কেন এতগুলো স্বপ্নের নায়িকা বেশ ধীরেসুস্থে হাসিমুখে বুড়িয়ে যাবেন না? আমার মতো একটি বিসমকামী পুরুষের হয়ে ওঠা মনকে এঁরাই জানিয়ে গেলেন যে আকর্ষণীয় নারীর প্রতিকৃতিটা কেমন, এবং সেই ছবির উল্টোদিকে থাকে কীরকম বিভীষিকা!
সেই সময়ের ফেমিনিস্ট ফিল্ম ক্রিটিকদের দেখার চোখ ছিল আরও ক্ষুরধার। এইরকম সমালোচকদের অত্যন্ত প্রিয় জঁর ছিল ফিল্ম নোয়া, এবং প্রিয় চরিত্র ছিল এই ‘ফাম ফাতাল’। কারণ এই চরিত্রের পিছনে তাঁরা দেখতে পেতেন সমকালীন পুরুষদের অ্যাংজাইটি এবং সমকালীন নারীদের স্বাধীনতার ডিজায়ার।
স্রেফ ফেলুদাকে মেয়ে বানিয়ে দিলেই পলিটিকালি কারেক্ট ট্রেন্ডিং নতুন গোয়েন্দা তৈরি হয় না। তাতে ‘দৃষ্টি’-টা তেমন পাল্টায় না। ‘ছোটলোক’-এর সাবিত্রী মণ্ডল নিজে যেমন মফসসলি আটপৌরে, তেমনই সে তার পরিবারকে সমাজের তামসিকতা থেকে আগলে রাখে, এটাই ভিন্ন মাত্রাটা নিয়ে আসে। কিন্তু সাবিত্রী মণ্ডল যে আবার আসবেন, তার আশ্বাসও তো আমরা পাচ্ছি না।
এই ছবিগুলি তমসাচ্ছন্ন, রূপকার্থে এবং আক্ষরিক অর্থেও। নেতিবাদ, হতাশাবাদ, নৈতিক স্খলনের গল্প ছবিগুলিকে যেমন আঁধারাচ্ছন্ন করে দিয়েছে, সেরকমই, ছবিগুলির ভিস্যুয়াল স্টাইলেও চড়া আলোর পাশে ঘন অন্ধকার একটা বুনোট তৈরি করে। তাঁরা এই গোত্রের ছবিগুলির একটি নাম দিলেন– film noir– অর্থাৎ, তমসাচ্ছন্ন ছবি।
তারান্তিনো আমাদের টিজ করছেন– যে দেখো দর্শক, এই নারী ভিক্টিম, কিন্তু সে রেসিস্ট– দর্শক, তুমি কি এর সঙ্গে আইডেন্টিফাই করবে?
জয়-বীরুর হোমোইরোটিক বন্ধনের নিদর্শন কি মার্কিনি ওয়েস্টার্নে ছিল?
নাটকের এই ক্ষণেই যে টেনশনটা তৈরি হয়, তা ওয়েস্টার্নে আগে দেখা যায়নি। ক্লান্ত উইল এখন স্ত্রীর ধর্ম অনুসরণ করে ভায়োলেন্স পরিত্যাগ করতে চান; তিনি চান দ্বৈরথে না গিয়ে যদি টাউনের সবাই মিলে ফ্র্যাংককে নিরস্ত করা সম্ভব হয়।
যে-গল্পগুলোর উপর ভিত্তি করে চারের দশক থেকে ওয়েস্টার্ন হলিউডের প্রায় প্রধান জঁর হয়ে ওঠে, সেই অনেক গল্পই কিন্তু নাগরিক পূর্বের শহরে বেড়ে ওঠা কল্পকথা। অর্থাৎ শহুরে মানুষদের সেই সুদূর জনপদের সরল অথচ নাটকীয় জীবন নিয়ে অতিরঞ্জিত কল্পনা।
আমেরিকা– অধুনা ট্রাম্পের রাজত্ব যেরকমই হুংকার দিক না কেন– শরণার্থী, অভিবাসী, পরবাসী, দেশত্যাগী, দ্বীপান্তরিতের দেশ। এই ভূখণ্ডটি এই জঁরে যাদের বলা হত ‘রেড ইন্ডিয়ান’, তাদের আদি মহাদেশ ছিল, সেইখানে বহিরাগতদের রমরমাই আমেরিকার ইতিহাস।
এরকম মানুষ যারা আসে, তাদের প্রায় প্রত্যেকেই পুরুষ। নারীরা যখন আসে কারও স্ত্রী-কন্যা-মাতা-ভগিনী হিসেবেই আসে; জিলেরও সেভাবেই এসে পৌঁছনোর কথা ছিল, কিন্তু কপালফেরে সে এখন সেই বিরল নারী, এই ওয়েস্টে যে একা, অতীত ছেড়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে এসেছে অবলম্বনহীন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved