Robbar

দূরদর্শনের জন্য প্রথম তথ্যচিত্র করা আসলে ছিল অ্যাডভেঞ্চার!

সরু সরু খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে চলেছি জেলেদের নৌকো করে, ওরা আমাদের মুখোশ পরিয়ে দিয়েছে, মাথার পিছনে যেন আরেকটা মুখ, বাঘকে ভড়কি দেওয়ার ফন্দি, বাঘ কি আর অত বোকা, ঘাড় মটকানোর হলে লাফিয়ে আসতেই পারে নৌকোয়।

→

সেন্ট পল ক্যাথিড্রালকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সারা দুপুর সাপ্তাহিকীর শুটিং হয়েছিল!

প্রথমবার মহিষাসুরমর্দিনী প্রযোজনা করেন জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় ও মালতী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনে করেছেন– কল্যাণ ঘোষ, প্রদ্যোৎ, বিভাস পাল এবং বহুবার পঙ্কজদা, শর্মিষ্ঠাদি। প্রদ্যোৎ যেবার প্রযোজনা করেছিল সেবার দুর্গার চরিত্রে রূপদান করেছিলেন হেমা মালিনী।

→

দূরদর্শন ভবনের উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী স্মিত হাসি নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন দুই উপস্থাপকের দিকে

অডিটোরিয়াম থেকে ব্যাক স্টেজে আসার যে দরজা সেটা দিয়ে উঠে আসছিল খুব রোগা মতো একটি ছেলে, গায়ের রংটা শ্যামলা, তাকে দেখে বলি, ‘একটু দেখবেন ভাই, অডিটোরিয়াম এ সামনের রো-তে রশিদ খান বলে কেউ আছেন কিনা’, সে শুধু বলল, ‘জি’, আবারও বলি, ‘প্লিজ একটু দেখবেন’, আমি তখনও তাঁকে ভাবছি ‘usher’ জাতীয় কেউ। এবার সে একটু ইতস্তত করে নম্রভঙ্গীতে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলে, ‘জি, ম্যায় হুঁ’।

→

প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আততায়ীর হাতে নিহত, গোলযোগের আশঙ্কায় দূরদর্শনের বাইরের গেটে ঝুলছিল তালা!

যথাসম্ভব নো মেকআপ লুক নিয়ে ফ্লোরে গিয়ে বসলাম আমার নির্দিষ্ট জায়গায়। তরুণ চক্রবর্তী ঢুকল। অন্যান্য দিন কুশল বিনিময় হয়, আজ কেবল স্তব্ধতা। শুরু করলাম অধিবেশন, চিরাচরিত হাসিটি আজ মুখে নেই। তারপরেই তরুণের মুখে উচ্চারিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর নিহত হওয়ার সংবাদ। ঘোষিত হল রাষ্ট্রীয় শোক।

→

সাদা-কালো থেকে রঙিন হয়ে উঠল দূরদর্শন

শাশ্বতী বলল, ‘তোর কথা ভাবছি, এবার তুই কী করবি, কখনও তো ম্যাচিং ব্লাউজ দিয়ে শাড়ি পরিস না। যে কোনও শাড়ির সঙ্গে তোর ইচ্ছেমতো ব্লাউজ পরে নিস, সাদা-কালোয় অসুবিধে ছিল না, এবার তো রঙে বোঝা যাবে!’

→

ফুলে ঢাকা উত্তমকুমারের শবযাত্রার বিরাট মিছিল আসছে, দেখেছিলাম রাধা স্টুডিওর ওপর থেকে

এত তাড়াতাড়ি যে উত্তমকুমার চলে যাবেন, কেউ ভাবেনি, দূরদর্শন কর্তৃপক্ষও নয়। তাই তাঁর কোনও সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়নি, হয়তো তিনি সময় দিতে পারেননি, সে ক্ষতি আমাদের।

→

যেদিন বীণা দাশগুপ্তার বাড়ি শুট করতে যাওয়ার কথা, সেদিনই সকালে ওঁর মৃত্যুর খবর পেলাম

নানা ধরনের অঘটন নিয়ে সজয় একটা অনুষ্ঠান করেছিল নতুন বাড়িতে, মানে দূরদর্শন ভবনে আসার পর, তার নাম দিয়েছিল ‘টেলি-ভীষণ’!

→

ফতুয়া ছেড়ে জামা পরতে হয়েছিল বলে খানিক বিরক্ত হয়েছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস

দরজার সামনে শম্ভু মিত্র, রেকর্ডিং শেষ করে সবে ফ্লোর থেকে বেরিয়েছেন। গম্ভীর মানুষ, সাহস সঞ্চয় করে কাছে গিয়ে প্রণাম করি, মাথায় হাত রাখলেন। পাশে ছিল চৈতি ঘোষাল অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর বাড়ির টিভিতে আমাকে দেখতে পায় তাই এই বিস্ময়, নিচু গলায় জানাল ডাকঘরের অমল।

→

ভারিক্কিভাব আনার জন্য অনন্ত দাস গোঁফ এঁকেছিলেন অল্পবয়সি দেবাশিস রায়চৌধুরীর মুখে

কবেকার কথা এসব, সেই দিন থেকে যে হৃদ্যতা তৈরি হয়েছিল তা আজও অম্লান, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে ব‌ই কমেনি।

→

দূরদর্শনে মান্য চলিত ভাষার প্রবর্তক আমরাই

ছোটবেলায় রেডিওতে দুটি অনুষ্ঠান আমার খুব প্রিয় ছিল, ‘শিশু মহল’ আর ‘গল্প দাদুর আসর’।

→