প্রজাপতির ডানা থেকে শিখে নাও সোলার প্যানেলের নকশা; ব্যবহার করো বারুদগর্ভ ট্যাঙ্কারের ছাদে। পাহাড়ি বিটলের থেকে শিখে নাও কীভাবে সাজাতে হবে করাতের শ্বদন্ত; যাতে আরও সুনিপুণ দক্ষতায় কাটা যায় গাছ। টাইগার মথের থেকে শিখে নাও কীভাবে এড়ানো যাবে সাউন্ড নেভিগেশন; গোপনে চালনা করো যুদ্ধবিমান। এ শিক্ষার পাপ বয়ে চলে যেতে হবে।
‘জীবন’, ‘আয়ু’র চেয়ে অনেক বড়। জীবন আসলে কালেকটিভ, যৌথ। কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে চলা সপ্রাণ পৃথিবীর আণবিক চোরাকুঠুরিতে সঞ্চিত জেনেটিক স্মৃতি ও শিক্ষার ভিক্ষালব্ধ ধান্য। জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী আপাত সরলরেখায় তাকে মাপা যায় না। এ শিক্ষা পোকামাকড়ের দুনিয়ায় প্রবেশ না করলে জানা যায় না।
নরেন্দ্রনাথ রায় মূলত শিল্পী; দোতারা বাজানোর তাগিদেই তাঁর দোতারা বানানো। ভাওয়াইয়া গান এবং দোতারার পাশাপাশি সারিন্দা, বাঁশি– সবেতেই তাঁর অবাধ চলন। তবু তাঁর ‘শিল্পী’ পরিচয় প্রায় ঢেকে গেছে ‘কারিগর’ পরিচয়ের ছায়ায়। ভাওয়াইয়া দোতারা বানানোর ক্ষেত্রটিতে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর জীবন, তাঁর সংগীতের দর্শনকে খুঁজতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলল রোববার.ইন।
চারের দশক বাংলা গানের ফুটপাথ বদলের সন্ধিক্ষণ। আর অখিলবন্ধু আক্ষরিক অর্থেই এই সময়ের ‘মিসিং লিংক’। ধ্রুপদি তানকারির পুরাতন গায়নশৈলী এবং ‘আধুনিক’ গানের মেলোডি আর কাব্যময়তার ভাষ্য– দুই ক্ষেত্রেই তাঁর স্বাভাবিক চলন আশ্চর্য করে।
‘কিশােরকুমারের ছায়া’ এই পরিচয়টিকে তিনি ছায়া নয়, আলো হিসেবেই দেখেন। ‘কিশোরকণ্ঠী’ গৌতম ঘোষ কীভাবে সারাজীবন নিয়ে চললেন তাঁর গুরুকে, তাঁর কণ্ঠে? বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে পড়ে ফেলুন এই সাক্ষাৎকার।
পুরনো কলকাতার হাতে গোনা কয়েকটি ভিনাইল রেকর্ডের দোকানের একটি মির্জা গালিব স্ট্রিটের ‘ভাইব্রেশন্স’। চার দশকের বেশি সময় ধরে এই দোকান চালিয়ে আসছেন মহম্মদ ইমতিয়াজ ওয়ারসি। সংগীতের প্রতি ভালোবাসা থেকেই রেকর্ড সংগ্রহের শুরু। আজও তিনি রেকর্ডকে ছাড়তে পারেননি।
তর্কের খাতিরেই ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেছেন। পরে শিক্ষার আপাতসরল অভিগমন বদলে গেছে অনুসন্ধানে। ইন্টারন্যাশনাল কোরেস্পন্ডেন্স স্কুল থেকে প্যাসাডেনা আর্ট মিউজিয়ামের প্রশিক্ষণ বিভাগ। অজস্র স্কেচ, ড্যুডলিং, ন্যুড, সেমিন্যুড, ওয়াটার কালার। সংশয় থেকে বিস্ময়ে উত্তরণে ক্রমশ উপলব্ধি করেছেন– সত্যের ঈশ্বর বলে কিছু নেই, কণিকার অবস্থার মতো তা কেবল একটি তাৎক্ষণিক সম্ভাবনা মাত্র।
মূর্তি বানাবেন বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন। গিয়ে পড়েছিলেন প্রদোষ দাশগুপ্তের হাতে। আর্ট কলেজ থেকে বরোদা, ফ্লোরেন্স থেকে কলাভবন– ঘুরে বেরিয়েছেন সুরের সন্ধানে। বন্ধু হিসেবে পেয়েছেন মল্লিকার্জুন মনসুর থেকে আলি আকবর খান কিংবা পি এল দেশপান্ডের মতো ব্যক্তিত্বকে। সুর, তাঁর শিল্প ও জীবন দু’য়ের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে ওতপ্রোতভাবে। শর্বরী রায়চৌধুরীর জীবন ও ভাস্কর্য নিয়ে তাঁর স্ত্রী অজন্তা রায়চৌধুরী এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র সৌগত রায়চৌধুরীর সঙ্গে কথোপকথন।
শাব্দিকের দক্ষ কারিগরি কিংবা নেশাড়ুর অসংযত আবেগের প্রকাশ কোনওটাই তাঁর নেই। সন্তরণ, মায়াকাল ও জ্যোৎস্না-প্রহর অতিক্রম করে বাস্তবের ঘাটে সচেতন নোঙরটি বাঁধা থাকে তাঁর। এখানেই যোগেনের গদ্যদেশ ব্যতিক্রমী।
গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় চলছে চারুকলা পর্ষদের সাম্প্রতিক প্রদর্শনী। বেঙ্গল স্কুল থেকে কলাভবন হয়ে আধুনিকতার দিকে তার চলমান ক্যানভাস...
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved