আমি যদি এ জীবনে একজনও প্রকৃত নিরীক্ষামনস্ক নাগরিক মধ্যবিত্ত বাংলাভাষী সংগীতকার দেখে থাকি– তিনি প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ওঁর চেয়ে নিরীক্ষামনস্ক কেউ কোনও দিনই আসেননি। ওঁর ধারে-কাছে আমি তো নেই, কেউ-ই নেই।
‘অপরাধী’ কখনওই একজন কি? প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ-সহ লিঙ্গ-হিংসাজনিত যে কোনও ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধন জোগানো, হিংসার শিকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোয় অনীহা, প্রতিষ্ঠানের মান বাঁচানোর জন্য অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া, চুপ করিয়ে রাখার নরম-গরম হুমকি– এসব কি আমাদের অচেনা? অপরাধীকে আড়াল করাই কি দস্তুর নয়?
সার্থক ভালোবাসা কোনও জাতি-ধর্ম মানে না, তা তারা প্রমাণ করতে পেরেছে। চার বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে এক নির্ভেজাল ভালোবাসার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে আনন্দে, সুখে দিন কাটাচ্ছে।
ভালোবাসার কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই, মুহূর্ত নেই; লিঙ্গ নেই, লিঙ্গ ভেদও নেই। ভালোবাসায় কোনও অস্বাভাবিক নেই, বিকৃতি নেই। এই মর্মেই বড় হোক আমার অনেক অনেক হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলারা।
আমরা চিরকাল আমাদের স্বেচ্ছাবৃত্ত অজ্ঞতা দিয়ে অন্য ধর্মের মানুষদের দূরে সরিয়ে রেখেছি। সেখান থেকে তৈরি হয়েছে অবিশ্বাস আর তারপর বেড়েছে দূরত্ব। আর এই দূরত্বের ফোকর গলে ঢুকে পড়েছে ঘৃণা ও বিদ্বেষ।
খোদ কলকাতা শহরের পার্কে বা সিনেমা হলের দরজার সামনে প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী যুগলদের দেখলে যেখানে কটূক্তির বন্যা বয়ে আসে, সেখানে গ্রাম্য পরিবেশে বা মফসসল এলাকার চিত্র যে অতীব ভয়ংকর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি। ৩৯ বছর আগে জিয়ার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ইকবাল বানো নিষিদ্ধ কালো শাড়ি পরে মঞ্চে ওঠেন, ৫০,০০০ মানুষের সামনে গান ‘হাম দেখেঙ্গে’। রাতারাতি নিষিদ্ধ হন তিনি। তাতে কী? ততক্ষণে জেগে উঠেছে জনতা। রাষ্ট্রের নজরদারি এড়িয়ে সেই গানের রেকর্ডিং মুহূর্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই সিনেমাটি শ্রীলেখা মিত্রের সিনেমা, ফলে তাঁকে নিয়ে যা কিছুই বলা হবে, কম বলা হবে। শ্রীলেখা এক ভবিষ্যৎহীন, থেমে যাওয়া, ক্লান্ত কলকাতার আত্মা হয়ে উঠেছেন যেন।
কলকাতার মূর্তি চর্চায় এমন ধারা একেবারেই নতুন। রানির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়, সেই উজ্জলতার আলোয় আলোকিত হন ভিক্টোরিয়া অনুরাগী গৃহকর্তাও।
সম্প্রতি যোধপুর পার্কে প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষের ওপর পাড়া-প্রতিবেশীর আক্রমণ। হেলমেট দিয়ে মেরে, মাটিতে ফেলে ধর্ষণের হুমকি। কোনও বচসার সময় যৌন সম্পর্কিত গালাগাল হচ্ছে তীব্রতম আক্রমণ, এবং ট্রান্স কুইয়ার সম্প্রদায়ের প্রতি এই আক্রমণের উদ্দেশ্য তাঁদের অন্যরকম যৌনতাকে অস্বাভাবিক, অসুস্থ প্রমাণ করা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved