বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় হচ্ছিল আমাদের গণমানুষের ইতিহাস আর বর্তমানের সঙ্গে, তাদের গণকবর থেকে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ আমাকে শেখাতে থাকে, দেখাতে থাকে এই দুনিয়ার দোজখ কেমন।
কেউ কেউ বলে শ্মশানের থেকে পবিত্র জায়গা আর হয় না। কিন্তু পোড়া কাঠ, ভাঙা মাটির হাঁড়ি, ছেঁড়া কাপড় মিলিয়ে যে আবহ তৈরি হয় তাকে কখনও আমার ‘পবিত্র’ বলে মনে হয়নি। গা-শিরশির কমেনি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্মশানযাত্রা যখন শ্মশানে এসে পৌঁছয়, তখন আরও একটি মৃত্যু যন্ত্রণার কথা সেদিনের শ্মশানের বাতাসে মিশে গিয়েছিল।
প্রতিটি গ্রামে নিজস্ব শ্মশান আছে। সেই শ্মশানের মোটামুটি দু’টি ভাগ; একটি ব্যক্তিগত। অপরটি 'সাজারে' বা সর্বজনীন। ব্যক্তিগত শ্মশানে নির্দিষ্ট বংশ পরম্পরায় দাহ করা নিয়ম। সাজারে শ্মশানে গ্রামের সব শ্রেণির অধিকার।
একমাত্র শ্মশানে গেলেই এই ধরনের বৈরাগ্য সাময়িকভাবে মানুষের ওপর চেপে বসে। কিন্তু এরাই বাড়ি ফিরে গেলে পরপর দু’দিন যদি প্রাতঃকৃত্যের সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে তখন এরা ওই শ্মশানে যাওয়াটাকেই দায়ী করবে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved