Robbar

মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন

এ দেশে প্রসূতিসদন থেকে নবজাত শিশু ও প্রসূতিকে ছেড়ে দেওয়ার পরও স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়মিত একজন চিকিৎসক বাড়িতে এসে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যান। এটা ছিল এখানকার জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অঙ্গ।

→

আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য

আমার স্ত্রী, কন্যাদ্বয় নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল। সোভিয়েত সংবিধানের সে এক গোলকধাঁধা, আরেক ইতিহাস।

→

শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো

সোভিয়েত নাগরিকত্ব আমাদের সময়কার কোনও ভারতীয়েরই ছিল না– এমনকী, গোপেন চক্রবর্তীরও ছিল না। সেই সময়কার জীবিতদের মধ্যে একমাত্র একজনই– ওই জ্যাক লিট্টনই ছিলেন এর ব্যতিক্রম।

→

পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা

সোভিয়েত ব্যবস্থা যখন পতনের মুখে, ততদিনে গোপেনদার ধৈর্যের বাঁধও ভেঙে পড়ার উপক্রম।

→

দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা

জয়ার জন্মের আগেই তাঁর বাবা ভারতে ফিরে আসেন এবং সকল যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক বছর পর তাঁরা খবর পান যে তাঁকে ইংরেজরা গুলি করে হত্যা করেছে।

→

বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী

পড়তে পড়তে আমার কেমন যেন মনে হচ্ছিল এই ‘বাঙালি কমিউনিস্ট’-টি আমারও খুব চেনা।

→

ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস

‘ধুলোমাটি’, ‘ধানকানা’র লেখককে সেদিন চোখের সামনে দেখেছিলাম ট্র্যাজিক উপন্যাসের নায়ক হয়ে প্রবাসে অন্তিম দিন গুনতে।

→

ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না

‘ধুলোমাটি’ উপন্যাসটা অন্তত রুশ ভাষায় অনুবাদ হতেই পারত। কিন্তু নিজের প্রসঙ্গ উঠলে সব সময় ননীদা বলতেন– ওসব বাদ দাও।

→

মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ

সোভিয়েত ইউনিয়নে পেরেস্ত্রৈকার সঙ্গে সঙ্গে যেন ভোল পাল্টে‌ গেল সকলের। কিন্তু ননীদা রয়ে গেলেন সেই পুরনো জগতে– পেরেস্ত্রৈকার আগের জগতে।

→

শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে

আমার হাতে একখানা মাত্র সুটকেস দেখে ‘প্রগতি’র কর্মীরা হাসতে হাসতে জানতে চাইলেন আমিও আবার কোনও জিনিস ভুলে ফেলে রেখে এসেছি কি না।

→