স্টুডিও যেন এক মুহূর্তে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের নাইট ক্লাব হয়ে গেল। তালে তালে নেচে উঠল সুচিত্রা সেনের ভ্রূ যুগল। সুচিত্রা সেন যেন হয়ে উঠলেন সত্যিকারের রিনা ব্রাউন। গানটা নিজেই হয়ে উঠল কোরিওগ্রাফার। সুজি মিলার যেন হয়ে গিয়েছেন সুচিত্রার পুরু ঠোঁট। পারফেক্ট ‘মেরি গো রাউন্ড’।
সেদিন শুধু একটি গানে রেকর্ডিং ছিল না। সেটা হয়ে উঠেছিল সময়ের ভেতর দিয়ে জন্ম নেওয়া এক অমর সুর। সেদিন আসলে রেকর্ড হয়েছিল ইতিহাস।
প্রতুল মুখোপাধ্যায় ছিলেন একক ছিলেন না। ছিলেন জনতার কণ্ঠস্বর, ইতিহাসের সাক্ষী, বিদ্রোহের ঢাক, প্রেমের ফিসফিস। তাঁর গান আজও বাঁচিয়ে রেখেছে হাজার মানুষের ভেতরের আলো।
তাঁর চোখে ছিল বিদ্রোহ, মুখে ছিল শাসনহীন ভালবাসা। বললেন, ‘তুমি বাজাও নিজের মতো করে।’ আমি বললাম, ‘কিন্তু আমি তো শিখিনি আপনার মতো।’ উনি বললেন, ‘তাই তো চাই। আমি চাই তুমি বাজাও তোমার মতো। নিজের মাটি খুঁড়ে নিজেই জল বার করো।’
তিতাস কি ভালোবাসার নাম নয়? তিতাস কি সারল্যের নাম নয়? জীবনের বাঁকের নাম কি তিতাস? প্রতিবাদের নাম কি তিতাস?
সারা পৃথিবীর অবদমিত প্রাণের কাছে যিনি গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ওই ব্যাঞ্জো আর হৃদয়ভরা আলো সম্বল করে। আজ, পিট সিগারের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।
একটার পর একটা ট্রাম চলে যাচ্ছে, শহরময় ঘটাং ঘটাং ট্রামের শব্দ, তার মধ্যেই রাশিদের ওই উচ্চাঙ্গ সংগীত!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved