চালচলন দেখে খুব বুঝতে পারি, শরীর সঙ্গ দিচ্ছে না আর। মস্তিষ্কের সঙ্গে পেশির সামঞ্জস্য ক্ষীণ হচ্ছে। যে কারণে মিস হয়ে যায় পেনাল্টি। ফ্রি-কিকে ধার কমে আসে। ড্রিবলও হয় না তেমন। তবু সেই ট্রেম্বলিং টিনেজার ছুটতে থাকেন!
আইপিএল নিয়ে এই চরম উন্মাদনা কি স্বাভাবিক ক্রিকেট-প্রেম থেকে উদ্ভুত, না কি তা স্রেফ গ্ল্যামার-জগৎ আর অতিরিক্ত হাইপের যৌথতায় নির্মিত এক কৃত্রিম উত্তেজনা, যা বুদবুদের মতো সৃষ্টি হয়ে এক সাময়িক গণ-হিস্টিরিয়া তৈরি করে?
টাইমস অফ ইন্ডিয়া ছেড়ে ‘সানডে অবজার্ভার’-এ যোগ দিলেন প্রীতীশদা। কাগজকে পপুলার করার জন্য উনি জুড়ে দিলেন সিনেমা বিভাগ। আমাকেও সঙ্গে জড়িয়ে নিলেন। দিলেন পুরো ব্রড সিটের একটা ফুল পেজ, যেখানে ফিল্মস্টারদের মুখ আঁকতে হবে। কাগজ যেমন পপুলার হল, আমিও তেমনই পপুলার হয়ে গেলাম মুম্বইয়ে।
টেলিগ্রামের ভাষাটা ছোট করতে হত। কারণ প্রতিটি শব্দের জন্য পয়সা দিতে হত। এমনকী, কমা ফুলস্টপের জন্যও। নবনীতা দেবসেনের দশম বিবাহবার্ষিকীতে অর্মত্য সেন বিদেশ থেকে নবনীতাকে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন– ‘ট্রিট দিস পেপার অ্যাজ ফ্লাওয়ার।’
কোথায় আমেরিকায় সেই আম-সংস্কৃতি! কোথায় আমেরিকায় আমের বাজারে সেই স্বাদ-গন্ধ-রং তরিবত? ওইগুলো আম না আমের মড়া?
‘রবীন্দ্র-চিত্রকলা: রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা’ বইটির একটি জাপানি অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছিল। একটি চিঠিতে সোমেন্দ্রনাথ আমাকে জানিয়েছিলেন সেই কথা, যে, Sea Mail-এ নাকি সেই বই আসছে। এলে আমার জন্যও একটি কপি থাকবে। সে-বই নিশ্চয়ই ট্যাংরা এলাকার পাগলাডাঙায় আমাদের লাইব্রেরিতে খুঁজলে পাওয়া যাবে।
পুরনো টলিপাড়ার অভিনেতাগণ দলে-দলে আসতেন এক কালে। নৃপতি চট্টোপাধ্যায়। বসন্ত চৌধুরী। অনিল চট্টোপাধ্যায়। ছবি বিশ্বাসকেও নাকি দেখা যেত মাঝে-সাঝে। আর আসতেন ঋত্বিক ঘটক। কলকাতায় থাকলে, প্রায়ই।
ভাগ্যের নামে জীবন চালায় যারা তাদের জন্য চোখের নাচন একটি সিরিয়াস ব্যাপার, নির্ভেজাল পয়া আর অপয়ার গল্প।
খাটের তলায় বিছানো আম আর প্রতি রাতে জলে ভেজানো আম চলত বৈশাখের শেষ থেকে জৈষ্ঠ্যের শেষ অবধি। সকালে টিউশন পড়তে যাওয়ার আগে চারপিস আম দিয়ে মুড়ি। পড়ে এসে পুকুরে চান করতে গিয়ে দু’পিস। গায়ে আমের রস পরলে স্যাটাস্যাট ধুয়ে ফেল। একে বলে একশোভাগ চ্যাটচ্যাট-মুক্ত আম খাওয়া।
শিল্পের আধুনিকতার এই ইতিহাস সকলেরই জানা। যেমন বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি অনুসন্ধিৎসু পাঠক জানেন আরণ্যকের সত্যচরণকে। এই লেখা, বলা যেতে পারে এক বাঙালি পাঠকের সমান্তরাল পাঠ প্রক্রিয়ার ফসল, যেখানে গগ্যাঁর দেওয়া তাহিতির বর্ণনায় অবধারিতভাবেই বারবার ফিরে ফিরে আসেন বিভূতিভূষণ।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved