সুনীল দাসের ঘোড়ার ড্রইংয়ে কিন্তু সরলরেখার স্থান নেই। সবই বক্ররেখা। যাকে আমরা বলি, লিরিক্যাল লাইন। অথচ পশ্চিমের ধাঁচে, আধুনিক শিল্পে যে স্ট্রাকচার, ছবির জমিকে ধরে রাখার কথা বারবার বলা হয়েছে সেটাও পাচ্ছি পুরোপুরি। সেটা কী করে হল?
জীবনে প্রথম প্রবন্ধ লিখেছিলাম। সাহিত্যে সুকুমার রায়ের ইলাস্ট্রেশন নিয়ে। বিশেষ করে জোর দিয়েছিলাম হাইব্রিড জন্তু-জানোয়ার বানানোর দিকটায়। সেই লেখায় রায়সাহেব আমার হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির মার্জিনে কিছু কিছু সংশোধনী নির্দেশ দিয়েছিলেন, শিক্ষকের মতো হাতের লেখায়। বারবার ছুঁয়ে দেখেছি মার্জিনে সে হাতের লেখা।
তিনি বিশ্বাস করেন, স্বাস্থ্যসেবা কোনও বিলাসিতা নয়– এটা মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই তিনি এমন বহু ক্লিনিক চালু রেখেছেন, যেখানে অসহায় মানুষ চিকিৎসা পান বিনামূল্যে।
দেখা হয়েছিল হরিণখোলাতে মেঘলাদিনে সবুজ পাটের খেতে, আজ থেকে অর্ধ-শতাধিক বছর আগে। অদ্ভুত সে দেখা। উনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেমন হচ্ছে তোমাদের আউটডোরের কাজকর্ম? বলেছিলাম, খুব একটা ভালো না।
ফ্লাশ কাট চলবে না। হুকুম। নীরেনদা বললেন, ‘প্রিন্টিং এরিয়া’ বলে একটা কথা আছে, ‘মার্জিন’ বলে একটা বস্তু আছে, সেটা তো মাথায় রাখো। ছোটদের পরীক্ষার খাতায় দেখো, যেখানে পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া থাকে, মার্জিন রেখে সুন্দর হাতের লেখার জন্য বাড়তি দু’ নম্বর। উনি ছোটদের মাস্টারমশাই, প্রকৃত শিক্ষক। তাদের কোনওরকম অসুবিধা কিছুতেই সহ্য করতেন না।
একবার কলকাতা থাকাকালীন আমাকে ওঁদের বাড়িতে যেতে বলেছিলেন বীরেনদা। যামিনী রায়ের ছবি দেখতে। যামিনী রায়ের রামায়ণের ছবি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ছবি থেকে রং খসে পড়ছে। আমি যদি কলকাতায় কোনও ছবি-চিকিৎসার মানে, ‘রেস্টোরেশন’-এর রাস্তা বের করতে পারি। যামিনী রায়ের রামায়ণের ১৭ খণ্ডে ক্যানভাসে চিত্রায়নের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন সারদাচরণ।
অহিভূষণ ছিলেন একাধারে কার্টুনিস্ট, কলা সমালোচক ও সুগায়ক। সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ শিল্পী মানুষ। ওঁর অন্যতম অবদান ছিল জনসাধারণের মধ্যে শিল্পী ও শিল্পকলার প্রচার, প্রসার। এ বছর তাঁর জন্মশতবর্ষ।
ভারতের শিল্পজগতের শেষ ‘লেডি’ আপনি, আমাদের প্রিয়, লেডি রাণু মুখার্জি।
বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদের শিল্পী হ্যারল্ড শ্যাপিনস্কিকে আবিষ্কার করেছিলেন এ দেশের আকুমল রামচন্দ্র। আকুমলের বহু চেষ্টার পর লন্ডনে প্রথম প্রদর্শনী হয় শ্যাপিনস্কির। বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ এই আবিষ্কারের গল্প নিয়ে ২০ পৃষ্ঠা জুড়ে বিশাল লেখা প্রকাশ করে।
গণেশ পাইনের শিল্পকর্ম মহৎ সেখানেই, যেখানে তিনি দর্শককে নিয়ে যেতে পারেন সমকালীন বাস্তবতা থেকে নিজের তৈরি কল্পনার নতুনতর বাস্তবতায়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved