Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

ভ্রমণ-সাহিত্যকে লাজলো নিয়ে গেছেন নতুন পারমিতায়

আসলে চিন কী? জানতে পুরো বইটা পড়তে হবে। বইটা কিন্তু এক অর্থে এক তোলপাড় সমুদ্রযাত্রা। আর এক অর্থে, এই বই ভৌগোলিক অর্থে আমাদের কোথাও পৌঁছে দেয় না। কিংবা বলে, এই ভ্রমণের শুরু যেখানে, শেষও সেখানে।

→

নাস্তিকের মৃত্যুচিন্তা ছড়িয়ে আছে রুশদির ইলেভেনথ আওয়ারে

সাকুল্যে পাঁচটা গল্প। ‘ইন দ্য সাউথ’ আর ‘দি ওল্ড ম্যান ইন দ্য পিয়াৎজা’ তুলনায় ছোট। ‘লেট’ আর ‘ওকলাহোমা’ বেশ বড়। সবচেয়ে বড় গল্প/উপন্যাসিকা– ‘দ্য মিউজিশিয়ান অফ কাহানি’। প্রতিটা গল্পে কোনও না কোনও ভাবে মৃত্যুর গায়ের গন্ধ।

→

‘শব্দ’ শুধুই আওয়াজ নয়

‘শব্দ’ মানে শুধু আওয়াজ নয়, শব্দ মানে ভাষা, যোগাযোগ, অনুভূতি, অস্তিত্বের সাড়া। আমরা জন্মের পর প্রথম যে জগৎটাকে চিনি, তা আলো নয়, শব্দের জগৎ। মায়ের কণ্ঠ, বাতাসের আওয়াজ, কিংবা কোনও শঙ্খ বা ঘণ্টার ধ্বনি অথবা পশু-পাখির ডাক। শব্দ শুনে চিনে নিই জীবন, বিপদ, আনন্দ, সোয়াস্তি, এমনকী ভালোবাসা।

→

রবীন্দ্রনাথের শেষ জন্মদিন পালিত হয়েছিল উদয়নে

উদয়ন বাড়ির ভেতরের বড় ঘর ও বারান্দা ছিল শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। শান্তিনিকেতনের উৎসব অনুষ্ঠানের স্টেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। নৃত্যনাট্য বা নাটকের মহড়াও বসত প্রধানত এ বাড়িতেই।

→

রাশিয়া থেকে শান্তিনিকেতন– এক মেয়ের অবিশ্বাস্য যাত্রা

ইউরোপ এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্তগুলোর সাক্ষী কোটিয়া– প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, রুশ বিপ্লব, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, বাংলার মন্বন্তর ও ভারতের স্বাধীনতার লড়াই। এই বইটি থেকে পাঠক একটি পরিবারের হাত ধরে বিস্তৃত এক ইতিহাসের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।

→

ক্যামেরা হাতে পেয়ে চিত্রনিভা প্রথমেই তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের ছবি

চিত্রনিভা চৌধুরী ভারতের প্রথম প্রশিক্ষিত মহিলা শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। এমনকী তিনি শান্তিনিকেতনের প্রথম মহিলা অধ্যাপিকা হিসেবেও কাজ করেছেন। প্রতিকৃতি শিল্পে দক্ষ চিত্রনিভা প্রথম ক্যামেরা হাতে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের ছবি। সূর্যালোক পড়ে সেই ছবিগুলি নষ্ট না হলে আজ হয়তো বেশ কয়েকটি দুর্লভ ছবি আমরা পেতাম।

→

বম্বে টকিজের নেপথ্যে এক বিস্মৃত কলকাত্তাইয়া বাঙালির কথা

নিরঞ্জন পাল। বিপিনচন্দ্র পালের পুত্র। স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ার পর প্রাণের আশঙ্কায় তাঁকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেন তাঁর বাবা। সেখানে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আলাপ হয় বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ভাই সুখসাগর দত্তের সঙ্গে। ডাক্তারি ছেড়ে নাটক, এবং আরও পরে সিনেমা, বম্বে টকিজ। সে এক স্বপ্নের যাত্রা!

→

মাতালকে ঈশ্বর বারবার বেনিফিট অফ ডাউট দেন না

একবার শাশুড়ি ঠাকরুন তাঁর মেয়েকে নিয়ে তাঁর বোনের বাড়ি গিয়েছেন, আর সেটা উদযাপন করতে সন্ধেবেলায় শ্বশুরমশাই আর আমি বৃদ্ধ সাধুর ভজনায় মেতেছি। নেশা একটু বাড়তেই তাঁর দুঃখে সান্ত্বনা দিয়ে বললুম, ‘আপনার বিয়ে করাই ঠিক হয়নি। তাহলে আপনারও বউ থাকত না, আমারও বউ থাকত না।’ তারপর?

→

গত ২০ বছরে নস্টালজিয়ার এত বাড়বাড়ন্ত কেন?

কমবয়সি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় আমার মনে হচ্ছিল– এরা যখন একা, এক্কেবারে একা নিজের কথা লিখতে বলতে চাইছে, এদের সদ্য পেরিয়ে আসা সময়টাকেই মনে হচ্ছে একমাত্র আশ্রয়। বর্তমান বা ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, প্রতিদিনের নতুন অভিজ্ঞতা নয়, গতদিনের কিছু মায়া জড়িয়ে যাচ্ছে তাদের কথায়।

→

মহাকালের চিত্রনাট্যে ক্রমেই বাদ পড়ছে ঋত্বিক ঘটকের স্বপ্ন

বিখণ্ডিত বাঙালি জাতির জন্য কি মিলনান্তিকতা আশা করেছিলেন ঋত্বিক? ‘কোমল গান্ধার’-এ অবুঝ অনসূয়া তো শুরুতে চেষ্টা করেছিল দুই দল একসঙ্গে একটা প্রোডাকশনের ব্যবস্থা করতে, ঋত্বিকের নিজের চিত্রনাট্যেই কি তার পরিণতি শুভ হয়েছিল। মহাকাল যে আরও নির্মম এক চিত্রনাট্যকার।

→