এই ছবির যে কেন্দ্রীয় চরিত্র, সেই নধর সমসময়ে থাকে না, সে থাকে অনন্ত সময়ে, অসীম চরাচরে এবং চিরায়ত আকাশের নিচে। তার অভিজ্ঞতাকে কিছুটাও স্পর্শ করতে হলে আপনাকে সময় ও পরিসরের সেই বৃহত্তরের অবলম্বন পেতে হবে।
তথাকথিত অতিশিক্ষিত যুক্তিবাদী অভিভাবকদের থেকে কয়েক ধাপ উঁচুতে উঠে গিয়েছেন রিচার বাবা-মা। এমন বহু পরিবার দেখেছি যেখানে বাইরের লোক নয়, তারাই মেয়েদের পছন্দের কাজটি অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেয়।
প্রাচীন ভারতবর্ষে সবচেয়ে জনপ্রিয় লোক উৎসব অর্থাৎ ‘মহামহ’ পরব ছিল চারটি– ইন্দ্রমহ, স্কন্দমহ, যক্ষমহ এবং ভূতমহ। প্রাকৃত ‘মহ’ শব্দ থেকে একালের ‘মেলা’ কথাটি এসেছে। ভূতমহ পালিত হত চৈত্র পূর্ণিমায়। ভূতমহ লুপ্ত হলেও, এখনও ভূত বা রাক্ষস-রাক্ষসীর পুজো হয় বাংলার বিভিন্ন স্থানে।
বন জঙ্গলের মধ্যেই রাসযাত্রা সূচনা। সেখানে পশু, পাখি, জলজ প্রাণী, ফল-সহ জীববৈচিত্রের এক অপরূপ নিদর্শন লক্ষ করা যায়। জীববৈচিত্রের সেই মহৎ ঐক্যই শোলার পুতুলের প্রতীকী হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকার পাশে বিরাজ করছে।
ভারতে তথ্যচিত্র নির্মাণের আদি যুগের ক্যামেরাম্যান, পরিচালক ও প্রযোজক ফলি বিলিমোরিয়া– ভারতে তথ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রসারের একজন পুরোধা-পুরুষ তিনি। তাঁর সৌজন্যেই সাড়ে পাঁচ দশক আগে প্রথম কোনও ভারতীয় তথ্যচিত্র পা রেখেছিল অস্কারের আর্ন্তজাতিক আঙিনায়।
আগামী ১০ তারিখ বুকার পুরস্কারের ঘোষণা। কিরণ দেশাইয়ের সাম্প্রতিকতম বইটি কি বুকার পেতে পারে?
কোচবিহারের খাইরুল শেখের তাঁর নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে যাওয়ার ভয় যে গ্রাস করেছিল তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এই ভয়ের কোনও নাম কি মনস্ত্বত্ত্ববিদেরা এখনও দিতে পেরেছেন? রাষ্ট্র কি তা মেনে নিয়েছে? তাহলে এই ভয়ের প্রতিকার কী?
১৯৩৯-এ উদীচি তৈরি হয়। কিন্তু এই সময় সেঁজুতি বই প্রকাশিত হল। ফলে বাড়ির নাম ঠিক হল ‘সেঁজুতি’। রবীন্দ্রনাথ মজা করে রাণী চন্দকে বলেছিলেন, ‘এক-একটা বইয়ের সঙ্গে এক-একটা বাড়ি; বিশ্বভারতী ফতুর হয়ে যাবে, কি বলিস?’
একসময় পাবলো পিকাসোও নাকি তাঁর মেয়ের মল দিয়ে ছবি এঁকেছেন। শিল্পীর উজ্জ্বল বাদামি রঙের সে এক রহস্য। পেজ সিক্সের রিপোর্ট অনুসারে, ‘পু-ক্যাসো’ সম্পর্কে খবরটি শিল্পীর নাতনি ডায়ানা উইডমায়ার পিকাসোর কাছ থেকে এসেছে এবং এটা ছিল অনেকদিনের পারিবারিক গোপনীয়তা। ১৯৩৮ সালের স্টিল-লাইফ সিরিজে ওঁর সেইসব ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।
এগজিবিশনের ব্যাপারটায় যে আভিজাত্য, প্রকাশই তা প্রথম ভাঙল। চারুশিল্পর ক্ষেত্রে শিল্পীর অন্তর্দৃষ্টি সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরের কিছু, সেটাও বোধহয় সে মানতে চায়নি। সেই কারণেই তো বলেছিল, তার আর্ট জনগণের আর্ট, ফুটপাতও তাদের সামনে আর্টকে তুলে ধরার উপযুক্ত স্থান হতে পারে এবং শিল্পী সমাজের তথাকথিত আভিজাত্যের লক্ষণে আঘাত করতে চায়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved