Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

চেনা পৃথিবীর নিশ্চয়তা হিচকক ভেঙে দিতে চান ভয় দেখিয়েই

১৯২৫ সালের ‘প্লেজার গার্ডেন’ থেকে ১৯৭৯ সালে হিচককের শেষ অসমাপ্ত ছবি ‘দ্য শর্ট নাইট’ অবধি হিচকক সমানে দেখাতে চান আমাদের চারিদিকের যে চেনা পৃথিবীর নিশ্চয়তা, তা আমাদের নিজেদের তৈরি করা এক সান্ত্বনার জগৎ। এই জগৎ পলকা।

→

অপরাধের শাস্তি নয়, পুরস্কার ও বরমাল্যই কি এদেশের নতুন রেওয়াজ?

একের পর এক আসামি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন, তাঁদের পরানো হচ্ছে মালা। সম্বর্ধনাও দেওয়া হচ্ছে। দেশের পক্ষে এ অত্যন্ত লজ্জার।

→

কে সি দাশের ফাঁকা দেওয়ালে আর্ট গ্যালারির প্রস্তাব দিতেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন বীরেনদা

একবার কলকাতা থাকাকালীন আমাকে ওঁদের বাড়িতে যেতে বলেছিলেন বীরেনদা। যামিনী রায়ের ছবি দেখতে। যামিনী রায়ের রামায়ণের ছবি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ছবি থেকে রং খসে পড়ছে। আমি যদি কলকাতায় কোনও ছবি-চিকিৎসার মানে, ‘রেস্টোরেশন’-এর রাস্তা বের করতে পারি। যামিনী রায়ের রামায়ণের ১৭ খণ্ডে ক্যানভাসে চিত্রায়নের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন সারদাচরণ।

→

অলিম্পিকে স্বর্ণপদক-জয়ী নীরজ চোপড়াকে আক্রমণ করতে শিখিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদ

ময়দানের ভেতরে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা প্রতিযোগিতার যে টানটান মুহূর্ত, সে মুহূর্তে দিনের শেষে করমর্দনে এসে শেষ হওয়ার কথা, ময়দানের বাইরে রাজনীতির অঙ্গনে সে করমর্দন বদলে গেছে তর্জনী উঁচিয়ে রাখা হুংকারে। খেলার স্পিরিট যেখানে ‘নীরবে নিভৃতে কাঁদে’।

→

জেলখানার পাঁচিল টপকে কারাবন্দি মেয়েদের ছবি-গান-কবিতা পৌঁছেছে গরাদের ওপারেও

আত্মীয়তা, সংহতি, বন্ধুত্বের রাজনীতিকেই ভয় করে শাসক। তাই জনমানসে কারাগার, কারাজীবনকে বরাবর এক অপরাধ সম্পৃক্ত বিপজ্জনক পরিসর হিসেবে চিহ্নিত করতে লাগে। বন্দিদের অপরাধ প্রমাণের আগেই তাঁদের অপরাধী করে তুলতে লাগে, বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই সাজা চলতে থাকে। মেয়েদের রাজনৈতিক সত্তাকে অস্বীকার করলেও, মেয়েদের রাজদ্রোহিতা তাই শাস্তিযোগ্য।

→

গ্রামবাংলা আর রাজধানী– এই দুয়ের মধ্যে সেতুর কাজ করেছিলেন ‘দাদাঠাকুর’

চিরকাল নগ্নপদ ছিলেন। অনেকের অনুরোধ সত্ত্বেও কোনওদিন জুতো পরেননি। কারণ তিনি ‘জুতোস্থ’ না হয়ে ‘পদস্থ’ থাকতেই বেশি পছন্দ করতেন। মজা করে বলতেন– বাগদাদের রাজারা খালিফা আর তিনি হলেন ‘খালি পা’। ‘দাদাঠাকুর’ শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের জন্ম ও মৃত্যুদিন আজ। সেই উপলক্ষে রোববার.ইন-এর বিশেষ প্রতিবেদন।

→

কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্টের চক্করে বাঙালি আর ভোরবেলা হোটেল থেকে রওনা দেয় না

মাঝে সাঝে লোকাল খাবারের চক্করে ভ্রমণপিপাসুরা কম্পিমেন্টারির লোভ সামলে নেয়। খুঁজে পায় ভ্রমণের স্বাদ।

→

আমাকে ভাবায়, তারাপদ রায়

১৯৯৩ সালে দে’জ পাবলিশিং থেকে তারাপদ রায়ের প্রথম বই প্রকাশিত হয়– ‘নীল দিগন্তে তখন ম্যাজিক’। এই ভ্রমণকাহিনি, তবে এর কাছাকাছি নামের একটি কবিতাবই-ও তাঁর ছিল।

→

বাঙালির সাংস্কৃতিক-সামাজিক বদলের সঙ্গে মিলেমিশে ছিল ছায়া দেবীর অভিনয়ের বিবর্তন

কী একটা অমোঘ টান বাকিদের মুছে দিয়েছে বরাবর– অমন শান্ত চোখে অতখানি আগুন আর কোনও বাঙালি অভিনেত্রীর ছিল না।

→

প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষরাও অনাকাঙ্ক্ষিত ছোঁয়া ও দৃষ্টি এড়িয়ে ট্রেনযাত্রার সুযোগ হারাল

যেদিন সমাজ লিঙ্গ-হিংসাশূন্য হয়ে উঠবে, মহিলা ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষের শরীর ‘যৌনবস্তু’ হয়ে থাকবে না, সবার চোখে আমরা ‘মানুষ’ হয়ে উঠব, সেদিন আলাদা করে ‘মহিলা কামরা’র দরকার পড়বে না। আমরা সকলে মিলে সমস্ত কামরা ‘সাধারণ’ করে নিয়ে একসঙ্গে যাত্রায় সামিল হতে পারব।

→