Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

মহিষাসুরমর্দিনী নন, কৃষিপ্রধান বাংলায় আদিপূজিতা ছিলেন শস্যদেবী নবপত্রিকা

ঢেলাই চণ্ডী, শাকম্ভরী, শতাক্ষী, সুবীক্ষা, অন্নপূর্ণা– সব মিলিয়েই ‘শস্যদুর্গা’। ভূমি-বৃষ্টি-শস্য– ত্রিমাত্রিক সত্তার অবয়বে গঠিত শস্যদুর্গার স্বরূপ। বঙ্গের দুর্গোৎসবে শস্যদুর্গা বা শাকম্ভরীর পুজো আজও টিকে আছে ‘শস্যবধূ’ বা ‘কলাবউ’ রূপে। এই দেবী চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন নির্বাচিত গাছপালা-ফলমূল-শাকপাতা তথা পত্রিকা আরাধনায়।

→

বিধবা বিবাহের লিফলেট, ১০ খণ্ডের দুষ্প্রাপ্য ‘শিশু ভারতী’ পত্রিকা একরাতের বৃষ্টিতেই শেষ!

অনেকে অনেক দাম দিয়ে আমার থেকে কিনতে চেয়েছেন অনেকবার, আমিই রাজি হইনি। এখন ভাবছি, কেন হইনি– রাজি হলে কারও কাছে অন্তত তা অক্ষত থাকত! বিধবা বিবাহ চালু হওয়ার সময়কার লিফলেট। তা বিলি করেই প্রচার করা হত সমাজে। কে, কত অনুদান দিচ্ছেন– লেখা ছিল সেসব তথ্যও।

→

প্রণব রায় না থাকলে ‘আমি যামিনী তুমি শশী হে’ ইতিহাস হত না

সেদিন শুধু একটি গানে রেকর্ডিং ছিল না। সেটা হয়ে উঠেছিল সময়ের ভেতর দিয়ে জন্ম নেওয়া এক অমর সুর। সেদিন আসলে রেকর্ড হয়েছিল ইতিহাস।

→

দুর্গাবতীকে ‘দেবী’ বা ‘ভাবী’ করার রাজনীতি ভুলিয়ে দিতে চায় তাঁর বিপ্লবী রাজনৈতিক সত্তার কথা

দেবীর ইমেজ আসলে দুর্গাবতীর রাজনৈতিক জীবনকে শুধুমাত্র একটি ঘটনায় সীমাবদ্ধ করতে চায়নি, সেই ঘটনাকে শুধু একটি মুহূর্তের আবেগ, সেই একটি মুহূর্তের রোমাঞ্চে আবদ্ধ করে খুব সচেতনভাবেই তাকে দুর্গাবতীর রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে। ভুলিয়ে দিতে চেয়েছে দুর্গাবতীর রাজনৈতিক জীবন ওই ঘটনা দিয়ে শুরু হয়নি, ওই ঘটনায় শেষও হয়নি।

→

শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম

শান্তিনিকেতন, যেখানে কবির ইচ্ছেমতো সত্যিই গোটা বিশ্বের এবং দেশের অনেকে মিলে এক অপূর্ব নীড় রচনা করেছিলেন, তার সূত্রপাত হয়েছিল একটি বাড়িকে ঘিরে। শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম, যেটি কালক্রমে একটি স্থাননাম হয়ে দাঁড়ায়। আরও পরে ‘শান্তিনিকেতন’ শব্দটি হয়ে দাঁড়ায় একটি বিশেষ সংস্কৃতি বা রুচির প্রতিশব্দ।

→

গানের স্বরলিপির মতো নাচের মুদ্রালিপির কথা ভাবতেন প্রতিমা দেবী

যে-সমাজে মেয়েদের নাচ গর্হিত অপরাধ, সেখানে প্রতিমা তার হাল ধরেছেন। যেখানে 'বাল্মিকী প্রতিভা' প্রভৃতি গীতিনাট্যে শুধুই অল্প হাত নাড়ানো হত, সেখানে প্রতিমা সাহসিনী হয়ে নৃত্য যুক্ত করলেন।

→

জীবন আসলে ক্যালাইডোস্কোপ, সামান্য ঘোরালেই বদলে যায় একঘেয়ে নকশা

কয়েকটা রঙিন কাচের টুকরো আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে তৈরি করছে অসংখ্য অপ্রত্যাশিত প্যাটার্ন। সুখ, দুঃখ, সাফল্য, ব্যর্থতা, সম্পর্ক এবং অভিজ্ঞতা। জীবনের ক্যালাইডোস্কোপের উপাদান। প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন আকার, নতুন সম্ভাবনা। একটু ঘুরিয়ে দিলেই বদলে যায় নকশা, জীবনকে একঘেয়ে হতে দেয় না।

→

সর্বজনীন মাতৃত্ব আর দেবীত্বের দায় কি আজীবন বহন করতে চেয়েছিলেন সারদা দেবী?

গলার ক্যানসারে ভুগে কাশীপুর উদ্যানবাটী থেকে রামকৃষ্ণ বিগত হবেন। তবু তাঁর দিয়ে যাওয়া এই দেবীত্বের পরাকাষ্ঠা সযত্নে লালন করে যাবে সারদা, হয়ে উঠবে ‘শ্রীশ্রীমা’। বৈধব্য যে স্বীকার করেনি কখনও। দেবী তো কখনও বিধবা হয় না! তাই নরুণ লালপেড়ে সাদা শাড়িটি হবে চিরকালীন অঙ্গবাস, হাতে আজীবন থাকবে ‘ডায়ামন্ড কাটা বালা’– যে বালা দু’টি তাঁকে গড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ।

→

মনোজ মিত্রর সমগ্রের চেতনা আমাদের বারান্দার পাখিদর্শন থেকে

তপন সিংহর ‘আদালত ও একটি মেয়ে’ ছবির জন্য বেলগাছিয়ার মাঠে দৌড় প্র্যাকটিস শুরু করলেন আমার বাবা মনোজ মিত্র ৷ সময় বাছলেন ঠিক ভোর সাড়ে চারটে।

→

মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে: আমার মা সন্‌জীদা খাতুন

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মা ছেলেমেয়ে নিয়ে আগরতলা কলকাতা হয়ে শান্তিনিকেতনে। ঈদের সময় মায়ের কিপটের মতো শুধু জর্দা পোলাও রান্না। দু’-একজন বন্ধু আসে কি আসে না। ব্যস ওইটুকুই। স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পরে নানুর আশ্রয়ে কিছুদিন থেকে মা থিতু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায়। প্রায় দুই দশক অন্য এক ঈদের স্বাদ।

→