E-Robbar
এরকম কত! গলিতে গলিতে গুপ্ত গল্প।
স্বপ্নময় চক্রবর্তী ও
এমন সময় একজন প্রৌঢ় ভদ্রলোক আমাকে বললেন, ‘নতুন জয়েন করেছ বুঝি? বেশ। ইয়ংম্যান, ছয়টার পরে এসো।’ জানতে পারলাম, উনি আমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন ডিরেক্টর। ছ’টার পর যেতে বলেছেন। পাঁচটায় ছুটি হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টা খানেক এধার-ওধার ঘোরাঘুরি করে ছ’টার পর ওঁর চেম্বারে গিয়ে দেখি কেউ নেই। তারপর দিনও তাই। বস বলেছেন, অথচ তিনি নেই, ভুলে গেলেন?
আমি বলি, ‘হ্যাঁ, নামটা তো মনে আছে হুল্লা।’ আর মনে মনে বলি, এই নামটার সঙ্গে মিশে আছে হজমিওলা, কারেন্ট নুন, সব পেয়েছির আসর, উত্তরা-পূরবী-উজ্জ্বলা, দো-কা চার, ঘুড়ির মাঞ্জা, মাটির বেহালা...’
এখন মাল্টিপ্লেক্সে শো-এর কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই, অফিসেরও যেমন নেই কোনও নির্দিষ্ট সময়!
বসন্তের দখিনা বাতাস শুরু হতেই মাথায় ঝুড়ি, কিংবা টিনের বাক্স পিঠে ফেরিওয়ালাদের আগমন হত। সুরেলা স্বরে ‘মা-লাই বরওফ’। মালাই বরফওয়ালাদের বাক্সে একটু সিদ্ধির মণ্ডও থাকত। একটু বয়স্করা মৃদুস্বরে বলত সবুজটা মিশিয়ে দিও।