স্টুডিও যেন এক মুহূর্তে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের নাইট ক্লাব হয়ে গেল। তালে তালে নেচে উঠল সুচিত্রা সেনের ভ্রূ যুগল। সুচিত্রা সেন যেন হয়ে উঠলেন সত্যিকারের রিনা ব্রাউন। গানটা নিজেই হয়ে উঠল কোরিওগ্রাফার। সুজি মিলার যেন হয়ে গিয়েছেন সুচিত্রার পুরু ঠোঁট। পারফেক্ট ‘মেরি গো রাউন্ড’।
রানী চন্দ তখন শান্তিনিকেতনের বাইরে। পাছে তিনি বাধা দেন বা ব্যথা পান, তাই তাঁর অনুপস্থিতিতেই এ বাড়ি ভাঙার পরিকল্পনা করেছিলেন। জানেন কী সেই বাড়ি?
এই প্রম্পট যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত? পাটুলি থেকে পেনসিলভানিয়া। বাগনান থেকে ব্লুমসবেরি। প্রেমিকার হাত ধরে মিনিটে মিনিটে ছবি। একটা কাল্পনিক প্রি-ওয়েডিং শুট। টিউলিপ গার্ডেন। কিঞ্চিৎ বেহালা। পাগলি তোমার সঙ্গে জেমিনাই জীবন কাটাব। কিংবা ওয়ামিকা গাব্বির কাঁধে মাথা রেখে একটা সেলফি। এই যে এত ছবি, এত প্রম্পট, এত লাইকপ্রাণ পায় কী থেকে? একটা দুর্বার ইচ্ছে। একটা স্বপ্ন। একটা ইটারনাল দুঃখ। সেইসব কি তবে ফুরিয়ে যাবে? বহু আকাঙ্ক্ষিত সুদিন কি দুয়োরে?
দশমীতে বেজে উঠুক হিংসা-বিসর্জনের ঢাক। শত-সহস্র লক্ষ-কোটি। দেশ-দেশান্তর, নদী-পর্বত সাতসমুদ্র, সব মহাদেশ জুড়ে।
বিসর্জন এক অবধারিত মুহূর্ত। প্রতিমা নদীতে নামানো হয়, ভেঙে যায়, জলে মিশে যায়। কিন্তু এই ক্ষয়ের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে নতুন সৃষ্টির ইঙ্গিত। প্রতিমার মাটি নদীর কাদায় মিশে যায়, সেই মাটি দিয়েই গড়া হয় পরের বছরের প্রতিমা। বিকাশ ভট্টাচার্যের ক্যানভাসে এই দ্বৈততা প্রবল।
শ্রীদেবীর দীর্ঘ কাজের পরিধিতে হয়তো একটি ছবিও নেই, যেখানে তিনি শুধুই ‘সুন্দর’টি সেজে, কিছু নাচগান, খানিক কান্নাকাটি, আর ফুলে ফুলে ধাক্কা খাওয়া প্রেম করে অডিয়েন্সকে গুডবাই করে দিয়েছেন। উল্টে শ্রীদেবী এমন সব চরিত্র বেছে নিয়েছেন, যে চরিত্রগুলি এই বলিউডি ভাবমূর্তি নির্ভর বাজারে কোনও হিরোইন নেবেন না।
মৈত্রেয়ী দেবীর বিপদটা হয়ে গেল ওই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই। যেখানে রবীন্দ্রনাথের কোনও যোগাযোগ বা অনুষঙ্গ থাকবে, স্বাভাবিকভাবেই অরণ্যের দীর্ঘতম শালবৃক্ষের মতো তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে উঠবেন।
তিনি কি সুকৌশলে ‘দেবী’ হয়েই প্রদর্শিত হতে চেয়েছিলেন? এই ভাবনা মাথায় এলেই মালা সেনের বইয়ের ধারালো ফুলনের কথা কানে ভাসে, ‘আঠারো বছর বয়সেও আমাকে দেখতে বাচ্চাদের মতোই লাগত। ফলে আমি জানতাম পুলিশ আমার দিকে তাকিয়েও দেখবে না। অবশ্যই এর সুবিধা আমি নিয়েছি।’
তাঁর গ্ল্যামারাস ব্যক্তিত্ব, ভারী গলার স্বর, অত্যাশ্চর্য মেকআপ, বুফোঁ চুল, স্লিভলেস ব্লাউজ ছিল অতুলনীয়। এমনকী, ‘সূচিত্রা’র সঙ্গেও তুলনা চলে না– বলা যায়, সুচিত্রা সেন ছিলেন বাঙালি ভদ্রলোকের ফ্যান্টাসি, আদর্শিক নারী; কিন্তু সুপ্রিয়া দেবী ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, আগুনের শিখার মতো।
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে টাইগার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী প্রথম ভারতীয় ফিল্মমেকার, সনল কুমার শশীধরন; তাঁর‘সেক্সি দুর্গা’ সিনেমাটির জন্য। রইল তাঁর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved