Robbar

দুয়ে দুয়ে দুধ, না দই?

একের যেমন আঁটোসাঁটো বিপুল গৌরব, দু’য়ের কি তেমন গৌরব আছে? এক ক্লাসের ফার্স্ট বয় (নাকি গার্ল?), দুই বেচারা তো জীবনে ফার্স্ট হতে পারল না। সমাজেও দু’-নম্বরিদের খুবই দুর্নাম; যদিও দু’-নম্বরি লোকজনে সমাজ ছয়লাপ, তারাই এখন গ্লোরিয়াস মেজরিটি। কিন্তু এক হতে পারল না– এ দুঃখ নিয়ে দুই আদৌ এখন আর ভাবে কি না, জানি না।

→

বাংলায় কথা বলাই আজ নাকি অপরাধ!

ভারতের মতো বহুভাষিক দেশে স্কুলের ছেলেমেয়েদের একটা ভাষা-সাক্ষরতা দরকার। ভারতের ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে তাদের জানতে হবে ভারতের ক’-টা প্রধান ভাষা আছে, ভারতের সংস্কৃতিতে তাদের গুরুত্ব কী রকম। ভাষা সংক্রান্ত অশিক্ষা আর কুশিক্ষাও অনেক নাগরিক সমস্যার মূলে।

→

‘ভাইসব, আপনারা একটু শান্ত হোন, উত্তমদা এক্ষুনি এসে যাবেন’

একবার বিদেশে এক আড্ডায়, সুচিত্রা মিত্রকে গান গাওয়ার জন্যে পীড়াপীড়ি করছিল কিছু ফ্যান। গানের শেষে তাঁকে কুণ্ঠিতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এই যে আপনাকে আমাদের মধ্যে পেয়ে আমরা গান গাওয়ার জন্য আবদার করি, তাতে আপনার খারাপ লাগে না ?’ সুচিত্রাদি মিটিমিটি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আবদার না করলেই একটু খারাপ লাগে !’

→

ধর্মচিহ্নের বাইরে, মানুষকে বিশ্বাস রাখতে হবে মানুষের প্রতিই

পহেলগাঁওয়ের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড কাশ্মীরের মানুষের কী অশ্বডিম্ব উপকার করবে? এক বিন্দু উপকার করবে– এমন দাবি করবে বিশ্বসংসারে এমন নিরেট মূর্খ আছে কি? সবচেয়ে বড় কথা, এই ধরনের সন্ত্রাস ভারতের মুসলমানদের অস্তিত্বকে নানাভাবে বিপন্ন করে তোলে, তা বোধহয় আইএসআই বা তার কর্তারা খেয়াল করে না।

→

বিজয়ের পরও বিজয় অর্জন করতে হয়, যে জয় সম্প্রদায়ের চিহ্নহীন এক দৃপ্ত সংস্কৃতির

আমরা যারা বিজয় দিবসে পৃথিবীর মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামে এক নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে বিপুল অহংকার ও গৌরব বোধ করেছিলাম, তারা মনে করেছিলাম, রাজনৈতিক সীমানা এক না হোক, সীমানাহীন এক বৃহৎ বাঙালি জাতি আছে। তা কি আজ প্রশ্নের মুখে?

→

হিন্দিতে অভিনয় করতে পারলে মনোজ ভারতের এক শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেতা হিসেবে সম্মান পেতেন

মনোজের বাড়িতে অল্পসময়ের জন্য গেলেও অবধারিতভাবে লুচি-তরকারির প্লেট সামনে এসে যেত, ভূরিভোজ অনিয়মিত ছিল না, আর আমার বাড়িতে নেমন্তন্নে এলে তিনি ল্যাজ আর মাথা প্লেট ছাপিয়ে যায় এইরকম পাবদা মাছের বায়না দিয়ে রাখতেন।

→

এক গভীর রাতে সমুদ্রতীরে বসে রাজনীতিতে আসার সংকল্প নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে যে মন্ত্রিত্বই তাঁর হাতে থাক, বুদ্ধদেব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে অতি নির্ভরযোগ্য এক সেনাপতির মতো। ‘আপনারা বুদ্ধর কাছে যান, বুদ্ধ ওসব কালচার-ফালচার বোঝে’– জ্যোতিবাবুর এই উক্তি যথার্থ কি না জানি না, কিন্তু কথাটা মিথ্যে ছিল না।

→

কে শিক্ষক, কে ছাত্র

শিক্ষক আর ছাত্র বলে কোনও মৌলিক দ্বিধান বা বাইনারি কিছু নেই।

→

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও, বুদ্ধদেবের ছিল না

২০০৪-’০৫ সালে যখন আমার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেটের তকমা নিয়ে এখানকার একদল বুদ্ধিজীবী শোরগোল তোলেন, তখন বুদ্ধ চিনের প্রাচীরের মতো আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।

→

বাংলাদেশে আর কি কখনও মুজিবের মূর্তি গড়ে উঠবে?

শেখ মুজিবের খুবই প্রিয় ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি, যাঁর একটি গান বাংলাদেশেরও জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে। জানি না, সে গানটির ভাগ্য কোনদিকে দুলবে।

→