Robbar

মৃণালিনী দেবী যদি আশ্রমমাতা, আশ্রমের সকলের বউঠান প্রতিমা দেবী

ছুটির দিনে তাই মৃণালিনী দেবী নিজের হাতে রেঁধে পুত্র-সহ আশ্রমের ছাত্রদের খাইয়ে তিনি পরিতৃপ্তি বোধ করতেন। শিক্ষাপ্রণালী ও পল্লি পুনর্গঠন নিয়ে রবীন্দ্রনাথের যে চিন্তা তথা পরীক্ষানিরীক্ষার বিপুল জাহাজ বয়ে চলছিল, তার হাল যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে ধরে বসেছিলেন– বলা যায়, তাঁদের প্রধান ছিলেন আশ্রমলক্ষ্মী প্রতিমা।

→

রানী চন্দকে না পেলে পরবর্তী প্রজন্ম শান্তিনিকেতনকে অনেকখানি হারাত

আশ্রমকন্যার এই পর্বে রানী চন্দ ও শ্যামলী খাস্তগীর। অবনীন্দ্রনাথ এবং নন্দলালের শুধু অঙ্কন প্রণালীই নয়, আঁকা শেখানোর পদ্ধতিটাও লিপিবদ্ধ করেছেন রানী। শ্যামলী তাঁর সারা জীবন দিয়ে নানাভাবে শান্তিনিকেতনের আশ্রমের শিক্ষাকে সর্বত্র প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছেন এবং ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।

→

যেসব আশ্রমকন্যা গুরুদেবের গান কেবল সুকণ্ঠে নেননি, ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়

শান্তিনিকেতনের সবার গলায় গান, সবার কানে সুর। রবীন্দ্রনাথ থাকবেন– অথচ সেখানে আশ্রমকন্যাদের গানের কথা থাকবে না!

→

জাপান-বিরোধী ব্রিটিশ সরকার যখন ইতেকো-কে সন্দেহ করেছিল, তখন রথীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ও আমার ঘরের মেয়ে

আশ্রমজীবনকে বিদেশিরা সহজেই আপন করে নিতেন। রবীন্দ্রনাথের বিশেষ নজর ছিল তাঁদের প্রতি। রানী চন্দকে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘কত বিদেশি আসে এখানে নিজের ঘর ছেড়ে। দেখিস তারা যেন সেটি অনুভব না করে। আশ্রমে যেন তারা ঘর পায়।’

→

অমিতা সেন-সহ বহু আশ্রমকন্যা ছিলেন যুযুৎসু পারদর্শী, কিন্তু ‘ন্যাকা’ উপাধিতে চাপা পড়ে গেছে তাঁদের ধীর-স্থির প্রতিরোধ

আশ্রমে মেলার মাঠে যুযুৎসু দেখে রানী চন্দ তাঁর অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। 'মনে হল যেন আমাদের একটা রুদ্ধ দিক খুলে গেল– যেখানে অজস্র আলো অবাধ হাওয়া। যেখানে দিন নাই রাত্রি নাই– খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে এই যে আমি আছি, ভয় নেই কারুর।'

→

নটীর পূজায় গৌরী ভঞ্জের নৃত্যে মুগ্ধ অবনীন্দ্রনাথ বকশিস দিয়েছিলেন পরনের জোব্বা

গৌরী ও যমুনা– দুই আশ্রমকন্যা চিরদিন শান্তিনিকেতনে থেকেছেন। তাঁরা যেমন শান্তিনিকেতন থেকে নিয়েছেন, তেমনই তাঁদের সবটুকু শিক্ষা পরবর্তী শিক্ষার্থীদের উজাড় করে দিয়েছেন।

→

শান্তিনিকেতনের আলপনা বঙ্গসংস্কৃতিতে চিরস্থায়ী যে ক’জন আশ্রমকন্যার দরুন, তাঁদের প্রথমেই থাকবেন সুকুমারী দেবী

রবীন্দ্রনাথ তাঁর আশ্রমবিদ্যালয়ের আশ্রমকন্যাদের অগাধ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সেখানে আলাদা করে কোনও প্রহরী রাখতেও দেননি। মেয়েদের স্বাধীন সত্তাকে এতটাই মূল্য দিতেন তিনি। তাই চিত্রনিভার স্কেচ করতে যাওয়ার জন্য তিনি কোনও সীমানা নির্দেশ করেননি, ছবি আঁকার জন্য তিনি যতদূর খুশি যেতে পারতেন।

→