এ দেশে প্রসূতিসদন থেকে নবজাত শিশু ও প্রসূতিকে ছেড়ে দেওয়ার পরও স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়মিত একজন চিকিৎসক বাড়িতে এসে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যান। এটা ছিল এখানকার জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অঙ্গ।
আমার স্ত্রী, কন্যাদ্বয় নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল। সোভিয়েত সংবিধানের সে এক গোলকধাঁধা, আরেক ইতিহাস।
সোভিয়েত নাগরিকত্ব আমাদের সময়কার কোনও ভারতীয়েরই ছিল না– এমনকী, গোপেন চক্রবর্তীরও ছিল না। সেই সময়কার জীবিতদের মধ্যে একমাত্র একজনই– ওই জ্যাক লিট্টনই ছিলেন এর ব্যতিক্রম।
সোভিয়েত ব্যবস্থা যখন পতনের মুখে, ততদিনে গোপেনদার ধৈর্যের বাঁধও ভেঙে পড়ার উপক্রম।
জয়ার জন্মের আগেই তাঁর বাবা ভারতে ফিরে আসেন এবং সকল যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক বছর পর তাঁরা খবর পান যে তাঁকে ইংরেজরা গুলি করে হত্যা করেছে।
পড়তে পড়তে আমার কেমন যেন মনে হচ্ছিল এই ‘বাঙালি কমিউনিস্ট’-টি আমারও খুব চেনা।
‘ধুলোমাটি’, ‘ধানকানা’র লেখককে সেদিন চোখের সামনে দেখেছিলাম ট্র্যাজিক উপন্যাসের নায়ক হয়ে প্রবাসে অন্তিম দিন গুনতে।
‘ধুলোমাটি’ উপন্যাসটা অন্তত রুশ ভাষায় অনুবাদ হতেই পারত। কিন্তু নিজের প্রসঙ্গ উঠলে সব সময় ননীদা বলতেন– ওসব বাদ দাও।
সোভিয়েত ইউনিয়নে পেরেস্ত্রৈকার সঙ্গে সঙ্গে যেন ভোল পাল্টে গেল সকলের। কিন্তু ননীদা রয়ে গেলেন সেই পুরনো জগতে– পেরেস্ত্রৈকার আগের জগতে।
আমার হাতে একখানা মাত্র সুটকেস দেখে ‘প্রগতি’র কর্মীরা হাসতে হাসতে জানতে চাইলেন আমিও আবার কোনও জিনিস ভুলে ফেলে রেখে এসেছি কি না।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved