শান্ত অবস্থা থেকে উত্তেজিত হয়ে পড়া কিংবা হঠাৎ আনন্দ পাওয়ার যে অভিব্যক্তি– তাতেও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং এক সুতোও অতি অভিনয় না-করা মানুষ। হাতে একটি কাজ করতে করতে কারও সঙ্গে গপ্প করা কিংবা খাবার খেতে খেতে কথা বলার দৃশ্য তিনি এত ভালো করতেন যে, মনেই হত না পর্দায় কারও অভিনয় দেখছি।
বাঙালির চিন্তাচেতনার ক্ষেত্রটি কি সংকুচিত হতে হতে ক্রমশ এক গোয়ালঘরে পরিণত হয়েছে?
'বাংলাদেশ' মানে যেমন আমার জন্মভূমি, তেমনই 'বাংলাদেশ' মানে এক অনন্ত গ্রাম। তার সবুজ ভূখণ্ড। গহিন জঙ্গল। এক মস্ত বড় দিঘি। এক ছোট নদী। আর হামিদ চাচা। তার ফেরেশতার মতো একবুক সাদা দাড়ি। সরল হাসি। বিশ্বাসী চোখ। বলেছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
আমরা যারা প্রায়ই সিনেমাকে ঘিরে বাঁচতে বাঁচতে দূরে সরে যাই সিনেমার থেকে, সিনেমা আমাদের কাছে অনেক সময়ই ‘হিট’, ‘ফ্লপ’, ‘লাইন’ আর ‘ইন্ডাস্ট্রি’র দাঁড়িপাল্লায় ওঠানামা করে, সিনেমা যখন আমাদের কাছে অনেকটা অভিমান আর লড়াইও, তখন বসন্তের উদাসী সন্ধ্যায়, দীর্ঘদেহী, আশির দোরগোড়ায় দাঁড়ানো মায়েস্ত্র বলে ওঠেন ‘সিনেমা পবিত্র’।
টেবিল বাজিয়ে, খালি গলায় গান গেয়েছিলেন। ইন্টারল্যুড, হারমনি– সবই খালি গলায়! দর্শকদের মাত করে দিয়েছিলেন। বাকিটা ইতিহাস। বেশ কয়েক দশক কেটে গেল প্রতুলদার গানের। প্রচুর শ্রোতাও পেলেন। উজ্জীবিত করে রেখেছিলেন তাঁর শ্রোতাদের।
শুরু হল রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন কলাম ‘বারবেলা’। আজ প্রথম কিস্তিতে ঘুরে দেখা ‘ব্রডওয়ে’-কে।
আমরা ঘিরে আছি শোকতপ্ত অশ্রুসজল স্ট্যাচুর মতো, প্রতুলদা এসে গান ধরলেন ‘জন্মিলে মরিতে হবে রে, জানে তো সবাই, তবু মরণে মরণে অনেক ফারাক আছে ভাই। সব মরণ নয় সমান।’ সব কনভেনশন ভেঙে তিনি গাইছেন আর বাবাকে ঘিরে নাচছেন। খুব বিস্মিত হয়েছিলাম।
তলিয়ে দেখলে এখন বুঝতে পারি, যে সরস্বতীর চেয়ে হাঁসটাকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়েই যত বিপত্তি। চিন্তার চেয়ে চিন্তার বাহন ভাষাটাকে নিয়ে আমাদের এই বেশি মরি মরি ভাবটাই যত নষ্টের গোড়া।
আপনার অসামান্য গানগুলো নিরাপদেই আছে, আমাদের বুকে বুকে, স্লোগানে স্লোগানে, মিছিলে মিছিলে, লাল টুকটুকে স্বপ্নগুলোতে, আর চোখের পানিতে!
প্রথম আলাপে আমাকে প্রতুলদা বলেছিল, তুমি ‘ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা’ বললে কেন? আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেছিলাম, একটু আমতা করতে করতেই, বললেন, তোমার ‘ঘুম পেয়েছে অফিস যা’ বলা উচিত ছিল।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved