‘‘আপনার নিজস্ব কোনও চারচাকা বাহন নেই কেন প্রফুল্লদা? এতগুলো বই, রমরম করে লোকে কিনছে। ‘এখানে পিঞ্জর’– কতগুলো সংস্করণ হয়ে গেল।’’ প্রফুল্লদা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘ওরা দেয়। কিন্তু বেশিরভাগই মেরে দেয় টাকা। উল্টোপাল্টা যা হোক হিসেব দেয়। মেরে কেটে গোটা তিনেক পাবলিশার অনেস্ট, বাকিরা সব আলু-পটলের কারবারি।’’
উৎপল দত্তকে নিয়ে তথ্যচিত্র, কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার অর্থসাহায্য করল না! বিস্মিত হয়েছিলাম। কিন্তু বিস্মিত হননি উৎপল দত্ত। উৎপলদা বললেন, ‘ওরা করবে না। ট্রটস্কি আর চারু মজুমদারকে এখনও ভুলতে পারেনি।’ তখন বুঝিনি। ছবিটা করতে গিয়ে পরিষ্কার হল।
আমাদের কবি, আমাদের নাট্যকর্মী, আমাদের লেখক, আমাদের অভিনেতা– সবাই যে যেখানে আছে, রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হবে, বলে দেবে, আজও বেঁচে আছে।
তিনি অভিনেতা হিসেবে সবসময় পার্শ্ব কিন্তু তীক্ষ্ণ। প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাধারণের, কিন্তু প্রতিনিধিত্ব করেছেন অসাধারণ। তিনি টলেছেন কম, টলিয়েছেন বেশি। ভারতীয় সিনেমায় তিনি একটা যুগ, যেখানে ক্ষুদ্র ভূমিকা তুচ্ছতার সঙ্গে পরিকল্পিত হত না।
“ছোটবেলায় উৎপল দত্তের সঙ্গে আইপিটিএ-তে দেখা হয়েছিল।... ঋত্বিক ঘটকের সিনেমা বিদেশে দেখানোর জন্য সফদর প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন।... আমার পরিচয় শুধু ‘সফদর হাশমির স্ত্রী’ হিসেবেই নয়, আমি আমার মায়ের মেয়েও!... জাভেদ আখতারের ভাষণ শুনে সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ‘আমাকে কেন ডাকলেন?’... সিনেমা করার ব্যাপারে সফদরের প্রচণ্ড ইচ্ছে ছিল।... হাবিব তনবিরের মতো মানুষ খুবই কম।...” মলয়শ্রী হাশমির সাক্ষাৎকারের শেষ পর্ব।
মানিকদার নাম করে এক পেয়ালা চা যদি সন্ধের দোকানে কেউ খাইয়ে দেয়, তাহলে মানিকদার তো কোনও ক্ষতি হচ্ছে না।
উৎপল দত্তের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved