এ-ছবিতে, ব্যক্তি ইন্দ্রাশিস সিনেমার সঙ্গে সংলাপ জারি রেখেছেন শেষতক। প্রথমে মনে হয়েছিল, বহু এপিসোডে ভাঙছেন বুঝি। ক্রমে ক্রমে স্পষ্ট হয়, এ-আসলে পরিচালকের স্বগতোক্তি। একটা ফেরত আসার দ্বন্দ্ব তৈরি করা। দ্বন্দ্ব তৈরি করা বাস্তব ও স্বপ্নের। অথবা, ইমোশনের রাশ টেনে ধরা। কখনও চরিত্রদের। কখনও আমাদেরও। যে কারণে শুধুই গ্যাদগ্যাদে ইমোশনাল ছবি হয়ে যায় না ‘গুড বাই মাউন্টেন’।
‘বাথরুম ক্যাম্পিং’ এক ধরনের কোপিং মেকানিজম। আমার, আপনার, নিশ্চিত কোনও স্বতন্ত্র কোপিং মেকানিজম আছে। থাকতে বাধ্য! আপনি এক কাপ চা খেয়ে দুর্বহ চিন্তাগুলো ফেলে দিতে পারেন রিসাইকেল বিনে। কেউ নদীর পাড়ে বসে থাকতে পারে নিশ্চুপ। আর কেউ যাচ্ছে বাথরুমে।
নিউ ইয়র্কের কোনও মেয়র চামচ দিয়ে বিরিয়ানি খেলেই আমেরিকা ‘গ্রেট’ হয়ে যায় না।
ততদিনে কলকাতা শহর থেকে ডি-গামা সাহেবের কেকের দোকান উঠে গিয়েছে। চিরতরে। ততদিনে কোকা-কোলা। জেমস বন্ড। সোভিয়েত ভেঙে রমরমে বিশ্বায়নের বাজার। ততদিনে ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটাই বাজার এবং রাষ্ট্রের ঠেলায় আরও ভুলে যেতে যেতে, মার্জিনালাইজড হতে হতে, মিম অথবা ৩০ সেকেন্ডের কন্টেন্ট।
চালচলন দেখে খুব বুঝতে পারি, শরীর সঙ্গ দিচ্ছে না আর। মস্তিষ্কের সঙ্গে পেশির সামঞ্জস্য ক্ষীণ হচ্ছে। যে কারণে মিস হয়ে যায় পেনাল্টি। ফ্রি-কিকে ধার কমে আসে। ড্রিবলও হয় না তেমন। তবু সেই ট্রেম্বলিং টিনেজার ছুটতে থাকেন!
কেউ একবারও ভাবলেন না, একজন ভারতীয় স্ট্যান্ড-আপ কমিকের শো দেখতে এসেছিল সে। হাসতে এসেছিল। যে সংস্কৃতির বিনিময় স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল, তা বড়ই থ্রেটের মতো শোনায়! ভয় করে।
ভাইরাল আসলে একটি প্যারামিটারবিহীন ফেনোমেনা– ভালোবাসা, অপেক্ষা, জিরাফ, ধর্ম, বিরিয়ানি একেবারে ঘেঁটে ঘ!
’৮৩-র বিশ্বকাপে কপিল দেবের যে ১৭৫ রানের অতিমানবিক ইনিংস, সে ইনিংসের মাতৃভাষা একটিই। ক্রিকেটীয়। রবীন্দ্র জাডেজা সেই ভাষাটিকে অতি যত্নেই ধারণ করেছেন। মাতৃভাষার মতোই।
মস্তিষ্কে পচন, অর্থ হয়, স্মৃতিও অথৈ জলে। একবারও মোবাইল স্ক্রিনে টাচ না করে, শেষ কোন সিনেমাটি দেখেছেন আপনি? গভীর মনোযোগে? বই পড়তে পড়তে ভুলে গেছেন সোশাল মিডিয়ার যাবতীয় ক্যাচাল?
বিশ্ব খাদ্য দিবসে পভার্টি পর্ন নিয়ে বিশেষ লেখা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved