বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যতই শতাব্দী ধরে লালিত বিশ্বাসের ভিতকে নড়িয়ে দিক না কেন, দেখাই তো যাচ্ছে তা মানবজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন, মুহুর্মুহু বিপ্লব। তো এরকম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদযাপন যে কল্পবিজ্ঞান করত, তাকে হয়তো একটু বাড়াবাড়ি করলে ইউটোপিয়ান বলাই যায়।
মেলিয়ের ছবির সময় থেকেই সিনেমার পর্দার সামনে এই বিস্ময়ে হাঁ করে তাকিয়ে থেকেছি যে, অ-বাস্তব নিজেকে মেলে ধরেছে– ঠিক যেন তা বাস্তব। সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি, হরর– এই তিনটে জঁরই অবাস্তবকে, অসম্ভবকে, কল্পিতকে বাস্তব করে তোলে। স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন, দুই-ই তাই সিনেমার খুব আপন।
হিন্দিতে হালের বিশাল হিট ‘অ্যানিমেল’-এর গল্পটি যদি খেয়াল করা যায় তা ‘গডফাদার’ প্রথম খণ্ডেরই সারাংশ। যদিও সেই গল্পটা বলতে লাগে দুই ঘণ্টা, ছবিটা ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের, বাকি সময়টা পরিচালক বরাদ্দ করেছেন তাঁর আলফা-ম্যাস্কুলিনিটি তত্ত্বকথার কাজে। 'অ্যানিমেল'-এর গল্পেও সচেতনভাবে কপোলার ছবিকে ‘ভুল বোঝা’ হয়েছে।
বি-গ্রেড প্রোডাকশনের গল্পগুলো এমন হট কচুরির মতো বিক্রি হতে লাগল, যে তৈরি হল নতুন কিছু জঁর। ফিল্ম নোয়া তো আছেই, একধরনের হরর ছবিও। এবং সেই মাফিয়াদের গল্প নিয়ে গ্যাংস্টার জঁর।
কেন এতগুলো স্বপ্নের নায়িকা বেশ ধীরেসুস্থে হাসিমুখে বুড়িয়ে যাবেন না? আমার মতো একটি বিসমকামী পুরুষের হয়ে ওঠা মনকে এঁরাই জানিয়ে গেলেন যে আকর্ষণীয় নারীর প্রতিকৃতিটা কেমন, এবং সেই ছবির উল্টোদিকে থাকে কীরকম বিভীষিকা!
সেই সময়ের ফেমিনিস্ট ফিল্ম ক্রিটিকদের দেখার চোখ ছিল আরও ক্ষুরধার। এইরকম সমালোচকদের অত্যন্ত প্রিয় জঁর ছিল ফিল্ম নোয়া, এবং প্রিয় চরিত্র ছিল এই ‘ফাম ফাতাল’। কারণ এই চরিত্রের পিছনে তাঁরা দেখতে পেতেন সমকালীন পুরুষদের অ্যাংজাইটি এবং সমকালীন নারীদের স্বাধীনতার ডিজায়ার।
স্রেফ ফেলুদাকে মেয়ে বানিয়ে দিলেই পলিটিকালি কারেক্ট ট্রেন্ডিং নতুন গোয়েন্দা তৈরি হয় না। তাতে ‘দৃষ্টি’-টা তেমন পাল্টায় না। ‘ছোটলোক’-এর সাবিত্রী মণ্ডল নিজে যেমন মফসসলি আটপৌরে, তেমনই সে তার পরিবারকে সমাজের তামসিকতা থেকে আগলে রাখে, এটাই ভিন্ন মাত্রাটা নিয়ে আসে। কিন্তু সাবিত্রী মণ্ডল যে আবার আসবেন, তার আশ্বাসও তো আমরা পাচ্ছি না।
এই ছবিগুলি তমসাচ্ছন্ন, রূপকার্থে এবং আক্ষরিক অর্থেও। নেতিবাদ, হতাশাবাদ, নৈতিক স্খলনের গল্প ছবিগুলিকে যেমন আঁধারাচ্ছন্ন করে দিয়েছে, সেরকমই, ছবিগুলির ভিস্যুয়াল স্টাইলেও চড়া আলোর পাশে ঘন অন্ধকার একটা বুনোট তৈরি করে। তাঁরা এই গোত্রের ছবিগুলির একটি নাম দিলেন– film noir– অর্থাৎ, তমসাচ্ছন্ন ছবি।
তারান্তিনো আমাদের টিজ করছেন– যে দেখো দর্শক, এই নারী ভিক্টিম, কিন্তু সে রেসিস্ট– দর্শক, তুমি কি এর সঙ্গে আইডেন্টিফাই করবে?
জয়-বীরুর হোমোইরোটিক বন্ধনের নিদর্শন কি মার্কিনি ওয়েস্টার্নে ছিল?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved