একটি উনত্রিশের মেয়ের এই সহজতা আসে কেমন করে, নির্ভীক বলে যেতে পারেন যে তাঁর দেশের সরকার আসলে দেশের মানুষের শিক্ষা শিকেয় তুলেছে। সামান্য ভয়টুকুও তো কণ্ঠে প্রকাশ পায় না! অনুপর্ণা কি তবে সত্যি সত্যি, সত্যি?
১৯৮৬-র ডিসেম্বরে স্রোতস্বিনী গঙ্গার তীরে হৃষীকেশ, পথচলতি মহিলার পায়ে ঠেকে একটি পচনশীল মৃতদেহ। ঠাহর করা যায় না, যায়নি, যতক্ষণ কলকাতা থেকে দীর্ঘদিন তাঁর কোনও খোঁজ না-পাওয়া পরিজন তাঁর টুকটাক ‘সামান’ চিহ্নিত করেন। ইনিই বীণা দাস, বিপ্লবী, গোটা জীবন দেশের নামে পাত করে যাঁর কপালে জুটেছিল ওই করুণ পরিণতি।
আজিজুল হক বারবার বারবার বলেছেন পক্ষের কথা। পক্ষ নেওয়ার কথা। সোজা করে বললে আমার মাথা গ্রাস করবে কোন পক্ষ? কার হাতে আমি আমার মাথার অধিকার অর্পণ করব? আমার মাথা নিয়ে যে শোষক ফুটবল খেলবে নাকি আমার আমার মাথা যার কাছে কেবল একটি সাংখ্যিক পরিচিতি না, একটি মনুষ্য-মস্তিষ্কের স্বীকৃতি পাবে। পক্ষ নিতে হবে।
‘সিস্টার মিডনাইট’ ছবির প্রেক্ষিত রিয়ালিস্ট– তাই ন্যারেটিভ যখন ক্রমশ অভিব্যক্তিবাদ, অ্যাবসার্ডিটি এবং আরও এগিয়ে পরাবাস্তবের সমারোহ তৈরি করে, পর্দায় ম্যাজিক তৈরি হয় বটে, কিন্তু সে ম্যাজিক পর্দায় মিলিয়ে না গিয়ে ‘বিবাহ’ নামক আদি অনন্তের ধারণাকে দা-এর এক কোপে ধর থেকে বিচ্ছিন্ন করে আর সেটি ফুটবল হয়ে গড়াতে থাকে এর ওর পায়ে পায়ে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved