বিনা বেতনের গৃহস্থালির কাজে সময় ব্যয় করে ২৮৮ মিনিট, পুরুষরা সেখানে ব্যয় করে ৮৮ মিনিট! অন্বিতার রান্না করে রেখে যাওয়া ভাত তাঁর স্বামী খেতে পেরেছে কি না জানি না, তবে আমাদের রক্ত চুষে দিব্যি ফুলে ফেঁপে বাড়ছে পুঁজি আর পিতৃতন্ত্র।
মোমবাতির নিভু নিভু শিখায় বড় ফ্রেমের চশমার সেই মানুষটিকে প্রথমবার দেখা। নাম– শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
পাড়-বাঁধ দিয়ে প্লাবনভূমিতে বন্যার জল ঢুকতে না পারায় নদীখাত অগভীর হচ্ছে। বন্যার জল ধরার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে নদীর।
আমি বলি, ‘হ্যাঁ, নামটা তো মনে আছে হুল্লা।’ আর মনে মনে বলি, এই নামটার সঙ্গে মিশে আছে হজমিওলা, কারেন্ট নুন, সব পেয়েছির আসর, উত্তরা-পূরবী-উজ্জ্বলা, দো-কা চার, ঘুড়ির মাঞ্জা, মাটির বেহালা...’
আজকের 'স্বচ্ছ ভারত' অভিযানের আদি প্রতীক মা শীতলা। পুজো মিটলেও তাঁকে চোখে হারাতে চাই না আমরা। তাই পুকুর-নদী-ঘাটের গাছতলায় ঠাঁই হয় ঠাকুরের। রোদবৃষ্টির ছোঁয়ায় অর্ধগলিত প্রতিমার শব ওই গাধাই পিঠে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
কৃষিকাজ শুরুর পর থেকেই শুরু হল ভূমির ওপর মানুষের অধিকার কায়েম করবার প্রয়াস, ব্যক্তিগত বা যূথবদ্ধ লড়াই। সেই লড়াই, চলেছে তো চলেছেই।
শান্তিনিকেতন কবিতা লেখার জায়গাই নয়। শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে বাংলা বিভাগে পড়াতেন যখন, বলেছিলেন একথা। সে নিয়ে নানা উষ্মাও তৈরি হয়েছিল। এই লেখা অধ্যাপক শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শান্তিনিকেতন পর্ব। কবির মৃত্যুদিনে রোববার.ইন-এর প্রণতি।
স্বাধীন দেশে যেন ফিরে এসেছে একদা উপনিবেশ সংস্কৃতি। এ দেশের যাবতীয় প্রাকৃতিক ও ভূসম্পদ ব্যবহার করে বিদেশে রফতানি করে শোষণের যে নীতি গ্রহণ করেছিল ঔপনিবেশিক শক্তি, স্বাধীন দেশে স্বাধীন জনসমাজের চোখের সামনে তার প্রাকৃতিক সম্পদকে একইভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। লক্ষ্য অবশ্যই উন্নয়ন। ভারতের উন্নয়ন।
বিশ্ব কবিতা দিবসে, বুদ্ধদেব বসুর লেখা অপ্রকাশিত চিঠি রইল রোববার.ইন-এর পাঠকদের জন্য। চিঠিটি ১৯৫৬ সালের, ১৮ অক্টোবর লেখা। লিখেছিলেন তরুণ কবি সুনীল বসুকে।
ঠাকুর বলছেন, মানুষকে প্রথমে বুঝতে হবে যে সংসার অত্যন্ত গোলমেলে জায়গা। সংসার হল বিদেশ। সেখানে বিদেশির বেশে ভ্রমে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যেন অকারণেই। স্বদেশ হচ্ছে আমার চৈতন্য। আমার আত্মা। সেখানেই আমি স্থিত হতে পারলে আমার শান্তি। তবেই মুক্তি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved