Robbar

রাশিয়া আছে, জার পিয়োত্‌র ঐতিহ্য আর লেনিনের উত্তরাধিকার নিয়ে

আজকের পুঁজিতান্ত্রিক রাশিয়ার সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের কোনও কোনও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস চলছে তাকে সমাজতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াস বলে চালানো ঠিক হবে না। সমাজতন্ত্র থেকে পাঠ নিতে তার কোনও কোনও সুকৃতিকে কাজে লাগিয়ে গরিবগুর্বোদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তথাকথিত ‘জনকল্যাণ মূলক’ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ভিত শক্ত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।

→

রুশ সাহিত্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে পেতের্বুর্গ শহরের গৌরব ও দুর্ভাগ্যের ছবি

রুশ বিপ্লবের বর্বরতা নিয়ে এই যে এত প্রশ্ন উঠছে ফরাসি বিপ্লবের নৃশংসতা, বর্বরতা তার চেয়ে, কোনও অংশে কম ছিল কি? কিন্তু কোথায়, তা নিয়ে তো এত প্রশ্ন তাদের দেশে বা বিদেশে কোথাও কখনও ওঠেনি? নাকি সে বিপ্লব রুশ বিপ্লবের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বলে?

→

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে সোভিয়েত ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক সৌভ্রাত্রের খাতিরেও ‘বিশ্বযুদ্ধ’ আখ্যা দেয়নি

যদিও এটাও ঠিক যে, মিত্রশক্তি যুদ্ধের গোড়া থেকেও সোভিয়েত ইউনিয়নকে একঘরে করে রেখে দিয়েছিল।

→

৭০ বছর সরকারি নিরীশ্বরবাদের পর গির্জার জনপ্রিয়তা বাড়াতে বার-ক্যাসিনো ওপর নির্ভর নতুন সরকারের

বিপ্লবের পরে, বিভিন্ন গির্জা এবং গির্জার সংলগ্ন যে সমস্ত দালান অধিকার করে সরকার ফ্ল্যাট আর সরাইখানায় পরিণত করে এতদিন ভাড়া দিয়ে আসছিল এখন দেশজুড়ে সেগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি মরিয়া হয়ে উঠেছে। একমাত্র মস্কো শহরেই এরকম আটশো দালান আছে।

→

’৯০-এর পর দৈনন্দিন সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষের সময় ছিল না কবির জন্মশতবার্ষিকী পালন করায়

উৎসব ও আনন্দের আরও নতুন নতুন খোরাকও শহরে এসে জুটছে। শহরে একের পর এক খোলা হচ্ছে বিদেশি চটজলদি খাবারের দোকান– ম্যাকডোনাল্ডের দোকান। সেদিন এই নিয়ে খোলা হল তৃতীয়টি। প্রথমটি খোলা হয়েছিল কবি পুশকিনের নামাঙ্কিত স্কোয়ারে– পেরেস্ত্রৈকার প্রথম আমলে। এ-বছর জুলাইয়ের প্রথমে খোলা হল পুশকিন ভবনের কাছে।

→

ভোদ্‌কাই কি দেশের একমাত্র রক্ষাকবচ?

রুশিদের চারপাশের জগৎ যখন চরম বিশৃঙ্খলভাবে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, তখন রুশিরা ভোদ্‌কার শরণাপন্ন হচ্ছে দু’টি কারণে: মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে বিনিয়োগ হিসাবে, আর সে বিনিয়োগ যদি ব্যর্থও হয় তাহলে তারা অন্তত ভোদ্‌কায় ডুবে ভুলে থাকতে পারবে নিজেদের দুঃখ-দুর্দশা।

→

বেসরকারিকরণের সুযোগে যে বেকারি তৈরি হয়, তা সরাসরি দেখলাম সোভিয়েতে

যে-কিওস্ক থেকে খবরের কাগজ কিনতাম, একদিন সকালে গিয়ে দেখি সেখানে বিক্রি হচ্ছে নানারকম বিদেশি পণ্য– পেপসি, কোক, চকোলেট আরও কত কি।

→

যে মহাকাশচারী মহাকাশেই এক যুগ থেকে আর একযুগে এসে যাত্রা শেষ করেছিলেন

১৯৯১ সালের ১৪ মে ক্রিকালিয়োভ্‌ যখন মহাকাশ-যাত্রা করেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন তখনও ভাঙেনি। মিখাইল গর্বাচ্যোভ তখনও প্রেসিডেন্ট, তখনও ক্রেমলিনের মাথার উপর সগর্বে উড়ছে কাস্তে-হাতুড়ি লাঞ্ছিত লাল পতাকা, তখনও কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতাসীন।

→

লেনিনের স্থান কোথায় হবে– তা নিয়ে আজও রাশিয়ায় তর্ক চলছে

২০১৬ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শতকরা ৪০ জন রুশি ইতিহাসে তাঁর ভূমিকাকে ইতিবাচক হিসেবে গণ্য করেন, মাত্র শতকরা ২০ জন নেতিবাচক বলে মনে করেন।

→

উত্তরের আশায় লেনিনকে সমাধির ঠিকানায় চিঠি পাঠাত সাধারণ মানুষ

তিনি মৃত কি মৃত নন বড় কথা নয়– বহু সোভিয়েত নাগরিকের ধারণা ছিল তাদের দুঃখ-দুর্দশার একটা সদুত্তর লেনিনই দিতে পারেন। অধিকাংশ চিঠিই আসত ট্রান্সককেশাস ও মধ্য এশিয়া থেকে।

→