নানা নামের পুকুর নানা যুগের স্মৃতি বহন করে চলেছে। এমন অনেক জনজাতি ছিল, যারা গ্রাম থেকে লুপ্ত, যেমন– তুরুক পুকুর। মধ্যযুগের তুর্কিদের স্মৃতি উথলে ওঠে। কিংবা গর্দানমারীর পুকুর। গর্দানমারী নামক ঠগী বা ঠ্যাঙ্গারে দস্যুরা অতীতে এই পুকুরের পাড়ে তাদের আড্ডা গড়ে তুলেছিল।
সুবর্ণরেখার ইন্দ্রদাকে সকলেই একডাকে চিনতেন, সেই তুলনায় বিমলদার পরিচিতি কী আর! কিন্তু দাদা ইন্দ্রনাথের ওপর আলো এসে পড়ত বলে বিমলদা ক্ষুণ্ণ হতেন না। বরং চাইতেন ইন্দ্রদার কথা লোকের কাছে পৌঁছে যাক।
একসময় চাঁদের সঙ্গে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের যোগাযোগ ছিল বইকি। চন্দ্রাহত সেই প্রজন্ম আজ দূরে, বহুদূরে। লাল চাঁদের সৌজন্যে, আবার একবার, মাথা তোলা– চাঁদের দিকে তাকানো।
নগর পরিকল্পনার ভেতরকার এই অদৃশ্য সহিংসতাই আসল প্রমাণ, রাষ্ট্র আর কর্পোরেট মিলে শহর বানায় পুরুষের গতিবিধির জন্য, নারীর কিংবা প্রান্তিক শরীরের নিরাপত্তার জন্য নয়।
আজকের আসামে যখন ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে উচ্ছেদের বুলডোজার চলেছে নির্বিচারে– তখন যদি ভূপেন যদি জন্মশতবর্ষে ফিরে এসে আবার গেয়ে ওঠেন, ‘মানুষ মানুষেরই জন্যে’ তবে কি তাঁকেও স্ট্যান স্বামী বা উমর খালিদের মতো দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে যেতে হবে?
একুশ শতকে, পুঁজি বিনে পুজো অথবা পিণ্ডদান? ব্যাকডেটেড!
স্ত্রী অ্যালেজান্দ্রা বিকেলের আলোয় তার ছায়ার টেবিলের কাছে চাইল ভাষা ও ভাব– একটি ভালবাসার চিঠির জন্যে। তার স্বামীর ৭৬তম জন্মদিনে এই চিঠিই হল তার একমাত্র উপহার, তার পাহাড়ের মতো স্থির, রক-সলিড স্বামীর জন্য!
আমাদের কবি, আমাদের নাট্যকর্মী, আমাদের লেখক, আমাদের অভিনেতা– সবাই যে যেখানে আছে, রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হবে, বলে দেবে, আজও বেঁচে আছে।
ঘুটঘুট্টি অন্ধকারে নিজের হাতে ধরা টর্চের মতো আলো যখন মঞ্চে কুশীলবরা নিজেরই মুখে ফেলে নাটক করে, তখন তাদের আমি আলেয়ার দল ভাবি। রাতের মাঠে হঠাৎ দেখা দেওয়া নীলচে আলো মানুষকে এখনও থমকে দেয়, শিহরিত করে।
যে জোড়াসাঁকোয় তাঁর জীবনের এতখানি কাটল সেখানেও আর প্রৌঢ় অবস্থায় থাকতে ভালোবাসতেন না তিনি। সারা জীবন বহু ঘুরেছেন রবীন্দ্রনাথ। থেকেছেন বহু বাড়িতে। দুই বাংলায়, তার বাইরে এবং বিদেশে। কিন্তু কোনটি ঠিক তাঁর বাড়ি?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved