Robbar

শচীন দেববর্মনের সংগীত শিক্ষার শুরু হয়েছিল কুমিল্লার বাড়ি থেকেই

বর্ণে-গন্ধে-ছন্দে স্মৃতিতে শচীন দেববর্মনের জীবনকে তিন পর্বে ভাগ করা যায়– কুমিল্লা, কলকাতা ও বোম্বে। তাঁর মাটির কাছাকাছি থাকা, মাটির মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া, এই মাটির ভাটিয়ালি গান গলায় তুলে নেওয়ার পুরো পর্বটাই কুমিল্লায়।

→

বাহান্ন বছর পর ফিরে তপন রায়চৌধুরী খুঁজেছিলেন শৈশবের কীর্তনখোলাকে

শৈশবের বন্ধু অক্সফোর্ড মিশনের ব্রাদার কেটলিকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল শহর থেকে সাইকেল চালিয়ে চলে যেতেন কীর্তিপাশার বাড়িতে। তপন রায়চৌধুরী কৈশোরে প্রথম যাঁর প্রেমে পড়েছিলেন তাঁর নাম লায়লা। লায়লার পিতা ছিলেন ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ বিপ্লবী শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ।

→

মৃণাল সেনের ফরিদপুরের বাড়িতে নেতাজির নিয়মিত যাতায়াত থেকেই তাঁর রাজনৈতিক চিন্তার জীবন শুরু

নিজের মা তীর্থমণির নাম অনুসারে বাড়িটির নাম রাখেন 'তীর্থ নিবাস'। এই তীর্থ নিবাসে সেই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল। হঠাৎ হঠাৎ বিপ্লবী পূর্ণচন্দ্র দাস তাঁর ‘শান্তিসেনা’ নিয়ে চলে আসতেন দুপুররাত্রে ঝিলটুলিতে, সকলের খাওয়ার রান্না একহাতে করতেন মৃণাল সেনের মা সরযূবালা সেন।

→

শেষবার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে জানলায় নিজের আঁকা দুটো ছবি সেঁটে দিয়েছিলেন গণেশ হালুই

কৈশোরে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের জামালপুরের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছিল রং-তুলি কাগজ, কাঠের বোর্ড আর তামার পাতের মাথাওয়ালা খানকতক বোর্ড পিন। যখন মায়ের হাতে ট্রাঙ্ক, বিছানা, বাসনকোসনের বোঝা, তখনও তাঁর আশ্রয় ওই রং-তুলি। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় বাড়িতে যেখানে পড়তে বসতেন, তার মুখোমুখি জানলাটি চিরকালের জন্য বন্ধ করে নিজের আঁকা দুটো ছবি সেঁটে দিয়ে যান।

→

শীর্ষেন্দুর শৈশবের ভিটেবাড়ি ‘দূরবীন’ ছাড়াও দেখা যায়

ব্রহ্মপুত্র তাঁর জন্মের চেনা নদী। ব্রহ্মপুত্রের স্রোত এখনও শীর্ষেন্দুর বুকের ভেতরে বয়ে চলে, বাঁক নেয়।

→

হাতে লেখা বা ছাপা ‘প্রগতি’র ঠিকানাই ছিল বুদ্ধদেব বসুর পুরানা পল্টনের বাড়ি

বুদ্ধদেব বসু ঢাকা থেকে কলকাতা চলে যাওয়ার পরপর বাড়িটির মালিকানা পরিবর্তন হয়। বাড়িটি কিনে নেন কবি ও বিভাব পত্রিকার কর্ণধার সমরেন্দ্র সেনগুপ্তের পিতা বগলাপ্রসন্ন সেনগুপ্ত।

→

জীবনের কালি-কলম-তুলিতে জিন্দাবাহারের পোর্ট্রেট এঁকেছিলেন পরিতোষ সেন

ঢাকার জিন্দাবাহারের বাসিন্দা ছিলেন প্রথম বাঙালি চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেন। এখানেই একসময় থাকতেন কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিখ্যাত ক্যাপ্টেন শাহজাহান। ‘পনেরো নম্বর জিন্দাবাহার’ তো মহাশ্বেতা দেবীর মামার বাড়ি। সেখানেই তাঁর জন্ম। তার পাশেই অর্থাৎ ‘ষোলো নম্বর জিন্দাবাহার’ ছিল শিল্পী পরিতোষ সেনের বাড়ি।

→

কলাতিয়ার প্রবীণরা এখনও নবেন্দু ঘোষকে ‘উকিল বাড়ির মুকুল’ হিসেবেই চেনেন

আজীবন দেশভাগকে জাতীয় অভিশাপ হিসেবে দেখেছেন নবেন্দু ঘোষ। দেশভাগই শিকড় থেকে ছিন্ন করে তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে কলাতিয়া থেকে কলকাতা, পাটনা, বোম্বে।

→

পুকুর আর বাঁধানো ঘাটই প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের দেশের বাড়ির একমাত্র অবশিষ্ট স্মৃতিচিহ্ন

হায় দেশভাগ! যে মাটির পরিচয় ছিল ‘মুখোপাধ্যায় বাড়ি’-র নামে। সেই মাটির পরিচয় এখন খলিফা বাড়ি নামে!

→

‘আরতি দাস’কে দেশভাগ নাম দিয়েছিল ‘মিস শেফালি’

শহরের ইতিকথায় লেখা থাকবে মিস শেফালির জন্ম শহর হিসেবে নারায়ণগঞ্জের নাম। মিস শেফালির কথা বলার টোনে আজন্মই ছিল দ্যাশের টান।

→