শেষ মুহূর্তে তিনি সম্পর্ক পাতালেন মৃতদের সঙ্গে। পরিবার-প্রিয়জনের থেকে দূরে মৃত্যুবরণের ক্ষত তিনি সারিয়ে তুলতে চাইলেন।
পিট সিগার নাজিমের ইংরেজি অনুবাদটিকে জেমস ওয়াটারের একটি আইরিশ লোকগান ‘the great selche of sule skerry’-র সুরে বসালেন।
এই গানের কোথাও বর্ণবিদ্বেষ ও অত্যাচারের কোনও বয়ান নেই। কোনও রক্ত ঝরে না এ গানে, এ গানে অপমানের হিসাব নেই। একটা আদ্যন্ত প্রতিবাদী গান, কিন্তু তার ছত্রে ছত্রে আশাবাদ।
১৯৮৮ সালে ট্রেসি রিলিজ করেন এই গান, ‘বিহাইন্ড দ্য ওয়ালস’। গানটি একটি প্রতিবেশীর দৃষ্টি দিয়ে লেখা। দেওয়ালের ওপার থেকে ভেসে আসা নিপীড়নের শব্দ শুনে, প্রতিবেশী আন্দাজ করছেন কী চলছে!
গানটি তো তথাকথিত স্বচ্ছল এক জীবনযাপনের কথা বলে। কিন্তু স্বচ্ছলতার বিনিময়ে কী পাওয়া যায়? এক দমবন্ধ করা, স্বপ্নহীন, স্বাধীনতাহীন এক জীবন। যেখানে জীবনের স্পর্শ নেই।
ওই সময়কার একটি কালজয়ী গান ক্রিস ক্রিস্টোফারসনের ‘Me and Bobby Mcgee’-র সুরের কাঠামোর সঙ্গে প্রিজন ট্রিলজির সূক্ষ্ম মিল পাওয়া যায়।
আর তোমরাও সন্তান-সন্ততির সঙ্গে সমুদ্রে বেড়াতে যেতে পারবে, যে স্বপ্ন তুমি অনেকদিন দেখো, কিন্তু এই স্বপ্নের কাছাকাছি যে যাওয়া যায়, তোমরা জানতে না।
যে গান মৃত্যু থেকে জীবনের দিকে যায়, যে গানে পাহাড়ি ফুল কবরের পাশে বসে থাকে পরিহাসের মতো।
এই গানে নেই কোনও নান্দনিকতার বাধ্যবাধকতা, সাহিত্যমূল্যে পাশ করার দাবি, নেই কোনও উচ্চবিত্তের ভাবনাবিলাস।
জার্মানি যখন বিশ্বযুদ্ধে নারকীয় হত্যালীলা চালাচ্ছে, বিরোধী ভাষ্যকে গলা টিপে খুন করছে, তখন মার্লিন দিত্রিশ জার্মান ভাষাতেই গাইলেন যুদ্ধবিরোধী গান– ফুলগুলো সব কোথায় গেল।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved