চিরকালের যৌবনের রহস্যময়তার প্রতীক হয়ে থাকতে চেয়ে নায়িকা যদি তাঁর রূপযৌবন সম্মান প্রতিপত্তি থাকতে থাকতেই সব মোহ ত্যাগ করে স্বেচ্ছায় অসামাজিক, অন্তরালবর্তিনী হয়ে যান, সেটা তো অসামান্য সংযমের, সুবিবেচনার এবং ইচ্ছাশক্তির কাজ।
সব বেঠিকানা মোহগুলি, সব মায়াবী বিষণ্ণতাগুলি রক্ষা করতে আমাদের অন্তরের মধ্যেও একটা আব্রু লাগে, একটা অন্তরাল।
‘রোববার’ পত্রিকায় নবনীতা দেবসেনের শেষ লেখা। যে লেখায় নেই শেষবেলার ক্লান্তি, বরং নতুন কাজের জগৎ উন্মোচিত হয়। মনে হয়, এই বুঝি লিখতে বসলেন নবনীতা দেবসেন, ভালোবাসার বারান্দায় হেলান দিয়ে। শেষ লেখায় নতুন শুরুর গন্ধ, হাওয়াবদল।
এই লেখাটি ‘রোববার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ২৭.১০.২০১৯-এ। মৃত্যুর সঙ্গে বোঝাপড়া করছিলেন যেন নবনীতা দেবসেন। পাঠককে প্রথমবারের মতো জানালেন তাঁর অসুস্থতার কথা, মৃত্যুমুখিতার কথা। তবুও জীবনের প্রতি উচ্ছ্বাস কমেনি তাঁর। তাই এই লেখাটিও তাঁর শেষ লেখা নয়।
রাত বাড়তে, মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে, ওরা বলল, চলো, তোমাকে আমাদের ‘গে-বার’-এ নিয়ে যাই, সিডনির গে-লাইফ কেমন হয় চোখে দেখে যাও। সেখানে এক পেশিবহুল পুরুষ অসামান্য কোমল নারীর নাচ নাচলেন। ‘রোববার’-এর ‘প্রবাস পুজো’ থেকে পুনর্মুদ্রিত।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved