Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

টরে টক্কার শূন্য এবং ড্যাশের সমাহারে ব্যাঙের ‘গ্যাগর গ্যাং’ও অনুবাদ করে নিতে পারতাম

টেলিগ্রামের ভাষাটা ছোট করতে হত। কারণ প্রতিটি শব্দের জন্য পয়সা দিতে হত। এমনকী, কমা ফুলস্টপের জন্যও। নবনীতা দেবসেনের দশম বিবাহবার্ষিকীতে অর্মত্য সেন বিদেশ থেকে নবনীতাকে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন– ‘ট্রিট দিস পেপার অ্যাজ ফ্লাওয়ার।’

→

আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন

কোথায় আমেরিকায় সেই আম-সংস্কৃতি! কোথায় আমেরিকায় আমের বাজারে সেই স্বাদ-গন্ধ-রং তরিবত? ওইগুলো আম না আমের মড়া?

→

পাণ্ডুলিপি জমা দিয়ে সোমেনদা বলেছিলেন, রামকিঙ্করকে নিয়ে এ জাতীয় বই আগে লেখা হয়নি

‘রবীন্দ্র-চিত্রকলা: রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা’ বইটির একটি জাপানি অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছিল। একটি চিঠিতে সোমেন্দ্রনাথ আমাকে জানিয়েছিলেন সেই কথা, যে, Sea Mail-এ নাকি সেই বই আসছে। এলে আমার জন্যও একটি কপি থাকবে। সে-বই নিশ্চয়ই ট্যাংরা এলাকার পাগলাডাঙায় আমাদের লাইব্রেরিতে খুঁজলে পাওয়া যাবে।

→

যে পানশালার প্যাঁচালো সিঁড়ি, খোলা‌ জানালা, লাল মেঝে-খসা পলেস্তারায় পুরনো প্রেমিকার মায়া

পুরনো টলিপাড়ার অভিনেতাগণ দলে-দলে আসতেন এক কালে। নৃপতি চট্টোপাধ্যায়। বসন্ত চৌধুরী। অনিল চট্টোপাধ্যায়। ছবি বিশ্বাসকেও নাকি দেখা যেত মাঝে-সাঝে। আর আসতেন ঋত্বিক ঘটক। কলকাতায় থাকলে, প্রায়ই।

→

চোখের নাচন– কখনও কমেডি, কখনও ট্র্যাজেডি!

ভাগ‍্যের নামে জীবন চালায় যারা তাদের জন্য চোখের নাচন একটি সিরিয়াস ব‍্যাপার, নির্ভেজাল পয়া আর অপয়ার গল্প।

→

অ-এ অজগরের মতো সমস্যা থাকলেও বাঙালি যেন আ-এ আম পেড়ে খায়

খাটের তলায় বিছানো আম আর প্রতি রাতে জলে ভেজানো আম চলত বৈশাখের শেষ থেকে জৈষ্ঠ্যের শেষ অবধি। সকালে টিউশন পড়তে যাওয়ার আগে চারপিস আম দিয়ে মুড়ি। পড়ে এসে পুকুরে চান করতে গিয়ে দু’পিস। গায়ে আমের রস পরলে স্যাটাস্যাট ধুয়ে ফেল। একে বলে একশোভাগ চ্যাটচ্যাট-মুক্ত আম খাওয়া।

→

গগ্যাঁর তাহিতির বর্ণনায় যেন মিশে রয়েছে বিভূতিভূষণের ‘আরণ্যক’

শিল্পের আধুনিকতার এই ইতিহাস সকলেরই জানা। যেমন বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি অনুসন্ধিৎসু পাঠক জানেন আরণ্যকের সত্যচরণকে। এই লেখা, বলা যেতে পারে এক বাঙালি পাঠকের সমান্তরাল পাঠ প্রক্রিয়ার ফসল, যেখানে গগ্যাঁর দেওয়া তাহিতির বর্ণনায় অবধারিতভাবেই বারবার ফিরে ফিরে আসেন বিভূতিভূষণ।

→

যে ‘ফ্যান’ হাওয়া দিয়েছিল কল্পবিজ্ঞানে

১৯৭৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। জন্ম নিল ‘ফ্যানট্যাস্টিক’। নামকরণ করলেন সত্যজিৎই। আসলে এ নিছকই কোনও পত্রিকার জন্ম নয়। এক অকালমৃত স্বপ্নকে ফের জাগিয়ে তোলা।

→

কেশব নাগ এই টেবিল ফ্যানের কথা জানলে নির্ঘাত তা দিয়ে জ্যামিতির প্রশ্ন সেট করতেন

ফ্যান কোনও দিন ২০° ঘুরল, তো পরের দিন ৩০°, তার পরের দিন ৪৫°, তার পরের দিন আবার ঘুরলই না। এই ফ্যানের মর্জি শুধু ঠাকুরমা জানতেন, আর সেই অনুযায়ী ফ্যানের সামনে মাদুর পেতে বারান্দায় শুতেন।

→

‘ভাইসব, আপনারা একটু শান্ত হোন, উত্তমদা এক্ষুনি এসে যাবেন’

একবার বিদেশে এক আড্ডায়, সুচিত্রা মিত্রকে গান গাওয়ার জন্যে পীড়াপীড়ি করছিল কিছু ফ্যান। গানের শেষে তাঁকে কুণ্ঠিতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এই যে আপনাকে আমাদের মধ্যে পেয়ে আমরা গান গাওয়ার জন্য আবদার করি, তাতে আপনার খারাপ লাগে না ?’ সুচিত্রাদি মিটিমিটি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আবদার না করলেই একটু খারাপ লাগে !’

→