Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

কীরকম থিয়েটারকর্মী হতে চাই, রতন থিয়ামকে প্রথমবার দেখেই স্থির করেছিলাম

যৌথ ভাবে থেকে থিয়েটারের জার্নির মধ্যে দিয়ে অভিনয়কে আবিষ্কার করা এবং কোথাও কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদেরকে আত্মনির্ভর ভাবে গড়ে তোলা, যাতে নিজেদের সৃষ্টির প্রতি দায়বদ্ধ থাকা যায়, সেই ইচ্ছাশক্তিকে মনে গেঁথে দিতে পেরেছিলেন রতন থিয়াম, পেরেছিলেন ‘কোরাস রেপার্টারি থিয়েটার’-এর চলনের মধ্য দিয়ে।

→

থিয়েটার ভিলেজ গড়ে নাট্যকর্মীদের বেঁচে থাকার পথ প্রথম দেখিয়েছিলেন রতন থিয়াম

রতন থিয়ামের কাজ দেখার সুযোগ পাই ইম্ফলে, যখন তিনি ‘কোরাস রেপার্টারি থিয়েটার’ সংগঠনে ‘ভিলেজ থিয়েটার’-এর কনসেপ্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। সময়টা সম্ভবত নয়ের দশকের গোড়ার দিক। সারা ভারত থেকে নানা নাট্যদলকে রতন ওই থিয়েটার ভিলেজ দেখার জন্য ডাকে। কলকাতা থেকে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমি আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম সেখানে।

→

ক্লাসরুমে ফার্স্টবেঞ্চ-লাস্টবেঞ্চ ব্যবধান ঘুচল, তাতে ফার্স্টবয়-লাস্টবয় দূরত্ব ঘুচবে কি?

কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে ক্লাসঘরে পড়ুয়াদের বসার বিন্যাস বদলানোর আয়োজন শুরু হয়েছে। সারি সারি বেঞ্চ আর টেবিল শুরু থেকে শেষের দিকে যাবে না। অর্ধগোলাকৃতি বিন্যাসে বসানো হবে তাদের। তবে বিন্যাসের বদলই যথেষ্ট নয়। পড়ুয়া আর শিক্ষকদের মনের ভেতরে ক্ষমতাতন্ত্রের যে জগদ্দল ভার, তা না মুছলে ব্যবস্থা আর অবস্থা বদলে যাবে না।

→

আমাদের ‘আধমরা’ নৈতিকতাকে ‘ঘা মেরে’ বাঁচানোর চেষ্টা করেন ডমরুধর

ডমরুর বিনয়মিশ্রিত দরাজ হৃদয়ের দেখনদারি আসলে তো নিজেকে ‘সুপিরিয়র’ একটা অবস্থানে বসিয়ে যাকে বলে ‘ফ্লেক্স’ করা৷ এ-জিনিসও সুলভ৷ ইন্টারনেট এবং ইরাদা কোনোটাই ছিল না বলে স্বর্ণকুমারী দেবীর মেয়ে সরলাদেবী বলেননি যে ‘দেঁশবাসীও, রবীন্দ্রনাথ রাখিবন্ধনের কনসেপ্টটা আমার থেকে ধার করেছেন৷’ কিন্তু এখন সব অলীক৷

→

আজিজুল হক-রা মৃত‍্যুতে শেষ হন না

শুনেছিলাম, ১৯৭৬ সালে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনেও মুক্তি না পাওয়ায়, জেল ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন আজিজুল হক, নিশীথ ভট্টাচার্য। চারুবাবুর সশস্ত্র লাইনে অবিচল থেকে তাঁরা দু’জন গড়ে তুললেন সিপিআই(এম-এল) দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কমিটি। রাজ‍্যে তখন নকশালবাড়ির পয়লা মহাঢেউটি নিভে গিয়েছে, তাঁরা সচেষ্ট হলেন দ্বিতীয় ঢেউ তোলার।

→

বর্ষাকাল মানেই বাঙালির কনফিউশনের বন্যা!

বৃষ্টি হল প্রথম প্রেমের মতো। আপনাকে কনফিউশনের তাওয়ায় ওমলেটের মতো ভাজবে। ঝমঝমে চপলতায় লোভী মনকে বিষাক্ত স্লোয়ার দেবে– ভিজবেন নাকি গা বাঁচাবেন? মাথায় পড়লেই কিন্তু ঠান্ডা লাগার প্রবল আশঙ্কা।

→

প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?

যে মেয়েকে রবীন্দ্রনাথ ২৫০-র বেশি পত্র লিখেছেন তাঁকে এক চিঠিতে ঘায়েল করতে এছাড়া আর কী লিখতে পারতুম বলুন? এই চিঠির উত্তরে বিবি লিখল, আমি যেন সিমলা হয়ে বিলেত যাই!

→

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে সোভিয়েত ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক সৌভ্রাত্রের খাতিরেও ‘বিশ্বযুদ্ধ’ আখ্যা দেয়নি

যদিও এটাও ঠিক যে, মিত্রশক্তি যুদ্ধের গোড়া থেকেও সোভিয়েত ইউনিয়নকে একঘরে করে রেখে দিয়েছিল।

→

সত্যকে চাপা দেওয়াই যখন মূল রীতি, তখন ‘সন্তোষ’ ক্ষমতার কাছে ভয়ের কারণ

সমাজের চোখে ন্যায় মানে যে ক্ষমতাবানের ন্যায়– এই সত্যিটা সন্ধ্যা সুরির ছবি স্পষ্ট এবং শান্ত স্বরে বলে। এবং এতবার বলে যে, স্লোগানের মতো মাথায় চেপে বসে, আর সেটাকেই ভয় ক্ষমতাবানের! আর সেজন্যেই তার শ্বাসরোধ করতে হয়!

→

প্রাথমিক স্কুলগণ্ডি থেকেই সহিষ্ণুতা আর কল্পনাশক্তি মেরে ফেলার নয়া ‘সিলেবাস’

মহারাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে– তারা স্কুলের প্রাথমিক শ্রেণিতে যুদ্ধ শেখাবে। জুন মাসের এক আদেশনামায় জানানো হয়েছে, স্কুলের নিচের ক্লাসে যুদ্ধবিদ্যা শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা এবং সামরিকবিদ্যার পাঠ দেওয়া হবে। এই পাঠ দেবেন কারা? খবরে প্রকাশ, রাজ্যজুড়ে পাঠ দেওয়ার জন্য নিয়োজিত হবেন আড়াই লক্ষ লোক, থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা।

→