছোট। ‘লেট’ আর ‘ওকলাহোমা’ বেশ বড়। সবচেয়ে বড় গল্প/উপন্যাসিকা– ‘দ্য মিউজিশিয়ান অফ কাহানি’। প্রতিটা গল্পে কোনও না কোনও ভাবে মৃত্যুর গায়ের গন্ধ।
‘শব্দ’ মানে শুধু আওয়াজ নয়, শব্দ মানে ভাষা, যোগাযোগ, অনুভূতি, অস্তিত্বের সাড়া। আমরা জন্মের পর প্রথম যে জগৎটাকে চিনি, তা আলো নয়, শব্দের জগৎ। মায়ের কণ্ঠ, বাতাসের আওয়াজ, কিংবা কোনও শঙ্খ বা ঘণ্টার ধ্বনি অথবা পশু-পাখির ডাক। শব্দ শুনে চিনে নিই জীবন, বিপদ, আনন্দ, সোয়াস্তি, এমনকী ভালোবাসা।
উদয়ন বাড়ির ভেতরের বড় ঘর ও বারান্দা ছিল শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। শান্তিনিকেতনের উৎসব অনুষ্ঠানের স্টেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। নৃত্যনাট্য বা নাটকের মহড়াও বসত প্রধানত এ বাড়িতেই।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved